৩০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে আইএফআইএল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
অনিয়ম ও আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। আরও কিছু ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) দুরবস্থা চলছে। সংকটে আছে বেশ কিছু ব্যাংকও। আর্থিক খাতের এই দুরবস্থার সময়েও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমানত, বিনিয়োগ ও ইপিএসে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি খাতের একমাত্র ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (আইএফআইএল)। পর্যাপ্ত মূলধন থাকা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার মুদারাবা বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আর্থিক খাতের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আমানত সংগ্রহে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে আইএফআইএল। গত বছর জুন থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে আমানত বেড়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমলেও গত ছয় মাসে আইএফআইএলের আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তারা জানায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে আইএফআইএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬৬ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা এ খাতের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি।
আইএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু জাফর মো. সালেহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ব্যবসার ধারাবাহিকতা, কমপ্লায়েন্স ও অভ্যন্তরীণ সুশাসনই এ প্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি। গ্রাহকের আস্থার কারণেই আর্থিক খাতের অন্য কোম্পানিগুলো পিছিয়ে পড়লেও আইএফআইএলের আমানত বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কারণে সংকটময় সময় পার করছে। এ কারণে আমানত সংগ্রহও কঠিন হয়ে পড়ছে। গ্রাহকের আস্থার কারণেই আইএফআইএল এ দুঃসময়েও আমানতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয় ও বিনিয়োগেও।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশের ১৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তত আটটির ঋণ বা বিনিয়োগ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আমানত বাড়ায় এ সময়ে আইএফআইএল ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বর্তমানে আইএফআইএলের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ন্যূনতম বিধিবদ্ধ ১০ শতাংশের বিপরীতে আছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটির বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়েছে, আমানত বেড়েছে তিনগুণ। একই সময়ে দ্বিগুণ হয়ে আইএফআইএলের সম্পদ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা আইএফআইএল গত দুই বছরে সাড়ে ১৪ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি অব দ্য ইয়ার-বাংলাদেশ ২০১৯’ ক্যাটাগরিতে ‘এশিয়ান ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ সিঙ্গাপুর’ পুরস্কার অর্জন করেছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

অনিয়ম ও আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। আরও কিছু ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) দুরবস্থা চলছে। সংকটে আছে বেশ কিছু ব্যাংকও। আর্থিক খাতের এই দুরবস্থার সময়েও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমানত, বিনিয়োগ ও ইপিএসে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি খাতের একমাত্র ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (আইএফআইএল)। পর্যাপ্ত মূলধন থাকা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার মুদারাবা বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আর্থিক খাতের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আমানত সংগ্রহে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে আইএফআইএল। গত বছর জুন থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে আমানত বেড়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমলেও গত ছয় মাসে আইএফআইএলের আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তারা জানায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে আইএফআইএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬৬ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা এ খাতের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি।
আইএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু জাফর মো. সালেহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ব্যবসার ধারাবাহিকতা, কমপ্লায়েন্স ও অভ্যন্তরীণ সুশাসনই এ প্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি। গ্রাহকের আস্থার কারণেই আর্থিক খাতের অন্য কোম্পানিগুলো পিছিয়ে পড়লেও আইএফআইএলের আমানত বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কারণে সংকটময় সময় পার করছে। এ কারণে আমানত সংগ্রহও কঠিন হয়ে পড়ছে। গ্রাহকের আস্থার কারণেই আইএফআইএল এ দুঃসময়েও আমানতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয় ও বিনিয়োগেও।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশের ১৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তত আটটির ঋণ বা বিনিয়োগ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আমানত বাড়ায় এ সময়ে আইএফআইএল ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বর্তমানে আইএফআইএলের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ন্যূনতম বিধিবদ্ধ ১০ শতাংশের বিপরীতে আছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটির বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়েছে, আমানত বেড়েছে তিনগুণ। একই সময়ে দ্বিগুণ হয়ে আইএফআইএলের সম্পদ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা আইএফআইএল গত দুই বছরে সাড়ে ১৪ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি অব দ্য ইয়ার-বাংলাদেশ ২০১৯’ ক্যাটাগরিতে ‘এশিয়ান ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ সিঙ্গাপুর’ পুরস্কার অর্জন করেছে।