সিয়েরা লিওনে বাংলা যেভাবে দাপ্তরিক ভাষা হলো
| ৬ মার্চ, ২০২২ ০০:০০
লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আলী পিএসসি, সিগসবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে আমি আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে গিয়েছিলাম। সেটা ২০০৫-এর কথা। সব কথা ও ঘটনা এখন আর মনে নেই। ২০০৫-এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এই সময়টা আমি সেখানে কাটিয়েছিলাম। নিজের দেশের বাইরে, চেনা পরিচিতির বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দেশ, মহাদেশ। আফ্রিকায় আমার কাজ ছিল সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমরা ফ্রিটাউন এবং গডরিচ নামে দুটি জায়গাতে ছিলাম, যেখানে আমাদের ক্যাম্প ছিল। সিয়েরা লিওনের রাজধানী হচ্ছে ফ্রিটাউন।
আমরা যাওয়ার আগেই ২০০২ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে অফিশিয়াল ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ভৌগোলিক বা সাংস্কৃতি উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সিয়েরা লিওন। কিন্তু এ দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই গভীর ও আন্তরিক হয়েছিল যে, বাংলাদেশের ভাষাকে নিজেদের করে নিয়েছিল সিয়েরা লিওন। ১৯৯১-২০০২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। সেই সময়ে সিয়েরা লিওনে শান্তি ফেরাতে বিপুল পরিমাণ শান্তিবাহিনী নিয়োগ করে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তখন সেখানে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সেনারা সিয়েরা লিওনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দেশটিতে শান্তি ফেরাতে রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা। বিদ্রোহীদের দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের কার্যক্রম তখন খুবই প্রশংসিত হয়েছিল। ওই সময়ে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আহমাদ তেজান কাব্বাহ বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের ভূমিকাকে চিরস্মরণীয় রাখতে বাংলা ভাষাকে দেশটির সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন। আমরা যখন জানুয়ারিতে সিয়েরা লিওনে যাই, তার পরের মাসেই একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্্যাপন করা হয়েছিল। তখন সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষাকে মর্যাদাবান হওয়ার বিষয়টি নিজের চোখে দেখে দেশটির প্রতি একধরনের আত্মীয়তার বন্ধন স্থাপিত হয়।
এ বছর ২০২২ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পালিত হচ্ছে, এই সময়ে এসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ সিয়েরা লিওন বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। মনে পড়ছে ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থাৎ ২০০২ সালে সিয়েরা লিওন বাংলাকে নিজেদের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। জাতিসংঘ শান্তি মিশনের অংশ হিসেবে সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রেরণের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কেরও অনেক উন্নতি ঘটে। ১৯৬১ সালে সিয়েরা লিওন স্বাধীনতা পায়। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর দেশটিতে দুর্নীতি, অপশাসন, অযোগ্যতার কারণে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো সিয়েরা লিওনের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যোগ দেয়। বাংলাদেশ থেকে ৭৭৫ জন সেনার প্রথম দলটি সিয়েরা লিওনের দক্ষিণ অঞ্চলে লুঙ্গি নামক স্থানে দায়িত্ব নেয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে আরও সেনা সিয়েরা লিওন যান এবং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জন সেনা একত্রে সিয়েরা লিওনে কর্মরত ছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ দল ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত সামরিক কর্মকা-ের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন জাতির মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ গড়ে তোলার চেষ্টায় কাজ করে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সাধারণ সেনারা ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করতে থাকেন। বাংলা ভাষা স্থানীয় লোকজনের অপরিচিত হওয়ায় বাঙালি সেনারা তাদের ধৈর্যের সঙ্গে তা শেখাতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে খুব আগ্রহের সঙ্গে। ভাষার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে থাকে। লক্ষ্য করা যায়, ২০০২ সালের মধ্যে যেখানেই বাংলাদেশি সেনাদল আছে, সেখানেই স্থানীয়রা বিশেষত তরুণ-তরুণীরা বাংলায় কথা বলতে পারছে। বিভিন্ন সভায় স্থানীয়রা বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের বাঙালি নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায়। বাংলাদেশ সেনাদলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। স্থানীয়রা কাজ চালানোর মতো বাংলা ভাষা শিখে নেওয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাদল অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়। আমরা যখন রাস্তায় বের হতাম সিয়েরা লিওনের শিশুরা আমাদের ট্যাংকের সামনে চলে আসত। জিপের সামনে উঠে দাঁড়াত। আমাদের দেখলেই ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ সেøাগান দিয়ে উঠত। নিজের দেশের বাইরে, পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বাংলাদেশ উচ্চারিত হওয়া দেখে অন্যরকম এক ভালোলাগা তৈরি হতো। এটা ভাবতে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের বাইরে আরেকটি দেশ যেখানে মানুষ বাংলায় কথা বলে, বাংলা সেখানে তাদের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। নিজের দেশের বাইরে না গেলে, নিজ ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর বাইরে না গেলে মাতৃভাষার দরদ অনুভূত হয় না বলেই মনে হয়। সিয়েরা লিওন বাংলাদেশ থেকে এক দূরতম দেশ হয়েও তাই নিজ দেশের মতোই আপন। কেননা, ওরাও তো বাংলায় কথা বলে!
লেখক : সাবেক সামরিক কর্মকর্তা
শেয়ার করুন
| ৬ মার্চ, ২০২২ ০০:০০

লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আলী পিএসসি, সিগসবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে আমি আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে গিয়েছিলাম। সেটা ২০০৫-এর কথা। সব কথা ও ঘটনা এখন আর মনে নেই। ২০০৫-এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এই সময়টা আমি সেখানে কাটিয়েছিলাম। নিজের দেশের বাইরে, চেনা পরিচিতির বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দেশ, মহাদেশ। আফ্রিকায় আমার কাজ ছিল সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমরা ফ্রিটাউন এবং গডরিচ নামে দুটি জায়গাতে ছিলাম, যেখানে আমাদের ক্যাম্প ছিল। সিয়েরা লিওনের রাজধানী হচ্ছে ফ্রিটাউন।
আমরা যাওয়ার আগেই ২০০২ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে অফিশিয়াল ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ভৌগোলিক বা সাংস্কৃতি উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সিয়েরা লিওন। কিন্তু এ দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই গভীর ও আন্তরিক হয়েছিল যে, বাংলাদেশের ভাষাকে নিজেদের করে নিয়েছিল সিয়েরা লিওন। ১৯৯১-২০০২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। সেই সময়ে সিয়েরা লিওনে শান্তি ফেরাতে বিপুল পরিমাণ শান্তিবাহিনী নিয়োগ করে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তখন সেখানে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সেনারা সিয়েরা লিওনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দেশটিতে শান্তি ফেরাতে রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা। বিদ্রোহীদের দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের কার্যক্রম তখন খুবই প্রশংসিত হয়েছিল। ওই সময়ে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আহমাদ তেজান কাব্বাহ বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের ভূমিকাকে চিরস্মরণীয় রাখতে বাংলা ভাষাকে দেশটির সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন। আমরা যখন জানুয়ারিতে সিয়েরা লিওনে যাই, তার পরের মাসেই একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্্যাপন করা হয়েছিল। তখন সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষাকে মর্যাদাবান হওয়ার বিষয়টি নিজের চোখে দেখে দেশটির প্রতি একধরনের আত্মীয়তার বন্ধন স্থাপিত হয়।
এ বছর ২০২২ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পালিত হচ্ছে, এই সময়ে এসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ সিয়েরা লিওন বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। মনে পড়ছে ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থাৎ ২০০২ সালে সিয়েরা লিওন বাংলাকে নিজেদের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। জাতিসংঘ শান্তি মিশনের অংশ হিসেবে সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রেরণের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কেরও অনেক উন্নতি ঘটে। ১৯৬১ সালে সিয়েরা লিওন স্বাধীনতা পায়। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর দেশটিতে দুর্নীতি, অপশাসন, অযোগ্যতার কারণে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো সিয়েরা লিওনের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যোগ দেয়। বাংলাদেশ থেকে ৭৭৫ জন সেনার প্রথম দলটি সিয়েরা লিওনের দক্ষিণ অঞ্চলে লুঙ্গি নামক স্থানে দায়িত্ব নেয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে আরও সেনা সিয়েরা লিওন যান এবং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জন সেনা একত্রে সিয়েরা লিওনে কর্মরত ছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ দল ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত সামরিক কর্মকা-ের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন জাতির মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ গড়ে তোলার চেষ্টায় কাজ করে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সাধারণ সেনারা ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করতে থাকেন। বাংলা ভাষা স্থানীয় লোকজনের অপরিচিত হওয়ায় বাঙালি সেনারা তাদের ধৈর্যের সঙ্গে তা শেখাতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে খুব আগ্রহের সঙ্গে। ভাষার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে থাকে। লক্ষ্য করা যায়, ২০০২ সালের মধ্যে যেখানেই বাংলাদেশি সেনাদল আছে, সেখানেই স্থানীয়রা বিশেষত তরুণ-তরুণীরা বাংলায় কথা বলতে পারছে। বিভিন্ন সভায় স্থানীয়রা বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের বাঙালি নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায়। বাংলাদেশ সেনাদলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। স্থানীয়রা কাজ চালানোর মতো বাংলা ভাষা শিখে নেওয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাদল অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়। আমরা যখন রাস্তায় বের হতাম সিয়েরা লিওনের শিশুরা আমাদের ট্যাংকের সামনে চলে আসত। জিপের সামনে উঠে দাঁড়াত। আমাদের দেখলেই ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ সেøাগান দিয়ে উঠত। নিজের দেশের বাইরে, পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বাংলাদেশ উচ্চারিত হওয়া দেখে অন্যরকম এক ভালোলাগা তৈরি হতো। এটা ভাবতে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের বাইরে আরেকটি দেশ যেখানে মানুষ বাংলায় কথা বলে, বাংলা সেখানে তাদের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। নিজের দেশের বাইরে না গেলে, নিজ ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর বাইরে না গেলে মাতৃভাষার দরদ অনুভূত হয় না বলেই মনে হয়। সিয়েরা লিওন বাংলাদেশ থেকে এক দূরতম দেশ হয়েও তাই নিজ দেশের মতোই আপন। কেননা, ওরাও তো বাংলায় কথা বলে!
লেখক : সাবেক সামরিক কর্মকর্তা