গঠনতন্ত্র বলে, ‘উপদেষ্টা হবেন খ্যাতনামা ক্রিকেটার কিংবা প্রখ্যাত সংগঠক।’ কিন্তু বাস্তবতা বলছে, বিসিবির নতুন উপদেষ্টা কমিটিতে যারা এলেন, তাদের কেউই এ দুই পরিচয়ে পরিচিত নন।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির মাসিক সভায় বোর্ড সভাপতির তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। তারা হচ্ছেন আতিথেয়তা খাতের পেশাজীবী মো. শাখাওয়াত হোসেনকে ক্রিকেট ট্যুরিজম উপদেষ্টা, ক্রীড়া সাংবাদিক ও শখের ক্রিকেটার সৈয়দ আবিদ হোসেন সামিকে ক্রিকেটবিষয়ক পরামর্শক এবং আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শাইখ মাহাদি আইন উপদেষ্টা।
আবিদ হোসেন সামি একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। ঢাকার প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বটে, তবে জাতীয় লিগ কিংবা প্রিমিয়ার ডিভিশন পর্যায়ে তার অংশগ্রহণ নেই। অন্য দুজন ক্রিকেট থেকে একেবারেই দূরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেখুন ক্রিকেট তো এখন শুধু একটা খেলা নয়। এখানে কর্মসংস্থান তৈরি করা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার লক্ষ্য থাকে। সেজন্যই ক্রিকেট ট্যুরিজম এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের ক্রিকেটের পরিচয়কে আরও বড় করে দেবে। সেজন্যই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত নন এমন একজনকেই ক্রিকেট ট্যুরিজম উপদেষ্টা হিসেবে নিয়েছি। তাছাড়া এখানে আইন-কানুনের বিষয় আছে। তাই একজন আইনজীবীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।’
দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল দীর্ঘদিন ধরে আইসিসিতে ক্রিকেট নিয়েই কাজ করেন। তার কেন ক্রিকেট উপদেষ্টার প্রয়োজন হবে? জানতে চাইলে বুলবুল বলেন, ‘এখানে তার (আবিদ হোসেন সামী) কাজটা একটু ব্যতিক্রম। ক্রিকেট কিন্তু এখন ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। আইসিসির মেজর আয় কিন্তু ডিজিটালাইজড, ব্রডকাস্ট এবং স্ট্রিমিং থেকেই। সে কারণেই আমার একজন লোক লাগবে যে কি না এ বিষয়ে আমাদের ক্রিকেট প্রমোশনের জন্য ভালো ধারণা দিতে পারবে।’ তবুও তাদের পরিচয় তো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নয়। এরপর বুলবুলের জবাব, ‘আমাদের প্রয়োজনে এখন আমরা সেটা করেছি। তারা সবাই ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট। এজন্যই তাদের নেওয়া।’