রেকর্ড ৩০০ কোটি টাকায় বিক্রি ফ্রিদা কাহলোর চিত্রকর্ম
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১৩
ফ্রিদার শেষ দিকে আঁকা অন্যতম আত্ম-প্রতিকৃতি ‘ডিয়েগো ওয়াই ইয়ো’
ম্যাক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো একটি চিত্রকর্ম রেকর্ড দামে বিক্রি করেছে নিলামঘর সথবে। নিউইয়র্কে সোমবার এই পেইন্টিং বিক্রি হয় ৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দামে।
বিবিসি জানায়, ল্যাটিন আমেরিকার শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে নিলামে এটি সর্বোচ্চ দাম।
এর আগে নিলামে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড করে ডিয়েগো রিভেরার একটি চিত্রকর্ম, যার সঙ্গে এক দশকের টালমাটাল দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল ফ্রিদার। ২০১৮ সালে ওই চিত্রকর্মের সাড়ে ৯৭ লাখ ডলারের বেশি দাম পায়।
ফ্রিদার ‘ডিয়েগো ওয়াই ইয়ো’ নামের চিত্রকর্মটি ছিল শেষদিকে আঁকা তার অন্যতম আত্ম-প্রতিকৃতি। যেখানে অশ্রুসজল ফ্রিদা কাহলোকে দেখা যাচ্ছে, আর তার দু’চোখের ওপরে আঁকা হয়েছে স্বামী রিভেরাকে।
চিত্রকর্মটি কিনেছেন আর্জেন্টিনায় একটি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো এফ. কসান্টিনি।
এর আগে ১৯৯০ সালে নিলামে চিত্রকর্মটির দাম ওঠে ১৪ লাখ ডলার।
বিশ শতকের অন্যতম সেরা চিত্রশিল্পী হিসেব গণ্য করা হয় ফ্রিদা কাহলোকে। তার আঁকা আত্ম-প্রতিকৃতিগুলো খুবই বিখ্যাত, যা তার ব্যথা ও বিচ্ছিন্নতাকে নিবিড়ভাবে প্রতিফলিত করে।
১৯০৭ থেকে ১৯৫৪ সালের সংক্ষিপ্ত জীবদ্দশায় গর্বের সঙ্গে ম্যাক্সিকান প্রান্তিক সংস্কৃতির প্রচার করে গেছেন ফ্রিদা কাহলো।
শরীরের সঙ্গে ব্যথাপূর্ণ সম্পর্কের নানান দিক সময়ে সময়ে ওঠে এসেছে ফ্রিদার ছবিতে। শৈশবের পোলিও ও বড়বেলায় বাস দুর্ঘটনায় পাওয়া একাধিক আঘাতের কারণে আজীবন যন্ত্রণা ও অক্ষমতা সইতে হয়েছে তাকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১৩

ম্যাক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো একটি চিত্রকর্ম রেকর্ড দামে বিক্রি করেছে নিলামঘর সথবে। নিউইয়র্কে সোমবার এই পেইন্টিং বিক্রি হয় ৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দামে।
বিবিসি জানায়, ল্যাটিন আমেরিকার শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে নিলামে এটি সর্বোচ্চ দাম।
এর আগে নিলামে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড করে ডিয়েগো রিভেরার একটি চিত্রকর্ম, যার সঙ্গে এক দশকের টালমাটাল দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল ফ্রিদার। ২০১৮ সালে ওই চিত্রকর্মের সাড়ে ৯৭ লাখ ডলারের বেশি দাম পায়।
ফ্রিদার ‘ডিয়েগো ওয়াই ইয়ো’ নামের চিত্রকর্মটি ছিল শেষদিকে আঁকা তার অন্যতম আত্ম-প্রতিকৃতি। যেখানে অশ্রুসজল ফ্রিদা কাহলোকে দেখা যাচ্ছে, আর তার দু’চোখের ওপরে আঁকা হয়েছে স্বামী রিভেরাকে।
চিত্রকর্মটি কিনেছেন আর্জেন্টিনায় একটি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো এফ. কসান্টিনি।
এর আগে ১৯৯০ সালে নিলামে চিত্রকর্মটির দাম ওঠে ১৪ লাখ ডলার।
বিশ শতকের অন্যতম সেরা চিত্রশিল্পী হিসেব গণ্য করা হয় ফ্রিদা কাহলোকে। তার আঁকা আত্ম-প্রতিকৃতিগুলো খুবই বিখ্যাত, যা তার ব্যথা ও বিচ্ছিন্নতাকে নিবিড়ভাবে প্রতিফলিত করে।
১৯০৭ থেকে ১৯৫৪ সালের সংক্ষিপ্ত জীবদ্দশায় গর্বের সঙ্গে ম্যাক্সিকান প্রান্তিক সংস্কৃতির প্রচার করে গেছেন ফ্রিদা কাহলো।
শরীরের সঙ্গে ব্যথাপূর্ণ সম্পর্কের নানান দিক সময়ে সময়ে ওঠে এসেছে ফ্রিদার ছবিতে। শৈশবের পোলিও ও বড়বেলায় বাস দুর্ঘটনায় পাওয়া একাধিক আঘাতের কারণে আজীবন যন্ত্রণা ও অক্ষমতা সইতে হয়েছে তাকে।