বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেবে বেক্সিমকো সিনথেটিকস
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তালিকাচ্যুত হতে যাওয়া বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো সিনথেটিকস। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা সব শেয়ার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নেওয়ার পর পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হবে কোম্পানিটি। গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত হয় বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ২০১২ সালে সর্বশেষ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এরপর থেকেই টানা লোকসানে পড়ে বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয় ৭৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। টানা লোকসানের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) আবেদন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এসইসির করা ‘এক্সিট পরিকল্পনার’ আওতায় বেক্সিমকো সিনথেটিকস কর্তৃপক্ষ এ আবেদন করেছে। এক্সিট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৩টি শেয়ার কিনে নেবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেনদেন বন্ধের আগে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বাজার দর ছিল ৮ টাকা ৪০ পয়সা। এক্সিট পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি কোনো সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে থাকে, সে ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যেই শেয়ার কিনে নিতে হবে উদ্যোক্তাদের। এক্ষেত্রে বেক্সিমকো সিনথেটিকস কর্তৃপক্ষকে ৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে যেসব নন-পারফর্মিং কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর জন্য গত বছর এক্সিট পরিকল্পনা তৈরি করে এসইসি। বেক্সিমকো সিনথেটিকস ছাড়াও ওটিসির আরও কয়েকটি কোম্পানি একই প্রক্রিয়ায় তালিকাচ্যুত হতে পারে। গত বছরের ডিসেম্বরে এসইসি যে এক্সিট পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সেখানে বলা আছে, যদি কোনো সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে থাকে, সে ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যেই শেয়ার কিনে নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেনদেন বন্ধের আগে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৮ টাকা ৪০ পয়সা। নিয়ম অনুযায়ী এখন কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নিলে তাতে সর্বশেষ বাজারমূল্যের চেয়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা বেশি পাবেন শেয়ারধারী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ারের লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এসইসির আদেশে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে। ওইদিনই কোম্পানির পক্ষে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কিন্তু তালিকাচ্যুতির সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এতদিন কোম্পানিটির তালিকাচ্যুতির প্রক্রিয়াটি আটকে ছিল। এরপর এসইসির পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ‘এক্সিট পরিকল্পনা’ করা হয়। সেই পরিকল্পনার আওতায় এখন বেক্সিমকো সিনথেটিকস তালিকাচ্যুতির উদ্যোগ নিয়েছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তালিকাচ্যুত হতে যাওয়া বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো সিনথেটিকস। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা সব শেয়ার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নেওয়ার পর পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হবে কোম্পানিটি। গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত হয় বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ২০১২ সালে সর্বশেষ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এরপর থেকেই টানা লোকসানে পড়ে বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয় ৭৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। টানা লোকসানের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) আবেদন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এসইসির করা ‘এক্সিট পরিকল্পনার’ আওতায় বেক্সিমকো সিনথেটিকস কর্তৃপক্ষ এ আবেদন করেছে। এক্সিট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৩টি শেয়ার কিনে নেবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেনদেন বন্ধের আগে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বাজার দর ছিল ৮ টাকা ৪০ পয়সা। এক্সিট পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি কোনো সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে থাকে, সে ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যেই শেয়ার কিনে নিতে হবে উদ্যোক্তাদের। এক্ষেত্রে বেক্সিমকো সিনথেটিকস কর্তৃপক্ষকে ৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে যেসব নন-পারফর্মিং কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর জন্য গত বছর এক্সিট পরিকল্পনা তৈরি করে এসইসি। বেক্সিমকো সিনথেটিকস ছাড়াও ওটিসির আরও কয়েকটি কোম্পানি একই প্রক্রিয়ায় তালিকাচ্যুত হতে পারে। গত বছরের ডিসেম্বরে এসইসি যে এক্সিট পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সেখানে বলা আছে, যদি কোনো সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে থাকে, সে ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যেই শেয়ার কিনে নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেনদেন বন্ধের আগে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৮ টাকা ৪০ পয়সা। নিয়ম অনুযায়ী এখন কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নিলে তাতে সর্বশেষ বাজারমূল্যের চেয়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা বেশি পাবেন শেয়ারধারী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ারের লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এসইসির আদেশে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে। ওইদিনই কোম্পানির পক্ষে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কিন্তু তালিকাচ্যুতির সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এতদিন কোম্পানিটির তালিকাচ্যুতির প্রক্রিয়াটি আটকে ছিল। এরপর এসইসির পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ‘এক্সিট পরিকল্পনা’ করা হয়। সেই পরিকল্পনার আওতায় এখন বেক্সিমকো সিনথেটিকস তালিকাচ্যুতির উদ্যোগ নিয়েছে।