বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

হামাসের নিরস্ত্রীকরণ চায় পিএলও

আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ এএম

গাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আব্বাসের এক চিঠির বরাতে গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে গত সোমবার লেখা চিঠিতে এ কথা বলেন আব্বাস। ওই চিঠিতে গাজায় সহিংসতা বন্ধে প্রধান কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।

মাহমুদ আব্বাস মনে করেন, এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে। চিঠিতে আব্বাস লেখেন, হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না। ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তাদের অস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা সমর্পণ করতে হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি গাজায় আরব বা আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন চিঠিতে। এদিকে চলতি মাসেই জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি সম্মেলনে নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আব্বাসের চিঠির পর এক বিবৃতিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে ফ্রান্সও। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে দৃঢ়সংকল্প। তবে কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে হামাসের ‘নিরস্ত্রীকরণ’। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে অনেক আগে থেকেই সোচ্চার ফ্রান্স। এদিকে, ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেছেন, ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য মুসলিম দেশগুলো তাদের কিছু জমি ছেড়ে দিতে পারে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাকাবি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর কাছে ইসরায়েলের তুলনায় ৬৪৪ গুণ বেশি জমি আছে। যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের এতই আগ্রহ থাকে, তাহলে আমরা সেখানে তা গড়ে তুলতে পারি। ব্লুমবার্গকে দেওয়া পৃথক এক সাক্ষাৎকারে হাকাবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য অনুসরণ করছে না। দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে তিনি কল্পিত লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থিমন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোট্রিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ চার দেশ। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বারবার সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একজোট হয়ে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের সম্পদ জব্দ এবং তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা দুজনই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির বাসিন্দা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত