বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

শত শত গ্রেপ্তারের পর শান্ত হলো লস অ্যাঞ্জেলেস

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:১৪ এএম

গত বুধবার প্রথম রাতে কারফিউ তুলে নেওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলেসে এক অস্বস্তিকর শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে আরও বিক্ষোভের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আমেরিকার বিভিন্ন শহর। লস অ্যাঞ্জেলেসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩০ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ১৫৭ জনকে হামলা ও বাধা দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে পুলিশ অফিসারকে হত্যাচেষ্টার অভিযুক্ত একজনও রয়েছেন। দুটি পৃথক ঘটনায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে মোলোটভ ককটেল নিক্ষেপের জন্য ফেডারেল প্রসিকিউটররা এখন পর্যন্ত দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছেন। অস্থিরতা দমনে চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা এবং ৭০০ মেরিন মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার ৩০ জন আঞ্চলিক মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস। চলমান বিক্ষোভের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন অভিযানকে দায়ী করেছেন তিনি। তার মতে, এই অভিযান ‘ভয় এবং আতঙ্ক’ সৃষ্টি করে বাসিন্দাদের ‘উত্তেজিত’ করেছে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও সবকিছু শান্তিপূর্ণ ছিল। শুক্রবার অভিযান শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি কঠিন হতে শুরু করে। কারেন বাস উল্লেখ করেন, লস অ্যাঞ্জেলেস স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলে ফেডারেল সরকার কতদূর যেতে পারে, সেটা দৃশ্যমান করা হচ্ছে। এর আগেও তিনি প্রশাসনের কাছে অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, অভিবাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাতভর তারা গণগ্রেপ্তার করেছে। একাধিক বিবৃতিতে শহরের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে বিক্ষোভ বন্ধ না করার জন্য ২০৩ জন, কারফিউ লঙ্ঘনের জন্য ১৭, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য ৩ এবং পুলিশ অফিসারের ওপর মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের জন্য একজন রয়েছেন। সংঘর্ষে দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউজে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ কিছুটা সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে, বিক্ষোভ থামানোর পাশাপাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে অভিবাসন অভিযান। লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ড এবং মেরিন বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, তাদের শুধু বিক্ষোভকারীদের আটকের ক্ষমতা রয়েছে। বুধবার মোতায়েন করা বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী মেজর জেনারেল স্কট শেরম্যান বলেন, ‘ফেডারেল কর্মীদের সুরক্ষার জন্যই তাদের কঠোরভাবে ব্যবহার করা হয়, যাতে কর্মীরা তাদের কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন এবং তাদের ফেডারেল মিশন ঠিকভাবে শেষ করার জন্য সুরক্ষা পান।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত