ভোটের আগে এডিপি কাটছাঁটে ভয়
মামুন আব্দুল্লাহ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
গত ২০-২১ ডিসেম্বর বৈঠক ডাকে ইআরডি। সভায় চলতি বাস্তবায়নে ধীরগতির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের কথায় ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে
প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসেম্বরেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভোটের ভয়ে তা স্থগিত করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন কয়েক আগে বিভিন্ন প্রকল্প বাতিল বা বরাদ্দ কমানোর প্রভাব নির্বাচনে পড়ার ভয় থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নির্বাচনের পরে জানুয়ারি মাসে এডিপি সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
ইআরডি’র কর্মকর্তারা জানান, বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো কাটছাঁট করতে গত ২০-২১ ডিসেম্বর বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক ডাকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সভায় চলতি বাস্তবায়নে ধীরগতির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের কথায় ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বৈদেশিক সাহায্যের বাজেট ও হিসাব অনুবিভাগ (ফাবা) এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রণালয় বৈঠকটি স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে নতুন করে বৈঠক ডাকা হবে। সেজন্য আবার চিঠি ইস্যু করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের কারণেই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই বড় ঘটনা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। এর আগে, এডিপি সংশোধন বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগ একটি নীতিমালা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়ার পরও বাস্তবায়নে ধীরগতির প্রকল্পে অর্থ কাটছাঁট করে দ্রুতগতির প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে।
এ ছাড়া, নতুন প্রকল্পের বদলে চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে এমন প্রকল্পে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা আছে তাতে। ওই নীতিমালা ধরেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ’র কর্মকর্তাদের মতে, চলতি অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এডিপি বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশে।
শেয়ার করুন
মামুন আব্দুল্লাহ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসেম্বরেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভোটের ভয়ে তা স্থগিত করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন কয়েক আগে বিভিন্ন প্রকল্প বাতিল বা বরাদ্দ কমানোর প্রভাব নির্বাচনে পড়ার ভয় থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নির্বাচনের পরে জানুয়ারি মাসে এডিপি সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
ইআরডি’র কর্মকর্তারা জানান, বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো কাটছাঁট করতে গত ২০-২১ ডিসেম্বর বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক ডাকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সভায় চলতি বাস্তবায়নে ধীরগতির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের কথায় ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বৈদেশিক সাহায্যের বাজেট ও হিসাব অনুবিভাগ (ফাবা) এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রণালয় বৈঠকটি স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে নতুন করে বৈঠক ডাকা হবে। সেজন্য আবার চিঠি ইস্যু করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের কারণেই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই বড় ঘটনা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। এর আগে, এডিপি সংশোধন বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগ একটি নীতিমালা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়ার পরও বাস্তবায়নে ধীরগতির প্রকল্পে অর্থ কাটছাঁট করে দ্রুতগতির প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে।
এ ছাড়া, নতুন প্রকল্পের বদলে চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে এমন প্রকল্পে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা আছে তাতে। ওই নীতিমালা ধরেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ’র কর্মকর্তাদের মতে, চলতি অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এডিপি বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশে।