
পঞ্চম অধ্যায় : বায়ুমন্ডল
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১. বায়ুমন্ডল প্রধানত কয় প্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত?
ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার
গ. ৫ প্রকার ঘ. ৮ প্রকার
২. বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ কত?
ক. ১৮.২৩ খ. ২০.৭১
গ. ২৫.৭১ ঘ. ৩০.৫৪
৩. বায়ুম-ল যেসব উপাদানে গঠিত তাদের প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও উষ্ণতার পার্থক্য অনুসারে ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে কয়টি স্তরে ভাগ করা যায়?
ক. ৪টি স্তরে খ. ৫টি স্তরে
গ. ৬টি স্তরে ঘ. ৭টি স্তরে
৪. ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব ও উষ্ণতা
ক. কমতে থাকে খ. বাড়তে থাকে
গ. স্থির থাকে ঘ. কোনোটিই নয়
৫. ধূলিকণার অবস্থানের ফলে সমগ্র বায়ুমন্ডলের ওজনের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ কোন স্তর বহন করে?
ক. ট্রপোমন্ডল খ. স্ট্রাটোমন্ডল
গ. মেসোমন্ডল ঘ. তাপমন্ডল
৬. কোন স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে?
ক. তাপমন্ডল খ. স্ট্রাটোমন্ডল
গ. মেসোমন্ডল ঘ. ট্রপোমন্ডল
৭. কোন স্তরের ওপরে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া থেমে যায়?
ক. মেসোমন্ডল খ. স্ট্রাটোমন্ডল
গ. তাপমন্ডল ঘ. ট্রপোমন্ডল
৮. হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় কোন স্তরে?
ক. মেসোমন্ডল খ. স্ট্রাটোমন্ডল
গ. তাপমন্ডল ঘ. এক্সোমন্ডল
৯. সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়?
ক. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস খ. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গ. ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘ. ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১০. বায়ুর আর্দ্রতা কতভাবে প্রকাশ করা যায়?
ক. ২ ভাবে খ. ৩ ভাবে
গ. ৪ ভাবে ঘ. ৫ ভাবে
১১. বায়ুমন্ডলে শতকরা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কত?
ক. ১ ভাগের কম খ. ১০ ভাগ
গ. ১০ ভাগের বেশি ঘ. কোনোটিই নয়
১২. পানিপ্রবাহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ ভাগে খ. ৩ ভাগে
গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে
১৩. বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়?
ক. ৪ শ্রেণি খ. ৫ শ্রেণি
গ. ৬ শ্রেণি ঘ.৭ শ্রেণি
১৪. নিয়ত বায়ু কত প্রকার?
ক. ২ প্রকার খ. ৩ প্রকার
গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকার
১৫. উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু ঘণ্টায় কত কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয়?
ক. ১০ কিলোমিটার খ. ১৬ কিলোমিটার
গ. ২০ কিলোমিটার ঘ. ২৫ কিলোমিটার
১৬. কত অক্ষাংশে পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি?
ক. ৪০-৪৫ ডিগ্রি অক্ষাংশে
খ. ৪০-৪৭ ডিগ্রি অক্ষাংশে
গ. ৪৫-৫০ ডিগ্রি অক্ষাংশে
ঘ. ৫০-৫৫ ডিগ্রি অক্ষাংশে
১৭. ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ে কয়টি শান্ত বলয়ের সৃষ্টি হয়?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৬টি
১৮. ট্রপোমন্ডল মেরু অঞ্চলে প্রায় কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত?
ক. ৬ কিলোমিটার খ. ৮ কিলোমিটার
গ. ৭ কিলোমিটার ঘ. ৯ কিলোমিটার
১৯. তাপম-লের তাপমাত্রা অত্যন্ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়ে কত সেলসিয়াসে পৌঁছায়?
ক. ১২৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
খ. ১৩৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গ. ১৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঘ. ১৫৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
২০. কোন মন্ডলের বায়ুস্তর অত্যন্ত হালকা ও চাপ ক্ষীণ?
ক. ট্রপোমন্ডল খ. স্ট্রাটোমন্ডল
গ. মেসোমন্ডল ঘ. তাপমন্ডল
২১. স্ট্রাটো বিরতির ওপরে প্রায় কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে মেসোম-ল বলে?
ক. ৮০ কিলোমিটার খ. ৯০ কিলোমিটার
গ. ১১০ কিলোমিটার ঘ. ১২০ কিলোমিটার
উত্তর
১. ক, ২. খ, ৩. খ, ৪. ক, ৫. ক, ৬. খ, ৭. ক, ৮. ঘ, ৯. ক, ১০. ক, ১১. ক, ১২. গ, ১৩. ক, ১৪. খ, ১৫. খ, ১৬. খ, ১৭. খ, ১৮. খ, ১৯. গ, ২০. ঘ, ২১. ক
Glass ceiling
যে বাধার কারণে কোনো নারী বা সংখ্যালঘিষ্ঠ গোত্রের কোনো ব্যক্তি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পেশাগত জীবনে যথার্থভাবে মূল্যায়িত হন না, অনুদার মনোভাবসৃষ্ট বাধা, যা নারী ও সংখ্যালঘিষ্ঠ ব্যক্তিকে পেশাগত জীবনে যথার্থভাবে মূল্যায়িত হতে বাধা দেয়, অনুদার দৃষ্টিভঙ্গিসৃষ্ট অদৃশ্য বাধা
Examples
a. She was not able to break through the glass ceiling; despite her qualifications, she was not promoted to the executive level position.
সে (স্ত্রী) অনুদার দৃষ্টিভঙ্গির বাধা অতিক্রম করতে পারেননি; যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাহী পর্যায়ে তাকে উন্নীত করা হয়নি।
b. The woman made every attempt but could not break the highest and the toughest glass ceiling.
ওই নারী সব পদক্ষেপই নিয়েছিলেন কিন্তু অনুদার মনোভাবসৃষ্ট সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে কঠিন বাধা অতিক্রম করতে পারেননি।
c. I have reached the glass ceiling now and breaking out is the only way for me to proceed.
আমি অনুদার দৃষ্টিভঙ্গির অদৃশ্য বাধায় আটকে গেছি এবং এটা সামনে এগোনোর একমাত্র উপায় হলো ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া।
Saved by the bell
শেষ মুহূর্তে রক্ষা পাওয়া বা বেঁচে যাওয়া
Examples
a. I couldn’t prevent myself from explaining her absence any longer, but then Jill showed up and I was saved by the bell.
দীর্ঘ সময় তার (স্ত্রী) অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেও আমি আর বেশিক্ষণ বাঁচতে পারতাম না, কিন্তু তখন জিল উদয় হলো এবং শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেলাম।
b. I was saved by the bell otherwise my father was about to uncover what I had done and there is no way that I could have even explained the situation to him
আমি শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছিলাম নতুবা আমি কী করেছি সেটা আমার বাবা ধরে ফেলতেন এবং এমন কোনো উপায়ও নেই যে, পরিস্থিতি তাকে ব্যাখ্যা করতে পারব।
c. The police officer believed that the man had stolen but he did not have probable cause to search him and hence the culprit was saved by the bell.
পুলিশ অফিসারটির বিশ্বাস ছিল যে, লোকটি চুরি করেছিল কিন্তু তাকে তল্লাশি করার সম্ভাব্য কারণ তার ছিল না এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়ে গেল।
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি
মহিলা কলেজ
পদ ও যোগ্যতা : ড্রাইভার ২ জন। অষ্টম বা সমমানের পাসসহ বৈধ হেভি ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী। গাড়ি চালনায় কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। অধ্যক্ষ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা এই ঠিকানায় প্রয়োজনীয় সব সনদ, কাগজপত্রসহ ডাক বা কুরিয়ারে আবেদন জমা দেওয়া যাবে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ অফিস চলাকালীন পর্যন্ত। দরকারি সব তথ্য জানা যাবে কলেজের www.bbggc.gov.bd) ওয়েবসাইট থেকে। যোগাযোগ : বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা।
সূত্র : ইত্তেফাক, ১৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার, পৃষ্ঠা ৩
শেখ হাসিনা মেডিকেল
কলেজ, টাঙ্গাইল
পদ ও যোগ্যতা : মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ৬ জন। এসএসসি বা সমমান পাসসহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ৩ বছরের ডিপ্লোমা পাস। বেতনক্রম: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) ২ জন। এসএসসি বা সমমান পাসসহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ৩ বছরের ডিপ্লোমা পাস। বেতনক্রম: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা। সহকারী লাইব্রেরিয়ান ১ জন। গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বা গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে ন্যূনতম ২য় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক পাস। কম্পিউটারের কাজে দক্ষ। বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। উচ্চমান সহকারী ১ জন। ২য় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ পেয়ে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি। কম্পিউটারের কাজে দক্ষ। বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। পরিসংখ্যানবিদ ১ জন। পরিসংখ্যান, গণিত বা অর্থনীতি বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটারের কাজে দক্ষ। বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ২ জন। এইচএসসি বা সমমান পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। কম্পিউটার টাইপে দক্ষ হতে হবে। বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। ক্যাশিয়ার ১ জন। বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ। বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। স্টোর কিপার ১ জন। এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। টেক্সিডার্মিস্ট ১ জন। এইচএসসি বা সমমান পাস। বেতনক্রম : ৮৮০০-২১৩১০ টাকা। অফিস সহায়ক ৬ জন। এসএসসি বা সমমান পাস। বেতনক্রম: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৩২ বছর। (http://shmct.teletalk.com.bd) এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে ৫ অক্টোবর ২০২২ বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন পদ্ধতিসহ অন্যান্য তথ্য জানা যাবে (http://alljobs.teletalk.com.bd) এই ওয়েবসাইট থেকে। যোগাযোগ : অধ্যক্ষের কার্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল।
সূত্র : ইত্তেফাক, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, পৃষ্ঠা ৭
‘ক্লাসরুম’-এর বিশেষ আয়োজন ‘ক্লাসরুমের বাইরে’ প্রকাশ করবে তোমাদের লেখা ও আঁকা। ঝটপট লিখে পাঠাও তোমার নিজের বা বন্ধুর কোনো মজার ঘটনা; পাঠাও তোমার আঁকা। ছবি, তোমার লেখা গল্প, ছড়া ও কবিতা। ডাক বা কুরিয়ার করতে পারো ‘রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার, ১১৪ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলা মোটর, ঢাকা-১০০০’ এই ঠিকানায় অথবা ই-মেইল করতে পারো, [email protected] এই ঠিকানায়। লেখার সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা, শ্রেণি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম দিতে ভুলো না কিন্তু।
ক্লাসরুম ডেস্ক
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।