হেডিংলি টেস্টের পঞ্চম দিন, ইংল্যান্ডের প্রয়োজন সাড়ে তিনশ রান, ভারতের ১০ উইকেট। আগের চারদিন ম্যাচের হাল ধরে রাখা ভারতকেই ফেভারিট মানবেন যেকোনো স্বাভাবিক ক্রিকেট জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ। কিন্তু ভেন্যুটি যখন লিডসের হেডিংলি, তখন ইংলিশরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন সে সাক্ষী ইতিহাস দেয়। ২০১৯ অ্যাশেজে বেন স্টোকস ও জ্যাক লিচের সেই বীরত্ব এখনো জ্বলজ্বলে এই মাঠ জুড়ে। ৩৫৯ রান তাড়ায় শেষ উইকেটে দুজনের সেই ৭৩ রানের জুটি ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল তাদের ইতিহাসের সেরা জয়টি। একই মাঠে এবার শেষ নয় বরং প্রথম উইকেট জুটিতে ভারতকে কাঁদিয়ে ছাড়েন দুই ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। আগের দিন ২১ রান তোলা এ উদ্বোধনী জুটিতে শেষ দিনে যোগ হয় আরও ১৬৭ রান। তার মধ্যেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ডাকেট।
দুজনের জুটি ১৮৮ রান ও দিনের খেলা ৩৬ ওভারে পৌঁছানোর পর ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৬৫ রানে ফেরেন ক্রলি। পরের ওভারেই ফেরান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ওলি পোপকে। ২০৬ রানে ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড তাতে দমে না গিয়ে বরং সচল রাখে রানের চাকা। জো রুটকে নিয়ে ডাকেট গড়েন ৪৭ রানের জুটি। এরপর জোড়া আঘাত হানেন শারদুল ঠাকুর। পর পর দুই বলে ফেরান ডাকেট ও হ্যারি ব্রুককে। ফেরার আগে ডাকেটের নামের পাশে রান ১৭০ বলে ১৪৯। তাতে ২১টি চার ও ১টি ছক্কার মার। ব্রুক অবশ্য ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। এরপর রানের গতিতে কিছুটা পড়তি আসে ইংল্যান্ডের। স্বাগতিকরা যখন চা-বিরতিতে যান, তখন ইংল্যান্ডের চাই আর মাত্র ১০২ রান।
শেষ সেশনে ৫ উইকেট হাতে রেখে ওই রান তুলে ফেলে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির প্রথম টেস্টটি জিতে নেয় ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে যশস্বী, শুবমান ও রিশাভের সেঞ্চুরিতে ৪৭১ রানের জবাবে ইংল্যান্ড পোপের সেঞ্চুরি ও ব্রুকের ৯৯ রানে তুলেছিল ৪৬৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল ও রিশাভের সেঞ্চুরিতে তোলা ৩৬৪ রানের জবাবে ডাকেটের দারুণ ইনিংসে ভর করে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল ইংলিশরা। আর হার দিয়ে অধিনায়কত্ব শুরু হলো ভারতের নয়া কাপ্তান শুবমান গিলের।