সাবেক দম্পতির ৫১১৩ কোটি টাকার শিল্প-সংগ্রহ নিলামে
অনলাইন ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৩
১৯৫৯ সালে হ্যারি ও লিন্ডা বিয়ে করেন। এরপর তারা যৌথভাবে সম্পদ সংগ্রহ শুরু করেন
বিবাহবিচ্ছেদের তিন বছর পর নিলামে উঠছে সাবেক দম্পতি নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার হ্যারি ম্যাক্লো ও লিন্ডার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের শিল্প-সংগ্রহ।
নিলামঘর সথবে’র বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, চোখ ধাঁধানো এই সংগ্রহের মূল্য ৬০ কোটি ডলার বা ৫১১৩ কোটি টাকারও বেশি।
এতে রয়েছে ৬৫টি শিল্পকর্ম। যেখানে আছে পাবলো পিকাসো, অ্যান্ড্রি ওয়ারহল, আলবার্তো জিয়াকোমেট্টি, জেফ কুনস, মার্ক রুথকো ও সাই টুম্বাই-এর মতো নামি শিল্পীদের কাজ।
নিলামঘরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংগ্রহ এর আগে কোথাও নেওয়া হয়নি বা কারো স্পর্শে আসেনি। তারা খোঁজ পাওয়ার আগে সংগ্রহের অনেকটা বিক্রি হয়ে যায়। কোনোটা গেছে জাদুঘর বা দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।
১৯৫৯ সালে হ্যারি ও লিন্ডা বিয়ে করেন। এরপর তারা যৌথভাবে সম্পদ সংগ্রহ শুরু করেন। এই সংগ্রহশালা ছাড়াও তাদের রয়েছে মিলিয়ন ডলারের অ্যাপার্টমেন্ট, ইয়ট ও একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি।
২০১৮ সালে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শুরু হলে ম্যাক্লো দম্পতিকে আদালত সংগ্রহ বিক্রি করে লভ্যাংশ ভাগাভাগির নির্দেশ দেয়। এরপর তারা এ কাজে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেন।
করোনার কারণে নিলাম প্রক্রিয়া দেরি না হলে এ শিল্প-সংগ্রহটি আগেই বিক্রি হয়ে যেতো।
বোঝাই যাচ্ছে, হ্যারি ও লিন্ডার সংগ্রহে থাকা একেকটি শিল্পকর্মের দাম আকাশছোঁয়া। যেমন; জিয়াকোমেট্টির অস্তিত্ববাদী ধারার ভাস্কর্য ‘লা নেজ’-এর দাম ৩ কোটি ডলারের মতো।
নিলাম শুরু হবে সামনের নভেম্বরে, শেষ হবে আগামী বছরের মে মাসে।
বলা হচ্ছে, এ নিলাম ইতিহাসে বিশিষ্ট হয়ে থাকবে। আর এর মাধ্যমে হাল সময়ের শিল্প-সংগ্রহকে আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৩

বিবাহবিচ্ছেদের তিন বছর পর নিলামে উঠছে সাবেক দম্পতি নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার হ্যারি ম্যাক্লো ও লিন্ডার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের শিল্প-সংগ্রহ।
নিলামঘর সথবে’র বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, চোখ ধাঁধানো এই সংগ্রহের মূল্য ৬০ কোটি ডলার বা ৫১১৩ কোটি টাকারও বেশি।
এতে রয়েছে ৬৫টি শিল্পকর্ম। যেখানে আছে পাবলো পিকাসো, অ্যান্ড্রি ওয়ারহল, আলবার্তো জিয়াকোমেট্টি, জেফ কুনস, মার্ক রুথকো ও সাই টুম্বাই-এর মতো নামি শিল্পীদের কাজ।
নিলামঘরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংগ্রহ এর আগে কোথাও নেওয়া হয়নি বা কারো স্পর্শে আসেনি। তারা খোঁজ পাওয়ার আগে সংগ্রহের অনেকটা বিক্রি হয়ে যায়। কোনোটা গেছে জাদুঘর বা দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।
১৯৫৯ সালে হ্যারি ও লিন্ডা বিয়ে করেন। এরপর তারা যৌথভাবে সম্পদ সংগ্রহ শুরু করেন। এই সংগ্রহশালা ছাড়াও তাদের রয়েছে মিলিয়ন ডলারের অ্যাপার্টমেন্ট, ইয়ট ও একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি।
২০১৮ সালে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শুরু হলে ম্যাক্লো দম্পতিকে আদালত সংগ্রহ বিক্রি করে লভ্যাংশ ভাগাভাগির নির্দেশ দেয়। এরপর তারা এ কাজে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেন।
করোনার কারণে নিলাম প্রক্রিয়া দেরি না হলে এ শিল্প-সংগ্রহটি আগেই বিক্রি হয়ে যেতো।
বোঝাই যাচ্ছে, হ্যারি ও লিন্ডার সংগ্রহে থাকা একেকটি শিল্পকর্মের দাম আকাশছোঁয়া। যেমন; জিয়াকোমেট্টির অস্তিত্ববাদী ধারার ভাস্কর্য ‘লা নেজ’-এর দাম ৩ কোটি ডলারের মতো।
নিলাম শুরু হবে সামনের নভেম্বরে, শেষ হবে আগামী বছরের মে মাসে।
বলা হচ্ছে, এ নিলাম ইতিহাসে বিশিষ্ট হয়ে থাকবে। আর এর মাধ্যমে হাল সময়ের শিল্প-সংগ্রহকে আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।