২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য ১৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ১২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুদকের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা আগামী বাজেটে ২৭ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেশি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার জাতির বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
এ সময় অর্থ উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘দুদক সংস্কার কমিশন’ সম্প্রতি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার সবগুলোই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ সংশোধনের কাজ চলছে। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের দুর্নীতি দমন কনভেনশন (ইউএনসিএসি) অনুসরণ করে দুদক কাজ করছে।
তিনি জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সব জেলায় ১৩ সদস্যের মহানগর/জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নৈতিকতা জাগ্রত করতে এবং দুর্নীতি বিরোধী গণসচেতনতা তৈরিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সততা সংঘ’ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া, জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে দুর্নীতি বিরোধী সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, র্যালি, পথনাটক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন চলছে।