বিটকয়েনের দাম ৫৮ হাজার ডলার
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
বিটকয়েনের দাম গত রবিবার ৫৮ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরু থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দর বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
গত মঙ্গলবার বিটকয়েনের দর ৫০ হাজার ডলার অতিক্রম করে। এর ধারাবাহিকতায় দাম ছাড়াল ৫৮ হাজার ডলারের মাইলফলক। চলতি বছর বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৯০ শতাংশের বেশি। ফলে এর মোট বাজারমূল্য ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সিটির সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির মূলে রয়েছে টেসলা। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটিসহ আরও বড় কিছু কোম্পানি বিটকয়েনকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে বিটকয়েনের ঊর্ধ্বমুখী দরে পাগলা ঘোড়ার গতি নতুন নয়। ২০০৯ সালে বাজারে আসার পর বেশ কয়েকবার এর দামে উত্থান-পতন হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক ওয়েবসাইট কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, মোটামুটি ৮ হাজার ৯০০ ডলার দিয়ে বিটকয়েনের বছর শুরু হয়েছিল। জানুয়ারির শুরুতে কয়েক দিনের মধ্যে এটা ৪০ হাজার ডলার ছাড়ালেও শেষ দিকে এসে দর ৩০ হাজার ডলারের কাছাকাছি নেমে যায়।
এর আগে বিটকয়েনের দরবৃদ্ধিতে কভিড-১৯ বড় ভূমিকা রেখেছে। গত বছরের প্রথম দিকে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ভার্চুয়াল কেনাকাটা বেড়েছে। কাগজের নোট ও ধাতব কয়েন থেকে মানুষ আরও দূরে সরেছে। টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে জানান, তার কোম্পানি ১৫০ কোটি ডলারের বিটকয়েন কিনেছে এবং ভবিষ্যতে এটাকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে নেবে। এছাড়া মাস্টারকার্ড ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ব্ল্যাকরকও এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
তবে সমালোচকরা বিটকয়েনকে মুদ্রা হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের কাছে এটা ফাটকাবাজারির একটা হাতিয়ার। এটি বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ ও বিটকেয়েনের সমালোচক নৌরিয়েল রৌবিনি সম্প্রতি এক টুইটে বলেন, এটার বাস্তব ব্যবহার নেই বললেই চলে। বন্ড বা শেয়ারের মতো এটা জোরালো কোনো আয়ের উৎস নয়। তার ভাষ্য, ‘ইয়ন মাস্ক হয়তো এটা কিনছে। তার অর্থ এই নয়, সবার এর পেছনে ছোটা উচিত।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

বিটকয়েনের দাম গত রবিবার ৫৮ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরু থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দর বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
গত মঙ্গলবার বিটকয়েনের দর ৫০ হাজার ডলার অতিক্রম করে। এর ধারাবাহিকতায় দাম ছাড়াল ৫৮ হাজার ডলারের মাইলফলক। চলতি বছর বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৯০ শতাংশের বেশি। ফলে এর মোট বাজারমূল্য ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সিটির সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির মূলে রয়েছে টেসলা। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটিসহ আরও বড় কিছু কোম্পানি বিটকয়েনকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে বিটকয়েনের ঊর্ধ্বমুখী দরে পাগলা ঘোড়ার গতি নতুন নয়। ২০০৯ সালে বাজারে আসার পর বেশ কয়েকবার এর দামে উত্থান-পতন হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক ওয়েবসাইট কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, মোটামুটি ৮ হাজার ৯০০ ডলার দিয়ে বিটকয়েনের বছর শুরু হয়েছিল। জানুয়ারির শুরুতে কয়েক দিনের মধ্যে এটা ৪০ হাজার ডলার ছাড়ালেও শেষ দিকে এসে দর ৩০ হাজার ডলারের কাছাকাছি নেমে যায়।
এর আগে বিটকয়েনের দরবৃদ্ধিতে কভিড-১৯ বড় ভূমিকা রেখেছে। গত বছরের প্রথম দিকে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ভার্চুয়াল কেনাকাটা বেড়েছে। কাগজের নোট ও ধাতব কয়েন থেকে মানুষ আরও দূরে সরেছে। টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে জানান, তার কোম্পানি ১৫০ কোটি ডলারের বিটকয়েন কিনেছে এবং ভবিষ্যতে এটাকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে নেবে। এছাড়া মাস্টারকার্ড ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ব্ল্যাকরকও এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
তবে সমালোচকরা বিটকয়েনকে মুদ্রা হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের কাছে এটা ফাটকাবাজারির একটা হাতিয়ার। এটি বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ ও বিটকেয়েনের সমালোচক নৌরিয়েল রৌবিনি সম্প্রতি এক টুইটে বলেন, এটার বাস্তব ব্যবহার নেই বললেই চলে। বন্ড বা শেয়ারের মতো এটা জোরালো কোনো আয়ের উৎস নয়। তার ভাষ্য, ‘ইয়ন মাস্ক হয়তো এটা কিনছে। তার অর্থ এই নয়, সবার এর পেছনে ছোটা উচিত।’