যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার
সূচক বাড়লেও উদ্বেগ কমেনি বিনিয়োগকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
টানা পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ওয়াল স্ট্রিটের প্রভাবে এদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারেও। তবে তা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কমছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুদিন আগে ‘বিয়ার মার্কেটে’ পরিণত হয়েছিল জাপানের প্রধান পুঁজিবাজার নিক্কেই। গতকাল এই পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। কোনো পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের দাম ২০ শতাংশ বা তার বেশি কমলে তা বিয়ার মার্কেটে পরিণত হয়। এই পতনে লোকসান কমাতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দেন। নিক্কেইয়ের পাশাপাশি গতকাল অস্ট্রেরিয়া ও সিঙ্গাপুরে শেয়ার সূচক বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি। এদিকে সপ্তাহভর সূচকের অবনমন ও বৈশি^ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে গতকাল পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও শঙ্কা কাটেনি বিনিয়োগকারীদের।
তবে সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখিতার প্রভাব পড়েনি হংকং ও চীনের পুঁজিবাজারে। হংকংয়ের হ্যাংসেং ও সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে দশমিক ৬ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য পুঁজিবাজারের সূচক উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকলেও গত সোমবার থেকে ইউরোপে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিন পুঁজিবাজার ডাও জোন্স, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাকে সূচক গতকাল বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। সূচক বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অনলাইন ব্রোকার এফএক্সটিএমের প্রধান বাজার বিশ্লেষক হুসেইন সায়েদ বলছেন, সংকটের সময় পুঁজিবাজারে এ ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্বাভাবিক নয়। এর আগে অনেকবার এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

টানা পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ওয়াল স্ট্রিটের প্রভাবে এদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারেও। তবে তা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কমছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুদিন আগে ‘বিয়ার মার্কেটে’ পরিণত হয়েছিল জাপানের প্রধান পুঁজিবাজার নিক্কেই। গতকাল এই পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। কোনো পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের দাম ২০ শতাংশ বা তার বেশি কমলে তা বিয়ার মার্কেটে পরিণত হয়। এই পতনে লোকসান কমাতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দেন। নিক্কেইয়ের পাশাপাশি গতকাল অস্ট্রেরিয়া ও সিঙ্গাপুরে শেয়ার সূচক বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি। এদিকে সপ্তাহভর সূচকের অবনমন ও বৈশি^ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে গতকাল পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও শঙ্কা কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। তবে সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখিতার প্রভাব পড়েনি হংকং ও চীনের পুঁজিবাজারে। হংকংয়ের হ্যাংসেং ও সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে দশমিক ৬ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য পুঁজিবাজারের সূচক উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকলেও গত সোমবার থেকে ইউরোপে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিন পুঁজিবাজার ডাও জোন্স, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাকে সূচক গতকাল বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। সূচক বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অনলাইন ব্রোকার এফএক্সটিএমের প্রধান বাজার বিশ্লেষক হুসেইন সায়েদ বলছেন, সংকটের সময় পুঁজিবাজারে এ ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্বাভাবিক নয়। এর আগে অনেকবার এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।