মিলগেটে কমছে তেলের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
ভোজ্যতেলের দাম কমছে। মিলগেটে খোলা ভোজ্যতেলের দাম দুই টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিয়মিত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতি লিটার সয়াবিন ও পামঅয়েল দুই টাকা কমে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে মিলগেটে নতুন নির্ধারিত মূল্যে সয়াবিন ও পামঅয়েল বিক্রি হবে।
যদিও তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলাবাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় আট টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে মিলগেটে খোলা সয়াবিন তেল ৯০ ও পাম তেল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তবে এ দরটি কেজি না লিটারের, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, দরটি হবে কেজিতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা লিটারের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলাবাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় আট টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এডিবল অয়েল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইমরান আহমেদ, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কাজী সালাউদ্দীন আহাম্মদ, গ্লোভ এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক মো. খায়রুল আনাম, টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হালদার, সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ^জিৎ সাহা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে একাধিক প্রতিনিধি বলেন, তারা লিটারে ৯০ টাকার বিষয়ে আলোচনা করে এসেছেন। ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনী বলেন, দাম হবে কেজিতে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার খুচরা বাজারে এখন খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯২ থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা এক বছর আগের তুলনায় লিটারপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

ভোজ্যতেলের দাম কমছে। মিলগেটে খোলা ভোজ্যতেলের দাম দুই টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিয়মিত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতি লিটার সয়াবিন ও পামঅয়েল দুই টাকা কমে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে মিলগেটে নতুন নির্ধারিত মূল্যে সয়াবিন ও পামঅয়েল বিক্রি হবে।
যদিও তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলাবাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় আট টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে মিলগেটে খোলা সয়াবিন তেল ৯০ ও পাম তেল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তবে এ দরটি কেজি না লিটারের, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, দরটি হবে কেজিতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা লিটারের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলাবাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় আট টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এডিবল অয়েল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইমরান আহমেদ, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কাজী সালাউদ্দীন আহাম্মদ, গ্লোভ এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক মো. খায়রুল আনাম, টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হালদার, সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ^জিৎ সাহা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে একাধিক প্রতিনিধি বলেন, তারা লিটারে ৯০ টাকার বিষয়ে আলোচনা করে এসেছেন। ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনী বলেন, দাম হবে কেজিতে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার খুচরা বাজারে এখন খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯২ থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা এক বছর আগের তুলনায় লিটারপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি।