সঞ্চয়পত্রের সুদ ও ভ্যাট নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নতুন বছর কমতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদহার। নির্বাচনের পর সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন, ২০১২ কার্যকর করা হতে পারে আসছে জুলাই থেকে। ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তির মুখে আইনটি কার্যকর করা দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছিল সরকার।
কমতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদহার
বিদায়ী বছরের জুলাইয়ে ব্যাংকে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ ও ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ব্যাংকে আমানতের সুদহার কমার কারণে আমানতকারীরা বেশি মাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে থাকে। কারণ, সঞ্চয়পত্রের সুদহার এখনো ১১ শতাংশের বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত আগস্টে সঞ্চয়পত্রের সুদহার যৌক্তিকীকরণে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সঞ্চয়পত্রের সুদহার কত কমানো যায়, সে বিষয়ে তখন একটি কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই মাসের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার কমানোর পর কার্যকর করা হয়েছে। তাই সঞ্চয়পত্রের সুদহারও যৌক্তিক করা প্রয়োজন। নতুন সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
কার্যকর হতে পারে নতুন ভ্যাট আইন
ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে দেড় বছর আগে স্থগিত হওয়া ভ্যাট আইন, ২০১২ কার্যকর করা হতে পারে নতুন বছরের ১ জুলাই থেকে। আইনটিতে সব পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের কথা রয়েছে। এতেই আপত্তি ব্যবসায়ীদের। তাদের আপত্তি আমলে নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইনটি সংশোধন ভ্যাটের একক হারের বদলে তিনটি হার নির্ধারণে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাট আইন সংশোধনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশ পাওয়ার পরই সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সফটওয়্যারও এমনভাবে পরিবর্তন করা হবে যাতে, একাধিক হারে ভ্যাট আদায় করা যায়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকছে না। এটি তিন স্তরে করা হতে পারে। ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও ব্যবসায়ীরা তা সঠিকভাবে কোষাগারে জমা দেন না। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে অটোমেশনের কাজ চলছে। এতে একদিকে দুর্নীতি ও হয়রানি কমবে।
গত পাঁচ বছরে মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৩৬ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে। বর্তমানে জিডিপিতে ভ্যাটের অবদান ১১ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাটের এ অবদান বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নতুন বছর কমতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদহার। নির্বাচনের পর সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন, ২০১২ কার্যকর করা হতে পারে আসছে জুলাই থেকে। ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তির মুখে আইনটি কার্যকর করা দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছিল সরকার।
কমতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদহার
বিদায়ী বছরের জুলাইয়ে ব্যাংকে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ ও ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ব্যাংকে আমানতের সুদহার কমার কারণে আমানতকারীরা বেশি মাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে থাকে। কারণ, সঞ্চয়পত্রের সুদহার এখনো ১১ শতাংশের বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত আগস্টে সঞ্চয়পত্রের সুদহার যৌক্তিকীকরণে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সঞ্চয়পত্রের সুদহার কত কমানো যায়, সে বিষয়ে তখন একটি কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই মাসের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার কমানোর পর কার্যকর করা হয়েছে। তাই সঞ্চয়পত্রের সুদহারও যৌক্তিক করা প্রয়োজন। নতুন সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
কার্যকর হতে পারে নতুন ভ্যাট আইন
ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে দেড় বছর আগে স্থগিত হওয়া ভ্যাট আইন, ২০১২ কার্যকর করা হতে পারে নতুন বছরের ১ জুলাই থেকে। আইনটিতে সব পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের কথা রয়েছে। এতেই আপত্তি ব্যবসায়ীদের। তাদের আপত্তি আমলে নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইনটি সংশোধন ভ্যাটের একক হারের বদলে তিনটি হার নির্ধারণে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাট আইন সংশোধনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশ পাওয়ার পরই সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সফটওয়্যারও এমনভাবে পরিবর্তন করা হবে যাতে, একাধিক হারে ভ্যাট আদায় করা যায়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকছে না। এটি তিন স্তরে করা হতে পারে। ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও ব্যবসায়ীরা তা সঠিকভাবে কোষাগারে জমা দেন না। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে অটোমেশনের কাজ চলছে। এতে একদিকে দুর্নীতি ও হয়রানি কমবে।
গত পাঁচ বছরে মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৩৬ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে। বর্তমানে জিডিপিতে ভ্যাটের অবদান ১১ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাটের এ অবদান বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের।