আইফোন নিয়ে অনেকেই বিরক্ত। কারণ এর চার্জ দীর্ঘ সময় থাকে না। ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। কয়েক বছরের পুরনো ফোন হলে তো চার্জ প্রায় ধরেই না। কিন্তু তাই বলে সারা দিন ‘লো পাওয়ার মোড’ এ ফোন চালাতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়।
সঠিক কিছু সেটিং বদলালেই পুরনো আইফোনেও ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব।
গুগল ম্যাপে রাস্তাঘাট দেখা, স্পটিফাইতে গান শোনা, অথবা কাউকে শেষবারের মতো মেসেজ পাঠানো যেকোনো সময়ই ফোনের ব্যাটারি হঠাৎ করে ফুরিয়ে যাওয়া এক বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কয়েকটি সিম্পল সেটিং পরিবর্তন করলেই এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
আপনার আইফোনের ‘ব্যাটারি হেলথ’ মেনুতে গিয়ে দেখে নিতে পারেন ব্যাটারির বর্তমান অবস্থা। ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশ বা তার বেশি থাকলে সেটিকে এখনো ‘নরমাল’ ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা সিনেটের প্রতিবেদনে এমন তিনটি আইওএস ফিচারের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। এগুলো বন্ধ করে দিলে ফোনের চার্জ অনেকটা সময় ধরে টিকবে। সেগুলো হলো লক স্ক্রিন থেকে উইজেট সরিয়ে দিন।
লক স্ক্রিনে থাকা উইজেটগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ চালিয়ে তথ্য আপডেট করতে থাকে। এতে ব্যাটারি দ্রুত ফুরোয়।
উইজেট সরাতে লক স্ক্রিনে চাপ দিয়ে ধরে ‘কাস্টমাইজ’ অপশনে যান, ‘লক স্ক্রিন’ বেছে নিন, এরপর উইজেট বক্সে গিয়ে প্রতিটি উইজেটের পাশে থাকা চিহ্নে চাপ দিয়ে তা সরিয়ে ফেলুন। আইফোনের অ্যানিমেশন কমান আইওএস-এর চোখধাঁধানো অ্যানিমেশনগুলো দেখতে ভালো লাগলেও এগুলো ব্যাটারির ওপর প্রভাব ফেলে।
এটা বন্ধ করতে : সেটিংস > অ্যাক্সেসিবিলিটি > মোশন > রিডিউস মোশন চালু করে দিন। এতে হালকা অ্যানিমেশন দেখা যাবে এবং ব্যাটারির চার্জও সাশ্রয় হবে।
কিবোর্ডের হ্যাপটিক ফিডব্যাক বন্ধ করুন। আইওএস ১৬ থেকে কিবোর্ডে টাইপ করার সময় হালকা কম্পনের ফিচার যোগ হয়েছে, যাকে বলা হয় হ্যাপটিক ফিডব্যাক। তবে অ্যাপল নিজেই জানিয়েছে, এই ফিচারটি ব্যাটারির চার্জ কমিয়ে দিতে পারে।
বন্ধ করতে : সেটিংস > সাউন্ড অ্যান্ড হ্যাপটিক > কিবোর্ড ফিডব্যাক > হ্যাপটিক বন্ধ করে দিন।
এ ধরনের সহজ পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি পুরনো আইফোনেও ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘসময় ধরে রাখতে পারবেন।