কলকাতায় কৌশিক বসু
শুধু সূচকে অগ্রগতিই সবকিছু নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০
বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) মাপকাঠিতে ভারতের ১৪ ধাপ অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকেরই সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন শুধু ওই তালিকায় দেশ কত ধাপ এগোল, তা যথেষ্ট নয়। তার বাইরেও বহু বিষয় থাকে, সেগুলোতে এগোনোর ওপরও জোর দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি কলকাতায় ফিকির এক সভায় ভারতে বিশ্বের অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার প্রভাব নিয়ে মত জানানোর সময়ে সহজে ব্যবসার প্রসঙ্গ তোলেন কৌশিক বাবু। তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যানগত সুবিধার জন্য সাধারণত ১০টি ভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে সহজে ব্যবসার পরিবেশের বিষয়টি দেখা হয়। কিন্তু একটি দেশে প্রশাসনিক আরও হাজার দশেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে পারে। তাই শুধু বিশ্বব্যাংকের মাপকাঠিতে উন্নতিই লক্ষ্য হলে বাদবাকি সূচকগুলো নজরের বাইরে থেকে যেতে পারে। আমিও সেই ভুল করেছিলাম।’
আনন্দবাজার জানায়, সামগ্রিকভাবে ভারতের অর্থনীতির হাল নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৌশিক বাবু। বলেছেন, বৃদ্ধির হার টানা কমছে। অর্থনীতির অন্যান্য সূচক আরও উদ্বেগের। নোটবন্দির পরের বছর বেকারত্ব দাঁড়িয়েছে ৪৫ বছরে সর্বাধিক। ধাক্কা খেয়েছে শিল্পোৎপাদন। কমেছে রপ্তানি। অবস্থা ভালো নয় কৃষিক্ষেত্রে। ব্যাংকঋণও কমেছে। বিশেষত চিন্তার কথা গ্রামীণ অর্থনীতি। এনএসএসওর ২০১৭-১৮ সালের পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামে কেনাকাটা কমেছে ৮.৮%। ৬০ বছরে সর্বোচ্চ। গ্রামে দারিদ্র্যও ২০১১-১৮ সালের মধ্যে ৬০ বছরে সর্বাধিক।
গাড়ি বিক্রি কমা নিয়ে কৌশিক বাবু বলেন, অনেকে ‘শেয়ার’ বা ভাড়া গাড়ির (অ্যাপ-ক্যাব) চাহিদা বাড়ার যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিক্রি এতটা কমতে পারে না। বিদ্যুতের চাহিদাও কমেছে। তা তো অন্যের সঙ্গে ভাগ করা যায় না! আসল কারণ ভারতের বড় অংশই সংকটের মধ্যে রয়েছে। তার মতে, দেশে আয়ের সাপেক্ষে সঞ্চয় ও লগ্নি টানা কমছে। অথচ ওই দুই সূচক দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য জরুরি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০

বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) মাপকাঠিতে ভারতের ১৪ ধাপ অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকেরই সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন শুধু ওই তালিকায় দেশ কত ধাপ এগোল, তা যথেষ্ট নয়। তার বাইরেও বহু বিষয় থাকে, সেগুলোতে এগোনোর ওপরও জোর দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি কলকাতায় ফিকির এক সভায় ভারতে বিশ্বের অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার প্রভাব নিয়ে মত জানানোর সময়ে সহজে ব্যবসার প্রসঙ্গ তোলেন কৌশিক বাবু। তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যানগত সুবিধার জন্য সাধারণত ১০টি ভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে সহজে ব্যবসার পরিবেশের বিষয়টি দেখা হয়। কিন্তু একটি দেশে প্রশাসনিক আরও হাজার দশেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে পারে। তাই শুধু বিশ্বব্যাংকের মাপকাঠিতে উন্নতিই লক্ষ্য হলে বাদবাকি সূচকগুলো নজরের বাইরে থেকে যেতে পারে। আমিও সেই ভুল করেছিলাম।’
আনন্দবাজার জানায়, সামগ্রিকভাবে ভারতের অর্থনীতির হাল নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৌশিক বাবু। বলেছেন, বৃদ্ধির হার টানা কমছে। অর্থনীতির অন্যান্য সূচক আরও উদ্বেগের। নোটবন্দির পরের বছর বেকারত্ব দাঁড়িয়েছে ৪৫ বছরে সর্বাধিক। ধাক্কা খেয়েছে শিল্পোৎপাদন। কমেছে রপ্তানি। অবস্থা ভালো নয় কৃষিক্ষেত্রে। ব্যাংকঋণও কমেছে। বিশেষত চিন্তার কথা গ্রামীণ অর্থনীতি। এনএসএসওর ২০১৭-১৮ সালের পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামে কেনাকাটা কমেছে ৮.৮%। ৬০ বছরে সর্বোচ্চ। গ্রামে দারিদ্র্যও ২০১১-১৮ সালের মধ্যে ৬০ বছরে সর্বাধিক।
গাড়ি বিক্রি কমা নিয়ে কৌশিক বাবু বলেন, অনেকে ‘শেয়ার’ বা ভাড়া গাড়ির (অ্যাপ-ক্যাব) চাহিদা বাড়ার যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিক্রি এতটা কমতে পারে না। বিদ্যুতের চাহিদাও কমেছে। তা তো অন্যের সঙ্গে ভাগ করা যায় না! আসল কারণ ভারতের বড় অংশই সংকটের মধ্যে রয়েছে। তার মতে, দেশে আয়ের সাপেক্ষে সঞ্চয় ও লগ্নি টানা কমছে। অথচ ওই দুই সূচক দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য জরুরি।