দেশের ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
দেশের ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম দেশে থাকলে দেশীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর রেভিনিউ এমনিতেই বেড়ে যাবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের আওতায় বিদেশ থেকে মেশিনারিজ আসত আবার ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম চলে যেত। এখন থেকে এগুলো বিদেশে যাবে না। দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে, যেটা আমরা পেমেন্ট করব সেটার প্রিমিয়ামও আমরা পাব। আমাদের প্রিমিয়াম বাইরের কেউ পাবে না। দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে তার প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না।’
গতকাল বুধবার শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে সাধারণ বীমা করপোরেশন সরকারি কোষাগারে ২০১৮ সালের লভ্যাংশের ৫০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহসান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেগা প্রকল্পগুলোকে বীমা কভারেজ প্রদান করেছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, এতে সরকারি কোষাগারে আরও বেশি টাকা দেবে এই সংস্থাটি। আগামীতে মুনাফাও ডাবল হবে। যেখানে সাধারণ বীমা মুনাফা পাচ্ছিল না এখন তারা পাবে। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ বীমার রেভিনিউ বাড়লে পাশাপাশি সেবাও বাড়বে। গ্রাহকরাও উপকৃত হবে।
২০১৭ সালের হিসাব থেকেও ৪০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সাধারণ বীমা করপোরেশন নিট মুনাফা করেছে ৩২৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সাধারণ বীমা করপোরেশন সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্লান্ট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ইত্যাদির বীমা কভারেজ প্রদান করেছে। ২০১৮ সালে সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা খাতে সর্বমোট ৩৭৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গ্রস বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

দেশের ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম দেশে থাকলে দেশীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর রেভিনিউ এমনিতেই বেড়ে যাবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের আওতায় বিদেশ থেকে মেশিনারিজ আসত আবার ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম চলে যেত। এখন থেকে এগুলো বিদেশে যাবে না। দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে, যেটা আমরা পেমেন্ট করব সেটার প্রিমিয়ামও আমরা পাব। আমাদের প্রিমিয়াম বাইরের কেউ পাবে না। দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে তার প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না।’
গতকাল বুধবার শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে সাধারণ বীমা করপোরেশন সরকারি কোষাগারে ২০১৮ সালের লভ্যাংশের ৫০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহসান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেগা প্রকল্পগুলোকে বীমা কভারেজ প্রদান করেছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, এতে সরকারি কোষাগারে আরও বেশি টাকা দেবে এই সংস্থাটি। আগামীতে মুনাফাও ডাবল হবে। যেখানে সাধারণ বীমা মুনাফা পাচ্ছিল না এখন তারা পাবে। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ বীমার রেভিনিউ বাড়লে পাশাপাশি সেবাও বাড়বে। গ্রাহকরাও উপকৃত হবে।
২০১৭ সালের হিসাব থেকেও ৪০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সাধারণ বীমা করপোরেশন নিট মুনাফা করেছে ৩২৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সাধারণ বীমা করপোরেশন সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্লান্ট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ইত্যাদির বীমা কভারেজ প্রদান করেছে। ২০১৮ সালে সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা খাতে সর্বমোট ৩৭৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গ্রস বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।