শরীর সুস্থ রাখতে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। ফল খাওয়া ভালো। কিন্তু সব ফল সবার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। কারও গ্যাস্ট্রিক আছে, কারও আবার সুগারের সমস্যা আছে। যার যেমন সমস্যা, তাকে বুঝেশুনে তেমন ফলই খেতে দিতে হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে টকজাতীয় ফল খাওয়া যাবে, তবে বেশি না। আবার যে ফলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি এমন ফল কিডনি রোগীদের কম খেতে হবে।
ডায়াবেটিস থাকলে : রক্তে শর্করার মাত্রা যদি ওঠানামা করে এবং নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়, তা হলে কলা ও আঙুর জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। এই দুটি ফলেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তার মানে কলা বা আঙুর খাওয়া একেবারে বাদ দিয়ে দিতে হবে, তা নয়। খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
কিডনিতে সমস্যা হলে : কিডনির রোগ থাকলে বেশি পটাশিয়াম আছে এমন খাবার বা ফল খাওয়া যায় না। তাই কলা, কমলালেবুর মতো ফল আপনার জন্য নয়। শুধু তা-ই নয়, খেজুর, আখরোট, কিশমিশ খেলেও কিন্তু রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে।
অস্থিসন্ধিতে ব্যথা : বাতের ব্যথা, হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে বেশি টমেটো, বেগুন না খাওয়াই ভালো। এই ধরনের সবজিতে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে। শরীরের প্রদাহ অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
হজমে সমস্যা : অতিরিক্ত গ্যাস, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা থাকলে আপেল, তরমুজ, চেরি জাতীয় ফল খাওয়া ঠিক নয়। এই সব ফলে ফ্রুক্টোজ ও সর্বিটলের মাত্রা বেশি, যা হজমে সমস্যা করতে পারে। তা ছাড়া আপেলে ফাইবারের মাত্রা বেশি, যা বদহজমের কারণ হতে পারে।
ত্বকের সমস্যায় : ত্বকের কোনো রোগ, যেমন চুলকানি, এগজিমা, সোরিয়াসিস থাকলে আম, আনারস, কমলালেবুর মতো ফল না খাওয়াই ভালো। এতে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল : রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি হলে নারকেল, লেবু জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। হাইপারটেনশন থাকলে এই সব ফল মাইগ্রেনের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে।