বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফকে ঢাকায় আর ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না। মাত্র দেড় বছরের মাথায় তার কূটনৈতিক মিশন শেষ করে তাকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত পাকিস্তানের বর্তমান হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেছে বলে গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্পোকসম্যান এবং জং-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সৈয়দ আহমেদ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন। চলতি বছরের ১১ মে হঠাৎ ছুটিতে গিয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। দুবাই হয়ে ইসলামাবাদ যাওয়ার দিনই পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, তিনি দুই সপ্তাহের ছুটিতে গেছেন এবং তার অনুপস্থিতিতে উপহাইকমিশনার মুহাম্মদ আসিফ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সে সময় ছুটির নির্দিষ্ট মেয়াদ জানানো হয়নি। পরে বলা হয়, তিনি দুই সপ্তাহের ছুটিতে আছেন।
তবে পরিস্থিতি মোড় নেয় ভিন্নদিকে। গুঞ্জনের মধ্যেই আজ জানা গেল সৈয়দ মারুফের ছুটি ছিল আসলে স্থায়ী বিদায়ের ইঙ্গিত। গত মে মাসে তিনি কক্সবাজার সফরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘন ঘন সফরের কারণে আলোচনায় ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখার কারণে আলোচিত হন এই কূটনীতিক। ঢাকায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। এমনকি বিভিন্ন উপদেষ্টা, সরকারি-বেসরকারি মহলের সঙ্গেও বৈঠকে দেখা গেছে তাকে।
তার এই ‘অতিরিক্ত সক্রিয়তা’ ও আকস্মিক ছুটি নিয়ে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রহস্য ও জল্পনা-কল্পনা চলছিল। সেসব গুঞ্জনের ইতি টানল আজকের এ ঘোষণায়।
নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার মিয়ানমারে দীর্ঘদিন কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। অভিজ্ঞ এই কূটনীতিকের মাধ্যমে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।