সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

হজের সময় ইনসুলিন ব্যবহার

আপডেট : ২৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ এএম

প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগী হজব্রত পালন করে থাকেন। এদের অনেকেই টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যারা সরাসরি ইনসুলিন নির্ভরশীল। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করছেন। হজকালীন সময়ে ভিন্ন দেশের তপ্ত প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বদলে যাওয়া রুটিনের কারণে ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি

হজের সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে হাঁটতে হয়। পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিন রক্তে দ্রুত মিশে যায়। এসব কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

গ্লুকোজ বৃদ্ধিজনিত জটিলতা

উষ্ণ আবহাওয়া শরীরে ইনসুলিন সঞ্চিত থাকে কম। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অধিক গরমে হাঁটাহাঁটি করার ফলে প্রচুর ঘাম হয়। পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া অনেকে এ সময় খেজুরসহ নানা মিষ্টি জাতীয় ফল গ্রহণ করে থাকে। সময়মতো ইনসুলিন গ্রহণ করে না। ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে ইনসুলিন ছেড়ে দেয়। ফলে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধিজনিত জটিলতা তৈরি হয়।

ইনসুলিন সংরক্ষণ 

দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ইনসুলিন সংরক্ষণ করুন।

রোদ থেকে দূরে রাখুন।

গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ইনসুলিন রাখবেন না।

হাতের লাগেজে ইনসুলিন রাখুন।

বিমানের মূল লাগেজে রাখলে ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বাইরে বের হলে একটা বিশেষ ধরনের ঠা-া ওয়ালেটের ভেতরে ইনসুলিন রাখুন।

রক্ত পরখ করার স্ট্রিপ ও ডায়াবেটিস মনিটর করার মেশিন, যাতে সরাসরি রোদের সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

ইনসুলিন কমানো দরকার 

যারা ইনসুলিন নিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের ইনসুলিনের মাত্রা কমানো বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরখ করতে হবে।

গ্লুকোজের মাত্রা অনুযায়ী ইনসুলিন নির্ধারণ করতে হবে।

ইনসুলিন দিয়ে যাদের ডায়াবেটিস আগে থেকেই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের গ্লুকোজের পরিমাণ দেখে প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে হবে।

লক্ষণীয় বিষয়

টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজের মাত্রা প্রতি লিটারে ১৫ মিলি মোলের ওপরে হলে অবশ্যই রক্ত বা প্রস্রাবের মাঝে কিটোন রয়েছে কি না সেটি জানতে হবে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ পানীয়, দুধ, ফলের রস অথবা চিনির শরবত পান করতে হবে।

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সার্বক্ষণিক বেশি

থাকলে কিংবা প্রস্রাব অথবা রক্তে কিটোন নামক রাসায়নিক পদার্থ উপস্থিত থাকলে, ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি দেখা দিলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত