ইংরেজি, যোগাযোগে অদক্ষ চাকরিপ্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
‘ইংরেজি ভাষা ও যোগাযোগে’ সবচেয়ে বেশি অদক্ষ চাকরিপ্রার্থীরা। খ-কালীন চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুযায়ী সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ‘সৃজনশীলতা’।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সম্প্রতি ‘স্কিলস গ্যাপ অ্যান্ড ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ : অ্যান এক্সপ্লোরারি অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক এ জরিপ পরিচালনা করে। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল শনিবার জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহকারী সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খ-কালীন চাকরিজীবী ও চাকরিপ্রার্থী ৫০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। সহযোগিতায় ছিল জার্মানভিত্তিক সংস্থা ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটাং।
ইউসুফ সাদাত জানান, অনলাইনে পরিচালিত এ জরিপে ৯টি বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে ‘যোগাযোগ ও ইংরেজিতে দক্ষতা’ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বলে দেখা গেছে। এ বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা ৩০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। আর সর্বোচ্চ ৬৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ‘সৃজনশীলতা’ খাতে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে সংখ্যা-গাণিতিক দক্ষতায়। এ বিষয়ে ২৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা বিষয়টিকে গৌণ উল্লেখ করায় বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে জানান ইউসুফ সাদাত। এ ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীরা দলগত কার্যক্রম ও নেতৃত্বের দক্ষতায় ৫৪, সময় ব্যবস্থাপনায় ৫২, ক্রিটিক্যাল চিন্তা দক্ষতায় ৪৮, সমস্যা সমাধান দক্ষতায় ৪৫, কম্পিউটার অক্ষরজ্ঞানে ৪২ এবং ব্যবসায়িক দক্ষতায় ৪১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাহিদাভিত্তিক দক্ষ জনবল গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই এ জরিপ থেকে সরকার সহযোগিতা নিতে পারবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ আছে। শিক্ষার্থীদের বাছাই করে খাতভিত্তিক পড়াশোনা করানো হচ্ছে না। এখন সবাই সরকারি চাকরি করতে চায়। মানসিকভাবে খাতভিত্তিক পড়াশোনা ও মানসিকভাবে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় কেউ শিল্পে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নেন না।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

‘ইংরেজি ভাষা ও যোগাযোগে’ সবচেয়ে বেশি অদক্ষ চাকরিপ্রার্থীরা। খ-কালীন চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুযায়ী সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ‘সৃজনশীলতা’।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সম্প্রতি ‘স্কিলস গ্যাপ অ্যান্ড ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ : অ্যান এক্সপ্লোরারি অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক এ জরিপ পরিচালনা করে। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল শনিবার জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহকারী সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খ-কালীন চাকরিজীবী ও চাকরিপ্রার্থী ৫০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। সহযোগিতায় ছিল জার্মানভিত্তিক সংস্থা ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটাং।
ইউসুফ সাদাত জানান, অনলাইনে পরিচালিত এ জরিপে ৯টি বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে ‘যোগাযোগ ও ইংরেজিতে দক্ষতা’ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বলে দেখা গেছে। এ বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা ৩০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। আর সর্বোচ্চ ৬৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ‘সৃজনশীলতা’ খাতে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে সংখ্যা-গাণিতিক দক্ষতায়। এ বিষয়ে ২৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা বিষয়টিকে গৌণ উল্লেখ করায় বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে জানান ইউসুফ সাদাত। এ ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীরা দলগত কার্যক্রম ও নেতৃত্বের দক্ষতায় ৫৪, সময় ব্যবস্থাপনায় ৫২, ক্রিটিক্যাল চিন্তা দক্ষতায় ৪৮, সমস্যা সমাধান দক্ষতায় ৪৫, কম্পিউটার অক্ষরজ্ঞানে ৪২ এবং ব্যবসায়িক দক্ষতায় ৪১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাহিদাভিত্তিক দক্ষ জনবল গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই এ জরিপ থেকে সরকার সহযোগিতা নিতে পারবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ আছে। শিক্ষার্থীদের বাছাই করে খাতভিত্তিক পড়াশোনা করানো হচ্ছে না। এখন সবাই সরকারি চাকরি করতে চায়। মানসিকভাবে খাতভিত্তিক পড়াশোনা ও মানসিকভাবে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় কেউ শিল্পে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নেন না।