কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের বগাবাড়িয়া গ্রামের হাজীপাড়া একটি ফিশারীর বাঁধ কেটে মাছ চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মৎসচাষী আবু ইসহাক ভূইয়া।
উপজেলার বগাবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাজী ইউনুস ভূইয়ার ছেলে আবু ইসহাক ভূইয়ার মালিকানাধীন ফিশারীর বাঁধ কেটে একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূইয়ার ছেলে একেএম নুরুজ্জামান ভূঁইয়া তার নিজস্ব ফিশারীতে মাছ স্থানান্তর করে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসহাক ভূইয়ার ফিশারীর বাঁধ কেটে নুরুজ্জামান ভূঁইয়া তার খালি ফিশারীতে মাছ নিয়ে সব মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে দেয়। ৩০ হাত ফিশারির পাড় কেটে ফেলে। ৩ জুন বরুড়া থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবু ইসহাক।
ভুক্তভোগী আবু ইসহাক ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন, আমার ফিশারীর বাঁধ কেটে নুরুজ্জামান ভূঁইয়া তার খালি ফিশারীতে আমার ফিশারীর প্রায় ৫০ মণ মাছ তার ফিশারীতে নিয়ে সব মাছ ধরে সে বাজারে বিক্রি করে দিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে দিছে। আমি এলাকায় বিচার চাইলে সে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বলে তুই আওয়ামী লীগের দোসর তোর সব কিছু আমি শেষ করে দিব। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে তৈরি করা আমার ফিশারীতে বিপুল পরিমাণ মাছ ছিল।
ইসহাক ভূঁইয়া এই ঘটনার বিচার চেয়ে বরুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি বহু কষ্টে এই মাছ চাষ করেছি। হঠাৎ করে এইভাবে বাঁধ কেটে মাছ নিয়ে যাওয়া চরম অন্যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো মাছ চুরি করিনি।
শুক্রবার (১৩ জুন) বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ইসহাক ভূঁইয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মতে, ইসহাক ও নুরুজ্জামান একই গ্রামের হলেও তাদের মধ্যে জমিজমা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকেই কিছু বিরোধ রয়েছে। এই ঘটনার ফলে গ্রামে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।