মুনাফা বেড়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপই বেশি মুনাফার কারণ। ২৩ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পিপলস লিজিং এখনো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির আয় বেড়েছে, ৪টি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। ১টির অবস্থান আগের মতোই। বাকি ৭ প্রতিষ্ঠানের আয় গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় কমেছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোর মুনাফা বাড়লেও আগামী বছর অবস্থার অবনতি হতে পারে ভেবে এগুলোয় বিনিয়োগ করছেন না বিনিয়োগকারীরা। সব ধরনের ঋণে ৯ ও আমানতে ৬ শতাংশ সুদহার বেঁধে দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এই নতুন সুদহার কার্যকর হয়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পরিচালন ব্যয় কমিয়েছে। এটিও প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ইতিবাচক ধারায় আসতে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া চলতি বছর অনেক ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২৮ শতাংশ বা ১,১৩০ পয়েন্ট। গত বছরের একই সময় সূচকের পতন হয়েছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ বা ৪৩৬ পয়েন্ট।
মহামারিকালে উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ পুনর্গঠন ও শ্রেণিবিন্যাসের বিষয়টি ডিসেম্বর পর্যন্ত শিথিল রেখেছে।
এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। কারণ মহামারিকাল কখনোই স্বাভাবিক সময়ের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মহামারির সময়ে অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু কার ব্যবসা বর্তমানে ভালো বা কে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা স্পষ্ট হবে আগামী বছর। একজন বিনিয়োগকারীর মতে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপদে পড়বে আগামী বছর, যখন তারা মন্দ ঋণ শ্রেণিবিন্যাস করতে বাধ্য হবে। কারণ বর্তমান অবস্থা এ খাতের বাস্তব চিত্র নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে ৩৩ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নন-পারফর্মিং লোন ছিল ৮ হাজার ৯০৫ দশমিক ৬২ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই ৩৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ২৩ প্রতিষ্ঠানও। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপই বেশি মুনাফার কারণ। ২৩ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পিপলস লিজিং এখনো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির আয় বেড়েছে, ৪টি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। ১টির অবস্থান আগের মতোই। বাকি ৭ প্রতিষ্ঠানের আয় গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় কমেছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোর মুনাফা বাড়লেও আগামী বছর অবস্থার অবনতি হতে পারে ভেবে এগুলোয় বিনিয়োগ করছেন না বিনিয়োগকারীরা। সব ধরনের ঋণে ৯ ও আমানতে ৬ শতাংশ সুদহার বেঁধে দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এই নতুন সুদহার কার্যকর হয়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পরিচালন ব্যয় কমিয়েছে। এটিও প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ইতিবাচক ধারায় আসতে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া চলতি বছর অনেক ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২৮ শতাংশ বা ১,১৩০ পয়েন্ট। গত বছরের একই সময় সূচকের পতন হয়েছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ বা ৪৩৬ পয়েন্ট।
মহামারিকালে উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ পুনর্গঠন ও শ্রেণিবিন্যাসের বিষয়টি ডিসেম্বর পর্যন্ত শিথিল রেখেছে।
এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। কারণ মহামারিকাল কখনোই স্বাভাবিক সময়ের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মহামারির সময়ে অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু কার ব্যবসা বর্তমানে ভালো বা কে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা স্পষ্ট হবে আগামী বছর। একজন বিনিয়োগকারীর মতে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপদে পড়বে আগামী বছর, যখন তারা মন্দ ঋণ শ্রেণিবিন্যাস করতে বাধ্য হবে। কারণ বর্তমান অবস্থা এ খাতের বাস্তব চিত্র নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে ৩৩ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নন-পারফর্মিং লোন ছিল ৮ হাজার ৯০৫ দশমিক ৬২ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই ৩৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ২৩ প্রতিষ্ঠানও। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা।