সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

আইএমএফ যা চেয়েছিল তা পারেনি

আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ০৭:১৩ এএম

আসন্ন জাতীয় বাজেটসহ অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশ এ বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের চাপ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ধরনের করছাড়ের কথা বলা হয়েছে। বাজেটের পরদিন এসব নিয়ে অনেক উত্তর দিতে হবে। তবে সাধারণ মানুষ বা সামাজিক পছন্দ ঠিক করাটা সহজ কাজ না। আর আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) যা চেয়েছিল, তা এবার চাপিয়ে দিতে পারে নাই। আমরা একটা সমাধানে এসেছি।’

সমালোচকদের সমালোচনা করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকেই আমাদের সমালোচনা করেন; অথর্ব বলেন। সমালোচনা করবেন, ঠিক আছে। তবে বাইরে (বিদেশে) এসব ভালো ইম্প্রেশন দেয় না। ইমেজ (ভাবমূর্তি) ক্ষুন্ন হয়।’

তরুণ অর্থনীতিবিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শির তীরের মতো সোজা করে দাঁড়াতে চাই, ধনুকেরমতো বাঁকা হলে চলবে না। আগামীর অর্থনীতি তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। শির উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।

আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও ১/১১ এর মইন-ফখর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, গত ৯ মাসে অনেক বেশি অর্জন হয়তো আসেনি। তবে ব্যাংকগুলোতে চলা অন্যায়, অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। এটাই বড় অর্জন। তবে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা আবার বাড়ছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘প্রতি দশকে আমাদের ১ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এই প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি। ফলে বৈষম্য আরও বেড়েছে। এই প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি। তরুণ বেকারত্ব বেড়েছে। গত আড়াই বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষ জর্জরিত। রাজনৈতিক প্রভাবে একমুখী অর্থনীতি পরিচালনা করলে সমাজ পিছিয়ে যায়।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি হলো প্রায়োগিক বিজ্ঞান। তাই স্কুল-কলেজ পর্যায়ে অর্থনীতিকে জনপ্রিয় করতে আমরা চেষ্টা করছি। এবার ২০ হাজার প্রতিযোগী ছিল। প্রতিবছর মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড।’

বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড সপ্তম আয়োজনে সারা দেশ থেকে ২০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ে ৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ উপহার প্রদান করা হয়। এই পাঁচজন আজারবাইজানে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত