ফুলের ব্যবসা কীভাবে করবেন?
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৫৬
ছবি: ফোকাস বাংলা
সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকে। অনুষ্ঠান, উৎসব, উপলক্ষ আর উপহারের জন্য বলতে গেলে ফুল অনিবার্য। ফলে কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে ফুলের ব্যবসায় নামতে পারেন যে কেউ, এটি বেশ লাভজনক।
ফুলের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানা থাকা দরকার। আসুন ক্যারিয়ারকীর প্রতিবেদন থেকে সে বিষয়ে জেনে নিই।
ব্যবসার ধরন
সাধারণত বিয়ে, পারিবারিক অনুষ্ঠান, মেলা-উৎসব, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, জনসভা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, এমনকি কারও মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য ফুলের প্রয়োজন পড়ে। এ ফুলের যোগান দেবার কাজ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফুলের পাশাপাশি পাতাও বিক্রি করে থাকেন তারা। যেমন, বিয়ের স্টেজ সাজানোর ক্ষেত্রে কামিনী পাতার চাহিদা রয়েছে। পাইকারি ও খুচরা–দুইভাবেই ফুলের ব্যবসা করা সম্ভব। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্ডারের পরিমাণ বড় হয়।
কেমন পুঁজি লাগবে?
ফুলের ধরন ও দোকান বা স্টোরের আকারের ভিত্তিতে পুঁজির হেরফের হয়। শুরুতে আপনাকে গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
যে ধরনের কর্মী দরকার
ফুলের দোকানগুলোতে সাধারণত দুই ধরনের কর্মীর দরকার হয়। তার মধ্যে কারিগর, যিনি ফুলের তোড়া, লহর (বাসর ঘর সাজানোর উপকরণ), পুষ্পস্তবক, ফুল রাখার ঝুড়িসহ বিভিন্ন জিনিস বানানোর কাজ করেন। আরেকজন হচ্ছেন সেলসম্যান, যিনি ক্রেতার সঙ্গে দর-কষাকষির কাজ করেন। সাধারণত একেকটি দোকানে ২-৭ জন কর্মী নিযুক্ত থাকেন। কর্মীসংখ্যা নির্ভর করবে আপনার পুঁজি, লাভ ও দোকানের আকারের ওপর।
ব্যবসায় লাভের পরিমাণ
মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত খুচরা ব্যবসায় ফুলের চাহিদা থাকে। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে এ চাহিদা এপ্রিল পর্যন্ত গড়ায়। এ সময় লাভের পরিমাণ প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়। এপ্রিল-অক্টোবর মাসে ফুলের চাহিদা কম থাকায় মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
যেভাবে ফুল সংগ্রহ
ফুলের চালান কোনো জায়গা থেকে নিয়ে আসবেন, সে ব্যাপারে আগেভাগে খোঁজ করুন। ঢাকার বহু দোকানে চালান আসে সাভার, যশোর ও জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) থেকে। এমনকি চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ফুলের চাষ হয়, সেখান থেকেও চালান আসে। তবে সরাসরি ফুল চাষিদের কাছ থেকে ফুল না নিয়ে ফুল সরবরাহকারী কোনো ব্যবসায়ীর সাহায্য নিয়ে থাকেন দোকানদাররা।
ট্রেড লাইসেন্স
বড় কোনো অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক লাখ টাকার ফুল বিক্রির অর্ডার পাওয়া গেলেও বহু ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন না থাকার জন্য তেমন অর্ডার নিতে পারেন না। কাজেই আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে নিন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৫৬

সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকে। অনুষ্ঠান, উৎসব, উপলক্ষ আর উপহারের জন্য বলতে গেলে ফুল অনিবার্য। ফলে কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে ফুলের ব্যবসায় নামতে পারেন যে কেউ, এটি বেশ লাভজনক।
ফুলের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানা থাকা দরকার। আসুন ক্যারিয়ারকীর প্রতিবেদন থেকে সে বিষয়ে জেনে নিই।
ব্যবসার ধরন
সাধারণত বিয়ে, পারিবারিক অনুষ্ঠান, মেলা-উৎসব, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, জনসভা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, এমনকি কারও মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য ফুলের প্রয়োজন পড়ে। এ ফুলের যোগান দেবার কাজ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফুলের পাশাপাশি পাতাও বিক্রি করে থাকেন তারা। যেমন, বিয়ের স্টেজ সাজানোর ক্ষেত্রে কামিনী পাতার চাহিদা রয়েছে। পাইকারি ও খুচরা–দুইভাবেই ফুলের ব্যবসা করা সম্ভব। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্ডারের পরিমাণ বড় হয়।
কেমন পুঁজি লাগবে?
ফুলের ধরন ও দোকান বা স্টোরের আকারের ভিত্তিতে পুঁজির হেরফের হয়। শুরুতে আপনাকে গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
যে ধরনের কর্মী দরকার
ফুলের দোকানগুলোতে সাধারণত দুই ধরনের কর্মীর দরকার হয়। তার মধ্যে কারিগর, যিনি ফুলের তোড়া, লহর (বাসর ঘর সাজানোর উপকরণ), পুষ্পস্তবক, ফুল রাখার ঝুড়িসহ বিভিন্ন জিনিস বানানোর কাজ করেন। আরেকজন হচ্ছেন সেলসম্যান, যিনি ক্রেতার সঙ্গে দর-কষাকষির কাজ করেন। সাধারণত একেকটি দোকানে ২-৭ জন কর্মী নিযুক্ত থাকেন। কর্মীসংখ্যা নির্ভর করবে আপনার পুঁজি, লাভ ও দোকানের আকারের ওপর।
ব্যবসায় লাভের পরিমাণ
মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত খুচরা ব্যবসায় ফুলের চাহিদা থাকে। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে এ চাহিদা এপ্রিল পর্যন্ত গড়ায়। এ সময় লাভের পরিমাণ প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়। এপ্রিল-অক্টোবর মাসে ফুলের চাহিদা কম থাকায় মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
যেভাবে ফুল সংগ্রহ
ফুলের চালান কোনো জায়গা থেকে নিয়ে আসবেন, সে ব্যাপারে আগেভাগে খোঁজ করুন। ঢাকার বহু দোকানে চালান আসে সাভার, যশোর ও জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) থেকে। এমনকি চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ফুলের চাষ হয়, সেখান থেকেও চালান আসে। তবে সরাসরি ফুল চাষিদের কাছ থেকে ফুল না নিয়ে ফুল সরবরাহকারী কোনো ব্যবসায়ীর সাহায্য নিয়ে থাকেন দোকানদাররা।
ট্রেড লাইসেন্স
বড় কোনো অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক লাখ টাকার ফুল বিক্রির অর্ডার পাওয়া গেলেও বহু ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন না থাকার জন্য তেমন অর্ডার নিতে পারেন না। কাজেই আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে নিন।