বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

স্থিতিশীলভাবে এগোচ্ছে অর্থনীতি

আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ১২:৩৪ এএম

বিগত সময়ে নানা অনিয়মের কারণে অর্থনীতিতে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, তা স্থিতিশীলভাবে ধীরে ধীরে সেরে উঠছে। আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেটিও অর্থনীতির স্থিতিশীল উত্তরণ ও শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

গতকাল মঙ্গলবার জুন মাসের ইকোনমিক আপডেট প্রকাশ করে সংস্থাটি। এতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আগামী অর্থবছরের বাজেটটি হবে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর বাজেট। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশকে ঋণের ফাঁদে পড়া থেকে দূরে রাখা। কারণ বর্তমানে বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে ঋণ ও সুদ পরিশোধে। এটি যাতে ভবিষ্যতে উদ্বেগের কারণ না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে। ঋণ, পরিচালন ব্যয় ও সুদ পরিশোধের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একদিকে রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়াতে হবে, অন্যদিকে এসব ব্যয় সীমিতকরণের বিষয়েও উদ্যোগ নিতে হবে। বাজেটের আকার ছোট করা হয়েছে, যাতে ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৪ শতাংশের নিচে থাকে।

গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সাম্প্রতিককালে স্থিতিশীলভাবে এ মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে বলে ইকোনমিক আপডেটে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মে মাসে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৯ দশমিক ০৯ শতাংশে নেমে আসে। এটি সাম্প্রতিককালে মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। যে ধারা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। এর বাইরে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পাশাপাশি অর্থনীতির বহিঃস্থ খাতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত