পাপড়ি রহমানের ‘করুণ ক্যাসিনো’ প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৫
করুণ ক্যাসিনো ও পাপড়ি রহমান
চৈতন্য প্রকাশন থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশ হয়েছিল পাপড়ি রহমানের গল্পগ্রন্থ ‘শহর কিংবা ঊনশহরের গল্প’। এর পাঁচ বছর পর এলো নতুন সংকলন ‘করুণ ক্যাসিনো’।
প্রকাশনা সংস্থা জলধির জন্য ১০টি গল্পে সাজানো হয়েছে বইটি। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। দাম রাখা হয়েছে ৩৭৫ টাকা।
লেখিকা জানালেন, ‘করুণ ক্যাসিনো’ তার অষ্টম গল্পগ্রন্থ। বলেন, “এই গ্লোবাল প্যান্ডেমিক টাইমে বই প্রকাশের তেমন সদিচ্ছা ছিল না, এমনকি আমি প্রস্তুতও ছিলাম না। কিন্তু তরুণ প্রকাশক নাহিদা আশরাফীর ভালোবাসার টানে এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি গুছিয়ে দিলাম।”
“নাহিদা উদ্যমী, স্বচ্ছ ও আন্তরিক মানুষ। তা ছাড়া প্রকাশনার মতো প্রফেশনে নারীদের পদচারণা অত্যন্ত কম, আমাদের এই বাংলাদেশে। আমি বরাবরই নারীপক্ষের মানুষ, এটাও আরেকটা কারণ ‘জলধিকে’ এই পাণ্ডুলিপি দেবার।”
পাপড়ি রহমান জানান, বইয়ের স্থান পাওয়া গল্পে আছে বৈচিত্র্য। যেমন; ‘করুণ ক্যাসিনো’র গল্পের মাঝে একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা। সম্রাট বাবুরের বাবার অকস্মাৎ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এই গল্প।
অন্য গল্প নিয়ে বলেন, “যাদুবাস্তবতার গল্প আছে ৩-৪ টি। শান্তিনিকেতনের ‘বসন্ত উৎসবে’ বেড়াতে গিয়ে একটা গল্প পেয়েছিলাম। গল্পটা লিখেছি ‘ফাগুনবউ’ নামে। এটা একটা ফুলের নাম, রবীন্দ্রনাথের দেয়া।”
“আরেকটা গল্প একেবারে জীবন থেকে নেয়া— হাওয়াকলের গাড়ি। এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর বাস্তব রূপ এই গল্প। বইয়ের বেশির ভাগ গল্পই কালি ও কলমের ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যার প্রকাশিত। বলাই বাহুল্য সবকটি গল্পই কোনো না কোনো পত্রিকার স্পেশাল ইস্যুগুলিতেই প্রকাশিত হয়েছে। ‘জলময়ূরীর সংসার’ পিউর নারীবাদের গল্প। গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল পশ্চিম বাংলার পত্রিকা ‘তবুও প্রয়াসের’ এইবারের পুজো সংখ্যায়।
আরেকটা অত্যন্ত বিশেষ গল্প ‘রাজনীতিবিদের স্ত্রী’। এই গল্পটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে নিয়ে লেখা।”
আরও তিনটি গল্প আছে। যা লেখিকার ভাষায় ‘তুমুল প্রেমের গল্প’। সব মিলিয়ে একইরকম বিষয়বস্তু নিয়ে একাধিক গল্প নেই ‘করুণ ক্যাসিনো’য়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৫

চৈতন্য প্রকাশন থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশ হয়েছিল পাপড়ি রহমানের গল্পগ্রন্থ ‘শহর কিংবা ঊনশহরের গল্প’। এর পাঁচ বছর পর এলো নতুন সংকলন ‘করুণ ক্যাসিনো’।
প্রকাশনা সংস্থা জলধির জন্য ১০টি গল্পে সাজানো হয়েছে বইটি। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। দাম রাখা হয়েছে ৩৭৫ টাকা।
লেখিকা জানালেন, ‘করুণ ক্যাসিনো’ তার অষ্টম গল্পগ্রন্থ। বলেন, “এই গ্লোবাল প্যান্ডেমিক টাইমে বই প্রকাশের তেমন সদিচ্ছা ছিল না, এমনকি আমি প্রস্তুতও ছিলাম না। কিন্তু তরুণ প্রকাশক নাহিদা আশরাফীর ভালোবাসার টানে এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি গুছিয়ে দিলাম।”
“নাহিদা উদ্যমী, স্বচ্ছ ও আন্তরিক মানুষ। তা ছাড়া প্রকাশনার মতো প্রফেশনে নারীদের পদচারণা অত্যন্ত কম, আমাদের এই বাংলাদেশে। আমি বরাবরই নারীপক্ষের মানুষ, এটাও আরেকটা কারণ ‘জলধিকে’ এই পাণ্ডুলিপি দেবার।”
পাপড়ি রহমান জানান, বইয়ের স্থান পাওয়া গল্পে আছে বৈচিত্র্য। যেমন; ‘করুণ ক্যাসিনো’র গল্পের মাঝে একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা। সম্রাট বাবুরের বাবার অকস্মাৎ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এই গল্প।
অন্য গল্প নিয়ে বলেন, “যাদুবাস্তবতার গল্প আছে ৩-৪ টি। শান্তিনিকেতনের ‘বসন্ত উৎসবে’ বেড়াতে গিয়ে একটা গল্প পেয়েছিলাম। গল্পটা লিখেছি ‘ফাগুনবউ’ নামে। এটা একটা ফুলের নাম, রবীন্দ্রনাথের দেয়া।”
“আরেকটা গল্প একেবারে জীবন থেকে নেয়া— হাওয়াকলের গাড়ি। এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর বাস্তব রূপ এই গল্প। বইয়ের বেশির ভাগ গল্পই কালি ও কলমের ছোটগল্প বিশেষ সংখ্যার প্রকাশিত। বলাই বাহুল্য সবকটি গল্পই কোনো না কোনো পত্রিকার স্পেশাল ইস্যুগুলিতেই প্রকাশিত হয়েছে। ‘জলময়ূরীর সংসার’ পিউর নারীবাদের গল্প। গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল পশ্চিম বাংলার পত্রিকা ‘তবুও প্রয়াসের’ এইবারের পুজো সংখ্যায়।
আরেকটা অত্যন্ত বিশেষ গল্প ‘রাজনীতিবিদের স্ত্রী’। এই গল্পটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে নিয়ে লেখা।”
আরও তিনটি গল্প আছে। যা লেখিকার ভাষায় ‘তুমুল প্রেমের গল্প’। সব মিলিয়ে একইরকম বিষয়বস্তু নিয়ে একাধিক গল্প নেই ‘করুণ ক্যাসিনো’য়।