আবারও বড় পতন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বড় পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা ছাড়াও কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মতদ্বৈধতার প্রভাব পড়েছে। ফলে দিনশেষে ৯২ পয়েন্ট হারিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক নেমে এসেছে ৬৭০৩ পয়েন্টে। সূচকের এ অবস্থান গত ১৬ আগস্টের পর সর্বনিম্ন।
এর আগে টানা ছয় কার্যদিবসের পতনে সূচকের ৩১৮ পয়েন্ট হারানোর পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির বৈঠকের সংবাদে গত রবিবার সূচকে সামান্য উত্থান দেখা দেয়। তবে গতকাল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বড় পতনে পড়ল বাজার।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে সূচকটি ৫৬ পয়েন্ট বাড়লেও উত্থানপর্ব আধ ঘণ্টাও টেকেনি। বেলা সোয়া ১১টা থেকেই পতনধারা দেখা দেয়। বেক্সিমকো, লাফার্জহোলসিমসহ বড় মূলধনী শেয়ারের দরহ্রাসে সূচক বড় পতনের দিকে এগিয়ে যায়, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। গতকাল এ দুই কোম্পানির দরপতনে সূচক কমেছে প্রায় ২৭ পয়েন্ট। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, বিএটি বাংলাদেশ, লাফার্জহোলসিম, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ব্র্যাক ব্যাংক সম্মিলিতভাবে আরও ২৬ পয়েন্ট কমিয়েছে সূচক।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রায় ৬৭ শতাংশ শেয়ারের দর কমলেও পাট ছাড়া অন্য সব খাত বাজার মূলধন হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশলের মতো খাতের দরহ্রাসে সূচকের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৭১টি কো¤পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২৬৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। অবশ্য বড় পতন হলেও ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১১৪৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি। গতকালের লেনদেনের বড় অংশই এসেছে ব্যাংক খাত থেকে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৪ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে।
ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: ওয়ান ব্যাংক, বেক্সিমকো লি., বেক্সিমকো ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মা, অরিয়ন ফার্মা, বিএটিবিসি, জেনেক্স ইনফোয়েস ও ফরচুন সুজ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: অরিয়ন ইনফুয়েশন, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, একমি পেসটিসাইড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সু., ওয়ান ব্যাংক, রেনউইক যজ্ঞেশ^র, আমান কটন ফেব্রিক্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, এসকে ট্রিমস ও বিডি থাই।
অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: আরামিট সিমেন্ট, এইচআর টেক্স, এনআরবিসি ব্যাংক, সোনারবাংলা ইন্সু., সুহৃদ টেক্সটাইল, জেনারেশন নেক্সট, জেনেক্স ইনফোয়েস, শাহাজীবাজার পাওয়ার, এটলাস বাংলা ও মিথুন নিটিং।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বড় পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা ছাড়াও কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মতদ্বৈধতার প্রভাব পড়েছে। ফলে দিনশেষে ৯২ পয়েন্ট হারিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক নেমে এসেছে ৬৭০৩ পয়েন্টে। সূচকের এ অবস্থান গত ১৬ আগস্টের পর সর্বনিম্ন।
এর আগে টানা ছয় কার্যদিবসের পতনে সূচকের ৩১৮ পয়েন্ট হারানোর পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির বৈঠকের সংবাদে গত রবিবার সূচকে সামান্য উত্থান দেখা দেয়। তবে গতকাল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বড় পতনে পড়ল বাজার।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে সূচকটি ৫৬ পয়েন্ট বাড়লেও উত্থানপর্ব আধ ঘণ্টাও টেকেনি। বেলা সোয়া ১১টা থেকেই পতনধারা দেখা দেয়। বেক্সিমকো, লাফার্জহোলসিমসহ বড় মূলধনী শেয়ারের দরহ্রাসে সূচক বড় পতনের দিকে এগিয়ে যায়, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। গতকাল এ দুই কোম্পানির দরপতনে সূচক কমেছে প্রায় ২৭ পয়েন্ট। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, বিএটি বাংলাদেশ, লাফার্জহোলসিম, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ব্র্যাক ব্যাংক সম্মিলিতভাবে আরও ২৬ পয়েন্ট কমিয়েছে সূচক।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রায় ৬৭ শতাংশ শেয়ারের দর কমলেও পাট ছাড়া অন্য সব খাত বাজার মূলধন হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশলের মতো খাতের দরহ্রাসে সূচকের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৭১টি কো¤পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২৬৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। অবশ্য বড় পতন হলেও ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১১৪৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি। গতকালের লেনদেনের বড় অংশই এসেছে ব্যাংক খাত থেকে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৪ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে।
ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: ওয়ান ব্যাংক, বেক্সিমকো লি., বেক্সিমকো ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মা, অরিয়ন ফার্মা, বিএটিবিসি, জেনেক্স ইনফোয়েস ও ফরচুন সুজ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: অরিয়ন ইনফুয়েশন, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, একমি পেসটিসাইড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সু., ওয়ান ব্যাংক, রেনউইক যজ্ঞেশ^র, আমান কটন ফেব্রিক্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, এসকে ট্রিমস ও বিডি থাই।
অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো: আরামিট সিমেন্ট, এইচআর টেক্স, এনআরবিসি ব্যাংক, সোনারবাংলা ইন্সু., সুহৃদ টেক্সটাইল, জেনারেশন নেক্সট, জেনেক্স ইনফোয়েস, শাহাজীবাজার পাওয়ার, এটলাস বাংলা ও মিথুন নিটিং।