নোবেল পাওয়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারা, কেন, নোবেল পান সেই উপলব্ধিও জানিয়েছেন। বলেছেন, তার মতো ব্যক্তিরা নোবেল পাবেন না। নোবেল দেওয়া হয় উদারপন্থিদের। এরপরও যুদ্ধ লাগানো এবং অশান্তি সৃষ্টির জন্য ভবিষ্যতে নোবেল বা এ ধরনের পুরস্কার প্রবর্তন হলে তখন ভিন্ন কথা। বুঝ মতোই বলেছেন, কাজও করেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধে জড়াবেন কি-না, তা জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে, এক-দুদিনের মধ্যেই যথারীতি যুদ্ধে জড়িয়ে গেলেন তিনি। ট্রাম্প ব্যবহৃত হলেন, না নেতানিয়াহুকে ব্যবহার করলেন তা ব্যাখ্যা হচ্ছে, বিভিন্নভাবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন তার কার্যালয়ে ভাষণ মঞ্চে দাঁড়ান, তখন তিনি প্রথমে দেশের জনগণকে তার যুদ্ধের সর্বশেষ নাটকীয় পরিবর্তনের খবর জানানোর জন্য হিব্রুতে ভাষণ দেননি। ইংরেজিতে কথা বলেছেন। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলার পর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি প্রশংসায় মাতেন।
ইরানকে বরাবরই তিনি ইসরায়েলের জন্য থ্রেট বলে আসছেন। গত ১৫ বছরের বেশির ভাগ সময় তার মার্কিন মিত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কেবল মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রই ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করতে পারে। সেখানে এখন তিনি অনেকটা সফল। ইরানে মার্কিন হামলায় স্তম্ভিত বিশ্বনেতারা। ইরান-ইসরায়েল হামলা-পাল্টা হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েল জোরালোভাবে জানান দিয়ে আসছে, তার ‘আজরাইলি’ শক্তির কথা। আসলে এর নেপথ্যে ছিল মার্কিন ভরসা। কারণ ইরানকে বধ করার সামরিক শক্তি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই রয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ের গভীরে নির্মিত ফারদোর মতো সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রায় সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষতি করার সক্ষমতা। মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান এরই মধ্যে যুদ্ধের বাঁক বদলে দিয়েছে। সংঘাত আরও তীব্র হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরান ও তার মিত্রদের জবাব দেওয়ার ওপর।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি আগেই জানিয়ে রেখেছেন, যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এটি কোনো বিষয় নয়। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে নেওয়া তার কাছে স্রেফ একটি জুয়া খেলার মতো। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মী, ব্যবসা ও নাগরিকরা লক্ষ্যবস্তু হলেও তার কিছু যায় আসে না। তার কাছে এটি যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলার একটি ম্যাচ বা অংশ মাত্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যা করতে চান, সেটা হোয়াইট হাউজকে সঙ্গে নিয়ে করতে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু মাত্র ১৫০ দিনের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর মনে হচ্ছে, ট্রাম্পও তার পূর্বসূরিদের মতো একই ফাঁদে পড়েছেন।
এবারের দফায় ট্রাম্পের শপথের কয়েক দিন আগে তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ নেতানিয়াহুর সঙ্গে শাব্বাতে (ইসরায়েলে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন) দেখা করার দাবি নিয়ে ইসরায়েলে যান। এর উদ্দেশ্য ছিল, গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেওয়া। ওই সময় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এটিকে ‘ট্রাম্প ফ্যাক্টর’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধোঁয়াশা রেখে দেওয়া এবং চুক্তি করার দক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত করে। এ ট্রাম্প ফ্যাক্টর ক্ষমতাধর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে সামলানোর ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। নেতানিয়াহু এর আগে বিভিন্ন সময় মার্কিন প্রশাসনকে এ অঞ্চলে তার সামরিক অভিযানকে সমর্থন দিতে রাজি করাতে সক্ষম হলেও, ইসরায়েলের কিছু সমালোচক ট্রাম্পের প্রশংসা করতে শুরু করেছিলেন এই বলে যে, তার নেতানিয়াহুর প্রভাব প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, ট্রাম্পের নিজস্ব উপলব্ধিতে পরিবর্তন এসেছে। কয়েক প্রজন্মের মধ্যে তিনি ইরানের ওপর এমন এক হামলা চালিয়েছেন, যার প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে। প্রথম দিকে কারও কারও ধারণা ছিল, ট্রাম্প প্রশাসন নেতানিয়াহুর সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষা নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি হামলা চালাতে কৌশলে টেনে আনতে পেরেছেন। এর আগে একের পর এক চালানো সামরিক হামলা থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে নিবৃত্ত করতে পারেনি ওয়াশিংটন।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রাম্প বলেই দিয়েছেন, আমরা এমন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছি, যা সম্ভবত এর আগে অন্য কোনো টিম করেনি। ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রথম যে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল, সেটা থেকে ট্রাম্পের এ বক্তব্যের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও হামলাগুলোকে ‘একতরফা’ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্ত নয়। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো এ অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীকে রক্ষা করা।’ সেখানে এক সপ্তাহে সব ওলটপালট। লুকোচুরির আর কিছু নেই। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার কারণেই ইরানের শক্ত অবস্থান। ২০২০ সালে ট্রাম্প ইরানের বিপ্লবী গার্ড নেতা কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার পর ইরান এই পথ বেছে নিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় রবিবার বিকেল ৫টার দিকে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেন, ‘সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) শব্দটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। কিন্তু ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা যদি দেশটিকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে কেনই বা সরকার পরিবর্তন হবে না? বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা, সরকার পরিবর্তন নয়। কিন্তু ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য হেগসেথের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আলাদা একটি পোস্টে ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ইরানে হামলা চালানো বি-২ বোমারু বিমানগুলো মিসৌরিতে নিরাপদে ফিরে এসেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদে রবিবার রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভে শরিক হন। ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তেহরানের ঐতিহাসিক ইনকিলাব স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী সেøাগান দেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই হাতে ছিল ইরানের জাতীয় পতাকা। কোনোটিতে লেখা ছিল, ইরান আমাদের মাতৃভূমি। তার মাটি আমাদের সম্মান, তার পতাকা আমাদের কাফন। পরিস্থিতির আলোকে জাতিসংঘ ডাক-দোহাই দিচ্ছে। বলছে, সমঝে চলতে। নমুনা খারাপের দিকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তা আমল পাচ্ছে না। মুসলিম দেশগুলোর বড় অভিভাবক ওআইসিও দর্শকের মতো তামাশা দেখছে। ইসলামি চেতনার ভিত্তিতে মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি সম্মেলন সংস্থা গঠনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে অনেক আগে থেকে। এই উদ্দেশে ১৯৬৪ সালে কিছু মুসলিম দেশ ও রাষ্ট্রপ্রধানরা সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে মিলিত হন এবং এই ঐক্য ও সংহতির ভিত্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এদিকে ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট মুসলমানদের পবিত্র ঘর মসজিদুল আকসায় ইহুদিরা অগ্নিসংযোগ করলে মুসলিম ঐক্যের বিষয়টি তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এই উদ্দেশে ওই বছরের ২২-২৫ সেপ্টেম্বর ২৪টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মরক্কোর রাজধানী রাবাতে একটি শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হন।
উক্ত শীর্ষ সম্মেলনে গঠিত হয় অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স- ওআইসি। সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায়। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। এই সংস্থা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় স্থানগুলো শত্রুর কবলমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে এবং মুসলিম ভ্রাতৃত্ব জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে। মূল সংগঠনের বাইরে ওআইসির ছয়টি সহযোগী, ১৮টি অধিভুক্ত, সাতটি বিশেষায়িত সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং চারটি স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। এ ছাড়া ওআইসি চারটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ছয়টি আঞ্চলিক অফিস পরিচালনা করে। বর্তমানে ওআইসির ৫৭টি সদস্য আছে, যার মধ্যে ৫৬টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র এবং ৪৯টি রাষ্ট্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিম আফ্রিকাসহ বেশ কিছু দেশে যদিও অনেক মুসলিম জনসংখ্যা আছে; কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নয়। আবার উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যাসহ কয়েকটি দেশ, যেমন রাশিয়া ও থাইল্যান্ড পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে আছে।
ওআইসির কাজ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সার্বভৌম ও পৃথক সত্তা নিশ্চিত করা। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান গবেষণাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতা প্রসার করা। প্রতিটি জাতিসত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং বর্ণবাদকে বিযুক্ত করাসহ যেকোনো ধরনের ঔপনিবেশিকতাবাদকে সমূলে উৎপাটন করা। আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য আইনের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। পবিত্র স্থাপনাগুলোকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়া। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুনরুদ্ধারসহ স্বাধীন ভূখণ্ডের আন্দোলনকে সমর্থন করা। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মর্যাদা, স্বাধীন সত্তা এবং জাতীয় অধিকারের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করাসহ আরও অনেক কাজ ওআইসির। চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তারা কূলকিনারা পাচ্ছে না।
ওআইসির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ এই হামলাকে বেআইনি ও আগ্রাসী আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে। এ আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও ইরানের সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন উল্লেখ করে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা। এসব নিন্দা ও প্রতিবাদ আসলে কতটা কাজে আসবে, তা সময়ই বলে দেবে। ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে চলছে। মুখে বা দৃশ্যত নানা কথা বলা হলেও ধনী ও নেতৃস্থানীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতা ও নির্লিপ্ততা মুসলিম উম্মাহর জন্য উদ্বেগের বড় কারণ। এসব দেশ ভেতরে-ভেতরে মার্কিন আশীর্বাদে ধন্য হতে চায়। আরেক বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আর ভোটের দরকার নেই । তাই ভোটারদের কাছে দায়বদ্ধতাও নেই। যেমন খুশি তেমন সাজে কোনো বাধা নেই। আরেক বাস্তবতা হচ্ছে, ধর্ম দিয়ে যারা সবকিছু বিচার করে তাদের কাছে মানুষ নয়, ধর্মীয় পরিচয়টাই আসল। সেই কারণে ইরানিরা শিয়া না সুন্নি, সেই মীমাংসা করতে বসে। অথচ বিবেচ্য হওয়া উচিত, কে অত্যাচারী আর কে অত্যাচারিত। কে জালিম আর কে মুজলুম?
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট, ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন