
গ্যারি জেনকিন্সের ‘দ্য বিউটিফুল টিম : ইন সার্চ অব পেলে অ্যান্ড আদার ১৯৭০ ব্রাজিলিয়ানস’ নামের বইটি মেক্সিকো বিশ্বকাপের সেই ব্রাজিল দলকে কেন্দ্র করে লেখা ৭০-এর বিশ্বকাপই শুধু নয়, বিশ্বকাপের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বের ফুটবলপিয়াসি মানুষের মনও জয় করেছিলেন তাদের নান্দনিক ফুটবল দিয়ে। বইটি তুলে এনেছে সেই নান্দনিক ফুটবলের নেপথ্যকাহিনী।
১৯৬৬-এর পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের চার বছর ধরে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়েছে ব্রাজিল। আজ আমরা ১৯৭০-এর অনন্যসাধারণ সেই দলটার কোচ হিসেবে মারিও জাগালোকেই চিনি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দলটার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন হোয়াও সালদানহা। পাগলাটে সেই কোচ, যিনি মুখের ওপর উপেক্ষা করেছিলেন ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসক জেনারেল মেদিচিকেও! বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমনকি পেলেকেও স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দেন। তার জায়গায় আনা হয় শান্তশিষ্ট মারিও জাগালোকে, এরই মধ্যে খেলোয়াড় হিসেবে যার বিশ্বকাপ জেতা হয়েছে দুবার। তারপর পেলে, গারসন, জর্জিনহো আর রিভেলিনোকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয় ব্রাজিলের পরিকল্পনা। রক্ষণভাগ সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের দায়িত্বটা যায় কার্লোস আলবার্তোর কাঁধে।
৪-১ ব্যবধানে ইতালিকে ফাইনালে হারিয়ে, বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে আরও একটা কাজ করেছিল ১৯৭০-এর ব্রাজিল, ইতিহাসে তারা সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে দিয়েছিল সুন্দরতম ফুটবলের মান। সেই ঘোরে কৈশোর থেকে মুগ্ধ গ্যারি জেনকিন্স তাই সাতাশ বছর পর ছুটে যান ব্রাজিলে, কিংবদন্তি দলটার জীবিত সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিতে।
পৃথিবী কাঁপানো ফুটবলার তৈরির এক অনিঃশেষ কারখানা ব্রাজিল। জেনকিন্সের বইতে সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি উঠে এসেছে ব্রাজিলের রঙচঙে, আলোকিত, উদ্দাম ফুটবল সংস্কৃতির অনেকটাই। ঠিক যেমনটি পেলে বলেছেন, ব্রাজিল ফুটবল খায়, ফুটবল নিয়ে বিছানায় যায়, ফুটবল পান করে। ব্রাজিল ফুটবলে বাঁচে।
এ ছাড়া আসে ফুটবলের ভেতরের দুর্নীতি। অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে ব্রাজিলের প্রায় প্রতিটি ফুটবলারই উঠে আসা দরিদ্র পরিবার থেকে। পদে পদে টাকাপয়সা আর ক্ষমতার ভাগ নিয়ে প্রশাসকদের মধ্যে কেমন বিশ্রী লড়াই চলে গ্যারি জেনকিন্স সেটাও নিচুস্বরে বলে গেছেন পাঠককে।
ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি আর ফুটবল ইতিহাসকে জানতে জেনকিন্সের বইটি হতে পারে একটি চমৎকার শুরু। সুন্দরতম ফুটবলের বিজ্ঞাপন হয়ে থাকা ১৯৭০-এর ব্রাজিল দলকে জানার সঙ্গে সঙ্গে খেলাটাকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ানরা কীভাবে ভাবে, কিংবা বিশ্বকাপের মৌসুমে কেমন রূপ নেয় তাদের মনোজগৎ; গ্যারি জেনকিন্সের ‘দা বিউটিফুল টিম’ শুধু সে কারণেই পড়া যেতে পারে।
৩৬ বছর পর রাস্তায় ফুটবল খেলা এক কিশোর নেদারল্যান্ডকে হাজির করলো বিশ্বকাপের আসরে। বিশ্ব যখন তাকে জিনিয়াসের তকমা দিল তখন বিনয়ের সঙ্গে সে বলল, দলের সবাই এ প্রশংসার হকদার। টোটাল ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা বললেন টিম স্পিরিটের কথা। তিনি ইয়োহান ক্রুইফ। লিখেছেন আনোয়ার হোসেন
১৯৪৭ সাল, ইউরোপে তখনও বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপ মিলিয়ে যায়নি, ২৫ এপ্রিল নেদারল্যান্ডসের পূর্ব আমস্টারডামে হারমানোস কর্নেলিস ক্রুইফ ও পের্তোনেল্লা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়। তারা তার নাম রাখেন হেনড্রিক ইয়ুহানেস ‘ইয়োহান’ ক্রুইফ। কর্নেলিস ক্রুইফ ছিলেন একজন দিনমজুর। বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে ছিল আয়াক্স ফুটবল স্টেডিয়াম। কিশোর ক্রুইফের সঙ্গে ফুটবলের সখ্য গড়ে উঠতে অন্য আর কিছুর প্রয়োজন ছিল না। স্কুলের বন্ধু ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমস্টারডামের পথেঘাটে ফুটবল খেলত কিশোর ক্রুইফ। তার আইডল ছিল ডাচ ফুটবলার বিখ্যাত ড্রিবলার ফাস উইলক্স। ক্রুইফরা পাড়ার যে মাঠে ফুটবল খেলত আয়াক্সের কোচ জেনি ভ্যান ডের বিন থাকতেন ওই মাঠের পাশেই। ক্রুইফের প্রতিভা চিনতে এক মুহূর্তও দেরি হয়নি তার। কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তাকে আয়াক্স জুনিয়র টিমে যোগ দিতে বলেন জেনি ভ্যান ডের বিন। ১৯৫৭ সালে ১০ বছর বয়সে ক্রুইফ আয়াক্সের তরুণ দলে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ক্রুইফের বাবা। তখন ফুটবলই হয়ে ওঠে সংসার চালানোর জন্য একমাত্র অবলম্বন। তাছাড়া বাবার ইচ্ছাপূরণের তাগাদাও অনুভব করেছিলেন ক্রুইফ। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করেন তিনি।
আয়াক্স ক্লাব ফুটবলে নতুন খেলার ধরন নিয়ে আসে। ১৯৬৫ সালে রাইনাস মিশেল আয়াক্সের কোচ হওয়ার পর থেকে ফুটবলে ‘টোটাল ফুটবল’ নামের এই নতুন ধারার আবির্ভাব ঘটে। ক্রুইফ এর সঙ্গে খুব ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নেন। আয়াক্স ও নেদারল্যান্ডস দুই দলই ক্রুইফকে কেন্দ্র করে মাঠে পাস দিত। ক্রুইফকে কোচ মিশেল মাঠের যেখানে খুশি পদচারণার স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলেন। অসাধারণ কৌশলগত সামর্থ্য ও অসামান্য বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতির দরুন ক্রুইফ প্রতিপক্ষের দুর্বলতা খুব সহজেই বুঝে ফেলতেন। ক্রুইফের সতীর্থরাও তার খেলার সঙ্গে নিজেদের সহজে মানিয়ে নিত। ফলে মাঠে তারা সেরা খেলাটি দর্শকদের উপহার দিতে পারত।
ক্রুইফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে ১৯৭৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের কথা। আর্জেন্টিনা (৪-০), পূর্ব জার্মানি (২-০) এবং ব্রাজিলকে (২-০) প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে পেছনে ফেলে ডাচ দল পৌঁছে ফাইনালে। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচটিকে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যেটিতে ক্রুইফ ২টি গোল করেন। তবে ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের পরাজয় হয় জার্মানির কাছে। কিন্তু ডাচ মহাকুশলীর অনবদ্য ক্রীড়াকৌশল চোখ এড়ায়নি কারও! সেই বিশ্বকাপে ইয়ুহান ক্রুইফ ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হন। টোটাল ফুটবলের সবচেয়ে বিখ্যাত খেলোয়াড় হিসেবে ক্রুইফ বিখ্যাত হয়ে আছেন। এই পদ্ধতিতে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য একটি মাত্র পজিশনই নির্ধারিত ছিল না। সুযোগ পেলেই যেকোনো খেলোয়াড় যেকোনো পজিশনে খেলতে শুরু করতেন এবং অন্য যেকোনো খেলোয়াড় সেই খেলোয়াড়ের স্থান পূরণ করতেন। এর জন্য প্রয়োজন হতো এমন একটি চৌকস দলের যে দলের সবাই সব পজিশনে সমানভাবে খেলতে পারেন। এমন এগারোজন খেলোয়াড় যাদের লক্ষ্য, প্রেরণা এক এবং যারা দলের প্রয়োজনকে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে পারে।
ক্রুইফ বলতেন, আমার দলে গোলকিপার হলো প্রথম অ্যাটাকার এবং স্ট্রাইকার হলো প্রথম ডিফেন্ডার। তিনি সবসময় খেলোয়াড়দের বলতেন, শট করো, শট না করলে গোল পাবে না। শট ব্যর্থ হওয়া বা ভুল করাকে তিনি নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতেন না। তিনি বলতেন, ভুল করো কিন্তু একই ভুল দুইবার কোরো না। যেকোনো কাজকে শিল্প হিসেবে দেখতেন। তার কাছে খেলা ছিল শিল্পচর্চা, জয়-পরাজয় নয়। তিনি বলতেন, দর্শকরা যদি ম্যাচ উপভোগ করে এববং হাসিমুখে বাড়ি ফেরে তাহলে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। ক্রুইফের জীবনদর্শন ও ফুটবল দর্শন হলো, সবাইকে নিয়ে সবার সঙ্গে সততার সঙ্গে জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া। সবার সঙ্গে সবার প্রচেষ্টায় অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের এই শিক্ষা খেলোয়াড়সহ যেকোনো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
যারা অন্য ব্যক্তি বা পশুপাখির কণ্ঠস্বর, কথা বলার ভঙ্গি হুবহু নকল করতে পারে তাদের বলে হরবোলা। তাদের এই অদ্ভুত ক্ষমতা দেখে আমরা অবাক হই। দিনের পর দিন অভ্যাস করে একজন হরবোলা এই গুণ আয়ত্ত করেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, একটি আশ্চর্য পাখি আছে যেটা জন্ম থেকেই তার চারপাশের যেকোনো শব্দ হুবহু নকল করতে পারে। এদের বলা যায় প্রকৃতির হরবোলা। এই পাখির নাম লায়ারবার্ড। নারী লায়ারবার্ডকে আকৃষ্ট করতে পুরুষ লায়ারবার্ড তার চারপাশের সব শব্দ দিয়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করে। লায়ারবার্ডের দুটি প্রজাতি আছে। একটি হলো Menura novaehollandiae এবং অপরটি Menura alberti। এদের বাস অস্ট্রেলিয়ায়। সাধারণ পাখির মতো দেখতে এই পাখিদের সহজেই আলাদা করা যায় ময়ূরের মতো লম্বা লেজের কারণে। এরা সাধারণত ভীষণ লাজুক হয়ে থাকে, সে কারণে এদের দেখতে পাওয়া বেশ ভাগ্যের ব্যাপার।
জীবন সময়ের সমষ্টি। তাই সফলতার জন্য সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা জীবনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিপুল জামান
দৈনন্দিন কর্মসূচি : প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে হয় তার সবই দৈনন্দিন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। আমরা সাধারণত যে রুটিন তৈরি করি তা মূলত দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচিই। এই কর্মসূচিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকে। দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচি তৈরির সময় লক্ষ রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্য করণীয় কাজগুলোর জন্য যেন যথেষ্ট সময় থাকে। করণীয় কাজের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পায়, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর কাছে অধ্যয়নই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। দিনের যে সময় পড়তে ভালো লাগে, যতক্ষণ পড়তে ভালো লাগে সে অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পূর্ণ করো। পড়াশোনার সময়কে অগ্রাধিকার দিয়ে দিনের অন্যান্য কাজ কর্মসূচিতে সমন্বয় করো।
সাপ্তাহিক কর্মসূচি : যে কাজগুলো প্রতিদিন করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু সপ্তাহে অন্তত একবার করার প্রয়োজন হয় তেমন কাজ সম্পন্ন করার যে কর্মসূচি তৈরি করা হয় তাকে আমরা বলতে পারি সাপ্তাহিক কর্মসূচি। বাসার কাজ যেমন বাজার করা, পড়ার টেবিল গোছানো, জামা-কাপড় পরিষ্কার ইত্যাদিকে সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে পারো। তা ছাড়া সারা সপ্তাহের পড়াগুলোকে গুছানোর জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কাজে লাগানো যেতে পারে। দক্ষতা অর্জনমূলক কাজ যেমন কম্পিউটার শেখা, গান শেখা, আবৃত্তি শেখা, নতুন ভাষা শেখা ইত্যাদির অনুশীলনের জন্য সময় নির্ধারণও সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।
মাসিক কর্মসূচি : কোনো বিষয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা সাধারণত মাস ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাই মাসের শুরুতে কবে কোন মূল্যায়ন পরীক্ষা আছে তা দিনপঞ্জিতে চিহ্নিত করো এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে থাকো। আত্মসমালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাসের শুরুতে বিগত মাসের কাজের পর্যালোচনা করতে পারো। আত্মপর্যালোচনা শেষে বার্ষিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরের মাসের কর্মসূচি তৈরি করো।
বার্ষিক কর্মসূচি : বছরের প্রথমেই বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণ করো। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী কাজ করা দরকার তার একটি তালিকা তৈরি করো। কোন কাজ কখন করবে তা চিহ্নিত করো। প্রচলিত ক্যালেন্ডারে এ সময়গুলো চিহ্নিত করো। বছরের শুরুতেই একটি ডায়েরি সংগ্রহ করে তারিখ অনুযায়ী লিখেও রাখতে পারো। বার্ষিক লক্ষ্য হতে পারে নতুন কোনো ভাষা শেখা, নতুন কোনো স্থান ভ্রমণ করা, কম্পিউটারের কোনো কোর্স করা ইত্যাদি।
সময় ব্যবস্থার এই তিনটি পর্যায়ের কর্মসূচি তৈরিতে প্রয়োজনে বাবা-মা, শিক্ষক বা বড় অন্য কোনো অভিভাবকেরও সাহায্য নিতে পারো।
কৃষি মন্ত্রণালয়
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর
পদ ও যোগ্যতা : সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ২ জন। এইচএসসি বা সমমান পাস কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ। সাঁটলিপিতে গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ এবং বাংলায় ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার টাইপিং গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ। বেতনক্রম : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ১২ জন। এইচএসসি পাস এবং বাংলা, ইংরেজিতে কম্পিউটার টাইপিং গতি যথাক্রমে ২০ ও ২০ প্রতি মিনিটে। বেতনক্রম: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৩২ বছর। ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে তারাও আবেদনের যোগ্য। কর্মরত বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর। (http://dam.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২২ বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্য দরকারি সব তথ্য জানা যাবে প্রতিষ্ঠানটির www.dam.gov.bd এই ) ওয়েবসাইটে।
যোগাযোগ : কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা।
সূত্র : সমকাল, ২ নভেম্বর ২০২২, পৃষ্ঠা ৬
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ
নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ
পদ ও যোগ্যতা : নৌ-প্রকৌশলী, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলী (জাহাজ) ৯ জন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসহ যন্ত্র প্রকৌশলী ডিগ্রি অথবা যান্ত্রিক, নৌ বা তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমাসহ সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরির আট বছরের অভিজ্ঞতা অথবা নৌবাহিনীর সংশ্লিষ্ট শাখার অবসরপ্রাপ্ত সাব-লেফটেন্যান্ট। বেতনক্রম : ৩৫৫০০-৬৭০১০ টাকা। কম্পিউটার অপারেটর ১ জন।
স্নাতক (সম্মান) বা সমমান ডিগ্রি। বেতনক্রম : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা। ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে নৌ-প্রকৌশলী, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলী (জাহাজ) পদের প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর এবং কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রার্থীর বয়স ১৮-৩০ বছর। বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর।
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে ১৮-৩২ বছর। এই www.jobsbiwta.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন পাঠানোর শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২২ অফিস চলা সময় পর্যন্ত। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন প্রক্রিয়া, প্রবেশপত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। যোগাযোগ : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, ১৪১-১৪৩, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা।
সূত্র : ইত্তেফাক, ১০ নভেম্বর ২০২২, পৃষ্ঠা ৬
ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না বাসা-বাড়ি, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে একটি মহল পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টায় আছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য এসেছে। আর ওই তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেছেন। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার পুলিশের সব রেঞ্জ অফিস ও ইউনিট প্রধানদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বিশেষ বার্তা পেয়ে ইউনিট প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপাররা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এরই মধ্যে যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলো নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে। এই জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সব ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের কাছে বিদ্যুৎ স্টেশনে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি মহল লোডশেডিংয়ের অজুহাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। যেসব এলাকায় বেশি বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর আমরা বিশেষ বৈঠক করছি। এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তা সত্য। এ জন্য আমরা বেশ সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ অফিস ও স্টেশনগুলোর বিষয়ে থানার ওসিদের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, লোডশেডিংয়ের অজুহাত তুলে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে একটি বিশেষ মহল। প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে থানার ওসিদের নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন জেলার পুলিশ সুপাররা। এমনকি বাড়তি ফোর্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তা ছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিসের পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলতে ৫০ থানার ওসিদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
খন্দকার গোলাম ফারুক দেশ রূপান্তরকে জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে যাতে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বাড়তি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে সবাইকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎসহ যেকোনো সমস্যা নিয়ে কোন মহল যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। আশা করি বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। তারপরও পুলিশ সতর্ক আছে।
সূত্র জানায়, লোডশেডিংকে পুঁজি করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, বিদ্যুৎ অফিস, সাবস্টেশনসহ কেপিআই স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম ও পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা সমিতি বা কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও পুলিশকে চিঠি দিয়ে বাড়তি নিরাপত্তাও চাওয়া হয়েছে।
বছরে ৪০ কোটি ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব নিয়ে লিওনেল মেসির সংগে যোগাযোগ করছে আলো হিলাল। তারা মংগলবার চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে জানিয়ে রেখেছে। কিন্তু মেসি তাদেরকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রস্তাবটা পিছিয়ে দিতে বলেছেন বলে খবর দিয়েছে ফুটবল বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল গোল ডটকম।
তবে সৌদি ক্লাব এ-ই প্রস্তাব এখনই গ্রহন না করলে আগামী বছর তা একই রকম থাকবে না বলে জানিয়েছে।
মেসি আসলে তার শৈশবের ক্লাবে আরো অন্তত এক বছর খেলতে চান। তাতে তার পারিশ্রমিক সৌদি ক্লাবের প্রস্তাবের ধারে কাছে না হলেও ক্ষতি নেই। জানা গেছে, বার্সা তাকে এক বছরে ১৩ মিলিয়েন ডলার পারিশ্রমিক প্রস্তাব করতে যাচ্ছে।
লা লিগা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ায় মেসিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে বার্সা। ধারনা করা হচ্ছে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং জ্বালানি খাতে ৯৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা নতুন বাজেটে এই বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, উৎপাদন ও বিতরণ সক্ষমতা সম্প্রসারণের ফলে দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। জ্বালানির ব্যবহার বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, তরল জ্বালানি, দ্বৈত জ্বালানি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ও পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মোট ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং ২ হাজার ৪১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া, ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে পাশর্^বর্তী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি ঝাড়খ-ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে শিগগিরই। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারব বলে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে সংগ্রহ করতে চাই। এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ৬০ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে অফ গ্রিড এলাকায় বসবাসকারী জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেলচালিত পাম্পের জায়গায় সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করার অংশ হিসেবে সেচকাজে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৭০টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৮৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সর্বোপরি, রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।’
উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে ৬ হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইন ১৪ হাজার ৬৪৪ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিতরণ লাইন ৩ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ৬ লাখ ৬৯ হাজার কিলোমিটারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেমলস ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৮ হাজার কিলোমিটারে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধের লক্ষ্যে গত ৫ বছরে প্রায় ৫৩ লাখ প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায়, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৮ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনে বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন করা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা জ্বালানি তেল (ডিজেল) দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় এবং সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় একটি বৃহৎ সমন্বিত তেল শোধনাগার স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের সিদ্ধান্ত আছে। সম্প্রতি ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিদিন গ্যাসের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর পর দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এতে অতিরিক্ত ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায় আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং স্পট মার্কেট থেকেও কেনা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৮ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চল ও অন্যান্য এলাকায় ২১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পায়রা ও ভোলা থেকে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য আরও ৪২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় রোধে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজও চলছে।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেট আকারে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হলেও আগামী বছরের শিক্ষা-বাজেট দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু শিক্ষা খাত হিসাব করলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ০১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা অনেক দিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। এটাকে তারা বরাদ্দ হিসেবে না দেখে আগামী দিনের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে বলছেন। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় বরাদ্দ ১২ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। জিডিপির হিসাবে তা ছিল ২ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগামী বাজেটে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দের সংগতি নেই। বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। এজন্য দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। কিন্তু এ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য প্রয়োজন শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ। বরাবরের মতো এবারও শুভংকরের ফাঁকি লক্ষ করছি। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে আকার বড় করা হলেও চলতি অর্থবছরের চেয়েও বরাদ্দ কমেছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও বাজেটে দিকনির্দেশনা দেখছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিক্ষায় জিডিপির ২ শতাংশের নিচে বরাদ্দ কাক্সিক্ষত নয়। আগামী অর্থবছরে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। সেটা আগামী অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের বাজেটে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে, যা খুবই ভালো। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। শিক্ষায় বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট ঘিরে প্রতি বছরই বেসরকারি শিক্ষকদের অন্যতম দাবি থাকে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎসব-ভাতা প্রদান। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রাখাও তাদের অন্যতম দাবি। কিন্তু সেসব বিষয়ে বাজেটে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে এবার বরাদ্দ ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়লেও মোট বাজেটের তুলনায় তা কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে খাতটিতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে তা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ১২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকেই নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এবার টাকার অঙ্কে গত বছরের তুলনায় (বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছর) ১ হাজার একশ কোটির মতো বেড়েছে। কিন্তু বাজেট শেয়ারে সেটা কমেছে। সামগ্রিক বাজেটের গ্রোথ বা বৃদ্ধি ১২ শতাংশ, কিন্তু স্বাস্থ্যের বাজেটের বৃদ্ধি ৩ শতাংশ। তারমানে রাষ্ট্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব কমেছে। সেই কারণে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, এবার কমার যৌক্তিক কারণ আছে। সেটা হলো স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্টর প্রোগ্রামে উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থ আসে। সেই সেক্টর প্রোগ্রাম এই অর্থবছরে শেষ হয়ে প্রস্তাবিত অর্থবছর থেকে নতুন সেক্টর প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান সেক্টর প্রোগ্রাম সময়মতো বাস্তবায়ন করতে না পারায় সেটার সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এই এক বছরের জন্য নতুন বাজেট থাকে না, পুরনো বাজেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। ফলে বরাদ্দ না বাড়িয়ে পাঁচ বছরের বাজেট যদি ছয় বছরে গিয়ে ঠেকে, তাহলে প্রতি বছর টাকা কমে যায়। মূলত এ কারণে এবার টাকা কমে গেছে।
সরকার স্বাস্থ্য খাতে এবারও কিছু থোক বরাদ্দ রাখতে পারত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতির এই শিক্ষক। তিনি বলেন, কভিড ছাড়াও আমাদের অনেক জরুরি খাত আছে। এখন ডেঙ্গু চলছে। এটি ইমার্জেন্সি হয়ে যাবে। ফলে এটার জন্য যে ফান্ড দেওয়া আছে হাসপাতালে, রোগী বাড়লে সেটা দিয়ে হবে না। এরকম ইমার্জেন্সি আরও আসতে পারে। এরকম একটা থোক বরাদ্দ রাখলে স্বাস্থ্যের ইমার্জেন্সিতে সেখান থেকে ব্যয় করা যেত। কিন্তু সেটাও নেই। তার মানে কভিডের শিক্ষা থেকে আমরা কিছুই শিখিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে সেটার প্রতিফলন নেই।
সামগ্রিকভাবে বাজেটে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলেও মনে করছেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এতে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধসহ সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
যদিও এবারের বাজেটে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা আরও সুলভ করার জন্য ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, আইভি ক্যানুলা উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপাদান সিলিকন টিউবসহ আরও কিছু বিদ্যমান ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তামাক জাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডারমাল ইউস নিকোটিন পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।