রেমিট্যান্সে প্রণোদনার আওতা বাড়ল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের টাকা পাঠানো (রেমিট্যান্স) বাড়াতে নগদ সহায়তায় আওতা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশি সংস্থায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধার অর্থ দেশে পাঠালে সেই অর্থের ওপর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে রেমিট্যান্স প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়ার জন্য কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধা।
রেমিট্যান্সের অর্থের আয়ের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং আহরণের সঙ্গে সঙ্গে আবশ্যিকভাবে টাকায় রূপান্তর করতে হবে।
এ নির্দেশনা সার্কুলার জারির তারিখ হতেই কার্যকর হবে। রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সংক্রান্ত পূর্বের ইস্যু করা নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে রেমিট্যান্সের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ায় সরকার।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের টাকা পাঠানো (রেমিট্যান্স) বাড়াতে নগদ সহায়তায় আওতা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশি সংস্থায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধার অর্থ দেশে পাঠালে সেই অর্থের ওপর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে রেমিট্যান্স প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়ার জন্য কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধা।
রেমিট্যান্সের অর্থের আয়ের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং আহরণের সঙ্গে সঙ্গে আবশ্যিকভাবে টাকায় রূপান্তর করতে হবে।
এ নির্দেশনা সার্কুলার জারির তারিখ হতেই কার্যকর হবে। রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সংক্রান্ত পূর্বের ইস্যু করা নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে রেমিট্যান্সের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ায় সরকার।