পঞ্চম শ্রেণি : বাংলা
সেলিনা সিমি | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
গল্প : হাতি ও শিয়ালের গল্প
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটিকে।
২. বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটির অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়।
৩. গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে বোঝানো হয়েছে অত্যাচারী হাতিটির কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে। হাতিটির অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল। শিয়ালের বুদ্ধিতে হাতি চরম সাজা পায়। পশুরাও হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।
৪. শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শিয়াল হাতিটিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের মহাবিপদে পড়তে হতো। দিন দিন হাতিটির অহংকার বেড়েই চলত। একে একে সব পশুই তার অত্যাচারের শিকার হতো। অনেকেই জঙ্গল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতো।
৫. হাতিটির শাস্তি পাওয়ার জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য দায়ী তার অহংকার, নিষ্ঠুরতা এবং নির্বুদ্ধিতা।
৬. মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
উত্তর : মিলেমিশে থাকলে মানুষের মধ্যে একতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের শক্তি বেড়ে যায়। মানুষ একা সব কাজ করতে পারে না। কিন্তু মিলেমিশে করলে অনেক কঠিন কাজও খুব সহজে করা যায়। মানুষ যখন সভ্য হচ্ছিল তখন তারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই তারা মিলেমিশে থাকার নিয়ম শিখতে শুরু করে।
৭. সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর : পশুদের মধ্যে শিয়াল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল।
৮. শিয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল?
উত্তর : শিয়াল নানারকম মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে হাতিটিকে নদীর কিনারে নিয়ে এলো। শিয়ালের কথায় হাতিটি না বুঝেই নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নেমে গেল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তার মস্ত, ভারী শরীরটা পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। এভাবেই শেয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বনের পশুপাখিকে হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা করল।
৯. অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর : অহংকারী ও অত্যাচারীকে শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। সে যাদের ওপর অত্যাচার করে তারা একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অহংকারী আর অত্যাচারীরা এভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনে।
১০. হাতির ভাব দেখে কী মনে হলো?
উত্তর : হাতির ভাব দেখে মনে হলো সেই বুঝি বনের রাজা।
১১. হাতিটির অত্যাচারে বনের প্রাণীদের কী অবস্থা হলো?
উত্তর : হাতিটির অত্যাচারে বনের প্রাণীদের মনের শান্তি উধাও হলো। চোখের ঘুম হারিয়ে গেল। সব সময় হাতিটির অত্যাচারের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত সবাই।
১২. বনের প্রাণীরা কোথায়, কেন জড়ো হলো?
উত্তর : বনে প্রাণীরা হাতিটির অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শলাপরামর্শ করতে সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
১৩. হাতিটির শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হলো?
উত্তর : হাতিটি শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি হলো। নদীতে ডুবে যেতে দেখেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
১৪. হাতিটিকে কেউ বাঁচাতে এলো না কেন?
উত্তর : হাতিটি ছিল খুব অহংকারী আর অত্যাচারী স্বভাবের। বনে আসার পর থেকেই হাতিটি প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাত। প্রাণীরা সবসময় তার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে থাকত। বনের প্রাণীরাই শিয়ালের মাধ্যমে হাতিটিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এ কারণেই তার বিপদে কেউ তাকে বাঁচাতে এলো না।
১৫. বাঘ আর সিংহ হাতিটির কাছে যেতে সাহস পায়নি কেন?
উত্তর : হাতিটি ছিল বাঘ আর সিংহের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী এবং নিষ্ঠুর স্বভাবের। এ কারণেই বাঘ আর সিংহ হাতিটির ধারে-কাছে যেতে সাহস পায়নি।
শেয়ার করুন
সেলিনা সিমি | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

গল্প : হাতি ও শিয়ালের গল্প
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটিকে।
২. বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটির অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়।
৩. গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে বোঝানো হয়েছে অত্যাচারী হাতিটির কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে। হাতিটির অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল। শিয়ালের বুদ্ধিতে হাতি চরম সাজা পায়। পশুরাও হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।
৪. শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শিয়াল হাতিটিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের মহাবিপদে পড়তে হতো। দিন দিন হাতিটির অহংকার বেড়েই চলত। একে একে সব পশুই তার অত্যাচারের শিকার হতো। অনেকেই জঙ্গল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতো।
৫. হাতিটির শাস্তি পাওয়ার জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য দায়ী তার অহংকার, নিষ্ঠুরতা এবং নির্বুদ্ধিতা।
৬. মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
উত্তর : মিলেমিশে থাকলে মানুষের মধ্যে একতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের শক্তি বেড়ে যায়। মানুষ একা সব কাজ করতে পারে না। কিন্তু মিলেমিশে করলে অনেক কঠিন কাজও খুব সহজে করা যায়। মানুষ যখন সভ্য হচ্ছিল তখন তারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই তারা মিলেমিশে থাকার নিয়ম শিখতে শুরু করে।
৭. সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর : পশুদের মধ্যে শিয়াল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল।
৮. শিয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল?
উত্তর : শিয়াল নানারকম মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে হাতিটিকে নদীর কিনারে নিয়ে এলো। শিয়ালের কথায় হাতিটি না বুঝেই নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নেমে গেল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তার মস্ত, ভারী শরীরটা পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। এভাবেই শেয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বনের পশুপাখিকে হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা করল।
৯. অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর : অহংকারী ও অত্যাচারীকে শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। সে যাদের ওপর অত্যাচার করে তারা একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অহংকারী আর অত্যাচারীরা এভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনে।
১০. হাতির ভাব দেখে কী মনে হলো?
উত্তর : হাতির ভাব দেখে মনে হলো সেই বুঝি বনের রাজা।
১১. হাতিটির অত্যাচারে বনের প্রাণীদের কী অবস্থা হলো?
উত্তর : হাতিটির অত্যাচারে বনের প্রাণীদের মনের শান্তি উধাও হলো। চোখের ঘুম হারিয়ে গেল। সব সময় হাতিটির অত্যাচারের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত সবাই।
১২. বনের প্রাণীরা কোথায়, কেন জড়ো হলো?
উত্তর : বনে প্রাণীরা হাতিটির অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শলাপরামর্শ করতে সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
১৩. হাতিটির শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হলো?
উত্তর : হাতিটি শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি হলো। নদীতে ডুবে যেতে দেখেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
১৪. হাতিটিকে কেউ বাঁচাতে এলো না কেন?
উত্তর : হাতিটি ছিল খুব অহংকারী আর অত্যাচারী স্বভাবের। বনে আসার পর থেকেই হাতিটি প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাত। প্রাণীরা সবসময় তার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে থাকত। বনের প্রাণীরাই শিয়ালের মাধ্যমে হাতিটিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এ কারণেই তার বিপদে কেউ তাকে বাঁচাতে এলো না।
১৫. বাঘ আর সিংহ হাতিটির কাছে যেতে সাহস পায়নি কেন?
উত্তর : হাতিটি ছিল বাঘ আর সিংহের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী এবং নিষ্ঠুর স্বভাবের। এ কারণেই বাঘ আর সিংহ হাতিটির ধারে-কাছে যেতে সাহস পায়নি।