রেকর্ড প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় বিক্রি ফ্রিদা কাহলোর শিল্পকর্ম
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৬
নিউইয়র্কের সুথিবে নিলাম হাউসে রেকর্ড ৩৪.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে ম্যাক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহলোর এক শিল্পকর্ম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
এটাই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া কোনো লাতিন আমেরিকান শিল্পকর্ম। এর আগের রেকর্ডটি ছিল আরেক ম্যাক্সিকান শিল্পী দিয়েগো রিভেরার। যার সঙ্গে কাহলোর দশক-ব্যাপী টালমাটাল সম্পর্ক ছিল।
২০১৮ সালে রিভেরার শিল্পকর্মটি বিক্রি হয় ৯.৭ মিলিয়ন ডলারে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল কাহলোর ‘দিয়েগো ই ইয়ো’। এই শিল্পকর্মটি তার অন্যতম আত্ম-প্রতিকৃতির একটি।
এই চিত্রকর্মে দেখা যায়, কাহলোর কান্নাপূর্ণ চোখ। আর কপালে রিভেরার প্রতিকৃতি। মঙ্গলবার সুথিবে নিলামে জানানো হয়, ‘নিলামে ওঠা কাহলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি এটি।’
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কাহলোর শিল্পকর্মটির ক্রেতা এদুয়ার্দো এফ. কোসান্তিনি। আর্জেন্টিনায় এক জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
১৯৯০ সালে সর্বশেষ নিলামে উঠেছিল শিল্পকর্মটি। আর তা বিক্রি হয়েছিল ১.৪ মিলিয়ন ডলারে।
২০ শতকের সেরা শিল্পীদের একজন কাহলো। আত্ম-প্রতিকৃতির জন্য খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তার শিল্পকর্মে রয়েছে ব্যথা ও বিচ্ছিন্নতার প্রতিফলন।
কাহলোর জন্ম ১৯০৭ সালে। মৃত্যু ১৯৫৪ সালে। আত্ম-প্রতিকৃতি ছাড়াও তার শিল্পকর্মে উঠে এসেছে আদিবাসী ম্যাক্সিকানদের সংস্কৃতি।
শরীরের সঙ্গে তার বেদনাদায়ক সম্পর্কও চিত্রিত করেছেন কাহলো। শৈশবে পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় বিকলাঙ্গ হয়ে যান তিনি এবং পরে এক বাস দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহতও হন কাহলো।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৬

নিউইয়র্কের সুথিবে নিলাম হাউসে রেকর্ড ৩৪.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে ম্যাক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহলোর এক শিল্পকর্ম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
এটাই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া কোনো লাতিন আমেরিকান শিল্পকর্ম। এর আগের রেকর্ডটি ছিল আরেক ম্যাক্সিকান শিল্পী দিয়েগো রিভেরার। যার সঙ্গে কাহলোর দশক-ব্যাপী টালমাটাল সম্পর্ক ছিল।
২০১৮ সালে রিভেরার শিল্পকর্মটি বিক্রি হয় ৯.৭ মিলিয়ন ডলারে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল কাহলোর ‘দিয়েগো ই ইয়ো’। এই শিল্পকর্মটি তার অন্যতম আত্ম-প্রতিকৃতির একটি।
এই চিত্রকর্মে দেখা যায়, কাহলোর কান্নাপূর্ণ চোখ। আর কপালে রিভেরার প্রতিকৃতি। মঙ্গলবার সুথিবে নিলামে জানানো হয়, ‘নিলামে ওঠা কাহলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি এটি।’
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কাহলোর শিল্পকর্মটির ক্রেতা এদুয়ার্দো এফ. কোসান্তিনি। আর্জেন্টিনায় এক জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
১৯৯০ সালে সর্বশেষ নিলামে উঠেছিল শিল্পকর্মটি। আর তা বিক্রি হয়েছিল ১.৪ মিলিয়ন ডলারে।
২০ শতকের সেরা শিল্পীদের একজন কাহলো। আত্ম-প্রতিকৃতির জন্য খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তার শিল্পকর্মে রয়েছে ব্যথা ও বিচ্ছিন্নতার প্রতিফলন।
কাহলোর জন্ম ১৯০৭ সালে। মৃত্যু ১৯৫৪ সালে। আত্ম-প্রতিকৃতি ছাড়াও তার শিল্পকর্মে উঠে এসেছে আদিবাসী ম্যাক্সিকানদের সংস্কৃতি।
শরীরের সঙ্গে তার বেদনাদায়ক সম্পর্কও চিত্রিত করেছেন কাহলো। শৈশবে পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় বিকলাঙ্গ হয়ে যান তিনি এবং পরে এক বাস দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহতও হন কাহলো।