রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার কর্তৃক শপথ পাঠ করানোর বৈধতা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৭ জুলাই ধার্য করেছে উচ্চ আদালত। গতকাল সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এদিন ধার্য করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।
ব্যারিস্টার ওমর ফারুক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আজকে (গতকাল) এই রিট মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ৪ নম্বর ক্রমিকে ছিল। জরুরি বিবেচনায় শুনানির জন্য আরজি জানিয়েছিলাম। আদালত ৭ জুলাই দিন ধার্য করেছে।’
এর আগে গত ১১ মার্চ স্পিকার কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়ানোর বৈধতা প্রশ্নে রুল দেয় হাইকোর্ট। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করা কেন ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না এবং এই বিধান স্বেচ্ছাচারী, অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী হওয়ায় কেন তা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ১০ মার্চ লেখক ও গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করা হয়।
আবেদনের যুক্তিতে রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর আগে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এটির পরিবর্তন হয়ে স্পিকার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে স্পিকার কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সংবিধানের অভিভাবক। আর রাষ্ট্রপতি সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।