ঈদ বন্যায় মূল্যস্ফীতি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০
ঈদুল আজহা ও বন্যার কারণে চলতি বছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূতÑ দুই খাতেই বেড়েছে এই চাপ। এক্ষেত্রে গ্রামীণ অঞ্চলের চেয়ে শহরে এই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার বেশি। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে দেশবাসী। জুলাইয়ে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় পণ্য এবং অন্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাস ওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিবিএসের তথ্য তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে মূল্যস্ফীতি হয় ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। আবার বন্যার কারণে অনেক শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা ছিল। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এছাড়া, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিও মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ বলে মনে করেন তিনি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০

ঈদুল আজহা ও বন্যার কারণে চলতি বছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূতÑ দুই খাতেই বেড়েছে এই চাপ। এক্ষেত্রে গ্রামীণ অঞ্চলের চেয়ে শহরে এই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার বেশি। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে দেশবাসী। জুলাইয়ে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় পণ্য এবং অন্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাস ওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিবিএসের তথ্য তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে মূল্যস্ফীতি হয় ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। আবার বন্যার কারণে অনেক শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা ছিল। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এছাড়া, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিও মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ বলে মনে করেন তিনি।