টানা ৬ মাস কমল রেমিট্যান্স
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
চলতি বছরে টানা ছয় মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। সবশেষ নভেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৯ কোটি ৩১ লাখ ডলার বা ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক গত দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে মাসে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের ১৮ মাসে আর কখনো এত কম রেমিট্যান্স আসেনি। তাছাড়া চলতি বছরের নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্স গত বছরের নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্সের চেয়ে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
আগের মাস অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। গত জুন মাস থেকেই প্রতি মাসে একটু একটু করে রেমিট্যান্স কমছে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। যা এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে গত জুন মাসে রেমিট্যান্স আগের মাসের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার কম আসে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার। এর পরের মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমে প্রায় ৭ কোটি ডলার। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
আগস্টে রেমিট্যান্স ৬ কোটি ১৩ লাখ ডলার কমে ১৮১ কোটি ডলারে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রায় ৮ কোটি ডলার কমে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলারে নেমে আসে।
বর্তমানে ডলারের দর তুলনামূলক বেশি। গত আগস্টে ডলারের দর ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। তা এখন বেড়ে ৮৬ টাকায় চলে এসেছে। তাছাড়া রেমিট্যান্স দুই শতাংশ প্রণোদনা থাকার পরও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, করোনা মহামারীর শুরুর দিকেও রেমিট্যান্স বেড়েছিল। তখন রেমিট্যান্স বাড়ার বড় কারণ হিসেবে দুই শতাংশ প্রণোদনার সুফলের কথা বলে আসছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, কভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করায় অনেক দেশেই পুনরায় হুন্ডি শুরু হয়েছে। যে কারণে অনেক প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরে গেলেও রেমিট্যান্স তুলনামূলক কম আসছে ব্যাংকিং চ্যানেলে।
গত অর্থবছরের করোনার মধ্যেও দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

চলতি বছরে টানা ছয় মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। সবশেষ নভেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৯ কোটি ৩১ লাখ ডলার বা ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক গত দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে মাসে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের ১৮ মাসে আর কখনো এত কম রেমিট্যান্স আসেনি। তাছাড়া চলতি বছরের নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্স গত বছরের নভেম্বরে আসা রেমিট্যান্সের চেয়ে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
আগের মাস অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। গত জুন মাস থেকেই প্রতি মাসে একটু একটু করে রেমিট্যান্স কমছে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। যা এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে গত জুন মাসে রেমিট্যান্স আগের মাসের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার কম আসে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার। এর পরের মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমে প্রায় ৭ কোটি ডলার। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
আগস্টে রেমিট্যান্স ৬ কোটি ১৩ লাখ ডলার কমে ১৮১ কোটি ডলারে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রায় ৮ কোটি ডলার কমে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলারে নেমে আসে।
বর্তমানে ডলারের দর তুলনামূলক বেশি। গত আগস্টে ডলারের দর ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। তা এখন বেড়ে ৮৬ টাকায় চলে এসেছে। তাছাড়া রেমিট্যান্স দুই শতাংশ প্রণোদনা থাকার পরও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, করোনা মহামারীর শুরুর দিকেও রেমিট্যান্স বেড়েছিল। তখন রেমিট্যান্স বাড়ার বড় কারণ হিসেবে দুই শতাংশ প্রণোদনার সুফলের কথা বলে আসছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, কভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করায় অনেক দেশেই পুনরায় হুন্ডি শুরু হয়েছে। যে কারণে অনেক প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরে গেলেও রেমিট্যান্স তুলনামূলক কম আসছে ব্যাংকিং চ্যানেলে।
গত অর্থবছরের করোনার মধ্যেও দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।