সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

মাসয়ালা

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১২:২৯ এএম

কোরবানি করতে না পারলে

যদি কেউ কোরবানির দিনগুলোতে কোরবানি করতে না পারেন এবং পশু ক্রয় না করে থাকেন, তাহলে একটি ছাগলের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিলেন, কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দিতে না পারেন, তবে সেই পশুটি জীবিত অবস্থায় সদকা করতে হবে। (বাদায়েউস সানাইয়ে ৪/২০৪)

অপরের ওয়াজিব কোরবানি আদায় করা

কারও কোরবানি দিয়ে দিতে চাইলে তার অনুমতি নেওয়া জরুরি। অনুমতি ছাড়া কোরবানি সহিহ হবে না। তবে স্বামী কিংবা পিতা স্ত্রী কিংবা সন্তানের বিনা অনুমতিতে কোরবানি দিলে তা আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু অনুমতি নেওয়াই উত্তম।

কোরবানির গোশত চামড়া বিক্রি করা

কোরবানি দাতার জন্য কোরবানির মাংস, হাড়, চর্বি, পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েজ নেই। বিক্রি করলে সেই টাকা সে ভোগ করতে পারবে না, বরং সদকা করে দিতে হবে। আর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি না করে নিজেরাও ব্যবহার করতে পারবে।

যদি কোনো কোরবানিদাতা এই নিয়তে গোশত বিক্রি করে যে, সে গোশত বিক্রির টাকা সদকা করে দেবে, তাহলে তার জন্য তা জায়েজ হবে। গোশত বিক্রির পর তার জন্য সেই টাকা সদকা করা আবশ্যক। আর যে ব্যক্তি সেই গোশত ক্রয় করবে তার জন্যও তা বৈধ হবে।

কেউ যদি কাউকে কোরবানির গোশত হাদিয়া দেয় বা সদকা করে, তাহলে যাকে হাদিয়া দেওয়া বা সদকা করা হয়েছে তার জন্য সেই গোশত বিক্রি করা জায়েজ আছে। আর সেই হাদিয়া বা সদকাকৃত গোশত বিক্রির টাকা তার জন্য ভোগ করাও জায়েজ আছে। কেননা যাকে হাদিয়া প্রদান করা হয় সে ওই বস্তুর মালিক হয়ে যায়। আর এমতাবস্থায় সে ওই বস্তু নিজেও ব্যবহার করতে পারে। আবার ইচ্ছা করলে বিক্রিও করতে পারে। (হিন্দিয়া ৫/৩০১)

গ্রন্থনা : মুহাম্মাদ ইমাম হাসান

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত