নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান মেহেদী, যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম রানা ও সদর উপজেলা আহ্বায়ক মো. রাশেদুল ইসলাম মামুনকে শোকজ করেছে সংগঠনের জেলা শাখা। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা শাখার মুখপাত্র নুসরাত জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর নির্দেশে শোকজ নোটিস জারি করা হয়। শোকজে বলা হয়, গত ৯ জুন অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী ও রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জবাব না দিলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ছাড়া রাশেদুল ইসলাম মামুনকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কারণ জানতে সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তার সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জুন, যখন মেহেদী সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহানের উদ্দেশে একটি সমালোচনামূলক পোস্ট করেন। পোস্টে জুলাইয়ের শহীদ, আহত ও সাধারণ মানুষের প্রতি জেলা প্রশাসককে আরও যতœবান হওয়ার অনুরোধ ছিল। রানা এই পোস্ট ডিলিট করে মেহেদীকে তিরস্কার করেন। এ নিয়ে সংগঠনের মেসেঞ্জার গ্রুপে দুজনের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়। ৮ জুন সিনিয়র নেতারা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও উভয় নেতা সাড়া দেননি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় তারা মেসেঞ্জারে সংঘর্ষের জন্য স্থান ও সময় নির্ধারণ করে।
গত ৯ জুন শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে মেহেদী ও রানা-মামুনের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। এ সময় হাতাহাতি ও লাঠিসোঁটার আঘাতে মেহেদীর গ্রুপের তিনজনসহ তিনি নিজে এবং মামুন গ্রুপের তিনজনসহ তিনি আহত হন।