প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ ডিসিসিআইর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন (বিডিফোরআইআর) যৌথভাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব : বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সর্বোপরি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এজন্য বাংলাদেশকে এ বিপ্লবের সুবিধা আদায়ের জন্য এখনই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কালে রোবটিকস, ক্লাউট টেকনোলোজি, ব্লকচেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানোটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। এ প্রযুক্তিগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। তরুণ সমাজ ইতোমধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা মোকাবিলার জন্য আমাদের এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিডিফোরআইআরের সহ-সভাপতি সৈয়দ তামজিদ উর রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ শিল্প বিপ্লবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, নতুন কর্মদক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের প্রকৃতির মতো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন নতুন কাজের দিগন্ত উন্মোচিত হবে। একই সঙ্গে কর্মচ্যুতিরও সম্ভাবনা থাকবে। এজন্য আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পুনঃপ্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন (বিডিফোরআইআর) যৌথভাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব : বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সর্বোপরি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এজন্য বাংলাদেশকে এ বিপ্লবের সুবিধা আদায়ের জন্য এখনই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কালে রোবটিকস, ক্লাউট টেকনোলোজি, ব্লকচেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানোটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। এ প্রযুক্তিগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। তরুণ সমাজ ইতোমধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা মোকাবিলার জন্য আমাদের এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিডিফোরআইআরের সহ-সভাপতি সৈয়দ তামজিদ উর রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ শিল্প বিপ্লবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, নতুন কর্মদক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের প্রকৃতির মতো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন নতুন কাজের দিগন্ত উন্মোচিত হবে। একই সঙ্গে কর্মচ্যুতিরও সম্ভাবনা থাকবে। এজন্য আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পুনঃপ্রশিক্ষণ দিতে হবে।