যখন চাকরিকে ভালোবাসেন, কিন্তু সহকর্মীদের নয়
অনলাইন ডেস্ক | ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:২৮
প্রতীকী ছবি
চাকরির কারণে আমাদের অনেককেই পরিবারের সদস্যদের চেয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হয়। তার মানে এই নয় যে, চাকরিজীবীরা সব সহকর্মীকেই ভালোবাসেন। অনেক সময় চাকরি বা পেশাকে ভালোবাসলেও সহকর্মীদের সঙ্গে থাকে দূরত্ব।
কখনো কখনো অনেকের সঙ্গে বক্তিগত দ্বন্দ্ব, কাজ ও ব্যবস্থাপনা কৌশলে মতপার্থক্য দেখা দেয়। অথচ পেশাগত সাফল্য অর্জনে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি। এ অবস্থায় কী করবেন?
‘টেম ইউর টেরিবল অফিস টাইর্যান্ট’ (আপনার অফিসের ভয়ানক স্বৈরশাসককে বশে আনুন) বইয়ের লেখিকা লিন টেইলরের মতে, কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব থাকার দরকার নেই। তবে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা উচিত। অপছন্দের লোকদের সঙ্গে কীভাবে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় সিএনএন অবলম্বনে এ ধরনের কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো-
নিরপেক্ষ এলাকায় সাক্ষাৎ
সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলার উৎস অনুসন্ধান করুন। পরিস্থিতির উন্নয়নে আলোচনা করতে তাকে দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিন। টেইলরের পরামর্শ, খেতে বসে ছোটখাট বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। যেমন- আপনি আমার সঙ্গে কাজ করতে কেমন বোধ করেন? কিংবা আমি কীভাবে আমাদের সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি?
টেইলর বলেন, অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এ সময় কোনো ধরনের অজুহাত পেশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না। খোলাখুলি কথা বলুন, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন ও আশাবাদী থাকুন। উভয়ের আচরণগত সমস্যা কীভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে কথা বলুন।
সীমানা নির্ধারণ
আপনি কারো আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু নিজের প্রতিক্রিয়া ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যদি আপনি কারো ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও বেশি কথা বলা পছন্দ না করেন তাহলে আক্রমণাত্মক হওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে এসব আচরণ ও এর ক্ষতিকারক প্রভাব নোট করুন। এই তথ্য নিয়মিত ম্যানেজার বা সহকর্মীদের প্রদানের পরামর্শ দেন সংস্থা-কারখানা বিষয়ক মনোবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ অ্যামি কুপার হাকিম।
নিরাপদ স্থানের সন্ধান
যদি আপনি কাজের সময় অপছন্দের কারো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চান তাহলে কাজের ভিন্ন সময়সূচি নেয়ার চেষ্টা করুন। স্থান পরিবর্তনের আবেদনও করতে পারেন। কুপার হাকিমের মতে, ‘সপ্তাহে একদিনও যদি অপছন্দের ব্যক্তি থেকে ভিন্ন পরিবেশে কাজ করতে পারেন তাহলেও আপনার দিনটি ভালো যাবে।’
মনোবিজ্ঞানী ও লেখক পল হোয়াইট বলেন, অপছন্দের সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। এতে বিরক্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন।
একা থাকবেন না
ধরুন, আপনি অন্তর্মুখী স্বভাবের। অপরদিকে আপনার সহকর্মী শুধু বহির্মুখীই নয়, বরং এক্ষেত্রে তলনামূলক বেশিই। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
লেখিকা টেইলরের মতে, ‘কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক থাকবে। প্রত্যেকে কেমন তা বোঝার চেষ্টা করুন। স্বভাবগত পার্থক্যের জন্য তাদের প্রশংসা করুন।’ পল হোয়াইট বলছেন, ‘সহকর্মীদের ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গে যতটা সম্ভব যোগাযোগ বজায় রাখুন।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:২৮

চাকরির কারণে আমাদের অনেককেই পরিবারের সদস্যদের চেয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হয়। তার মানে এই নয় যে, চাকরিজীবীরা সব সহকর্মীকেই ভালোবাসেন। অনেক সময় চাকরি বা পেশাকে ভালোবাসলেও সহকর্মীদের সঙ্গে থাকে দূরত্ব।
কখনো কখনো অনেকের সঙ্গে বক্তিগত দ্বন্দ্ব, কাজ ও ব্যবস্থাপনা কৌশলে মতপার্থক্য দেখা দেয়। অথচ পেশাগত সাফল্য অর্জনে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি। এ অবস্থায় কী করবেন?
‘টেম ইউর টেরিবল অফিস টাইর্যান্ট’ (আপনার অফিসের ভয়ানক স্বৈরশাসককে বশে আনুন) বইয়ের লেখিকা লিন টেইলরের মতে, কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব থাকার দরকার নেই। তবে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা উচিত। অপছন্দের লোকদের সঙ্গে কীভাবে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় সিএনএন অবলম্বনে এ ধরনের কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো-
নিরপেক্ষ এলাকায় সাক্ষাৎ
সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলার উৎস অনুসন্ধান করুন। পরিস্থিতির উন্নয়নে আলোচনা করতে তাকে দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিন। টেইলরের পরামর্শ, খেতে বসে ছোটখাট বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। যেমন- আপনি আমার সঙ্গে কাজ করতে কেমন বোধ করেন? কিংবা আমি কীভাবে আমাদের সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি?
টেইলর বলেন, অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এ সময় কোনো ধরনের অজুহাত পেশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না। খোলাখুলি কথা বলুন, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন ও আশাবাদী থাকুন। উভয়ের আচরণগত সমস্যা কীভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে কথা বলুন।
সীমানা নির্ধারণ
আপনি কারো আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু নিজের প্রতিক্রিয়া ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যদি আপনি কারো ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও বেশি কথা বলা পছন্দ না করেন তাহলে আক্রমণাত্মক হওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে এসব আচরণ ও এর ক্ষতিকারক প্রভাব নোট করুন। এই তথ্য নিয়মিত ম্যানেজার বা সহকর্মীদের প্রদানের পরামর্শ দেন সংস্থা-কারখানা বিষয়ক মনোবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ অ্যামি কুপার হাকিম।
নিরাপদ স্থানের সন্ধান
যদি আপনি কাজের সময় অপছন্দের কারো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চান তাহলে কাজের ভিন্ন সময়সূচি নেয়ার চেষ্টা করুন। স্থান পরিবর্তনের আবেদনও করতে পারেন। কুপার হাকিমের মতে, ‘সপ্তাহে একদিনও যদি অপছন্দের ব্যক্তি থেকে ভিন্ন পরিবেশে কাজ করতে পারেন তাহলেও আপনার দিনটি ভালো যাবে।’
মনোবিজ্ঞানী ও লেখক পল হোয়াইট বলেন, অপছন্দের সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। এতে বিরক্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন।
একা থাকবেন না
ধরুন, আপনি অন্তর্মুখী স্বভাবের। অপরদিকে আপনার সহকর্মী শুধু বহির্মুখীই নয়, বরং এক্ষেত্রে তলনামূলক বেশিই। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
লেখিকা টেইলরের মতে, ‘কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক থাকবে। প্রত্যেকে কেমন তা বোঝার চেষ্টা করুন। স্বভাবগত পার্থক্যের জন্য তাদের প্রশংসা করুন।’ পল হোয়াইট বলছেন, ‘সহকর্মীদের ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গে যতটা সম্ভব যোগাযোগ বজায় রাখুন।’