অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাংক নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার জারি করা ব্যাংক কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন সংক্রান্ত সার্কুলার নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিলে গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি স্পষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, অদক্ষতার কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে এ ধরনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবারের সার্কুলারের কোথাও বলা হয়নি।
ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, ‘শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অনুরূপ অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।’ তবে ওই নির্দেশনা সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে ইতিমধ্যে কোনো কোনো পর্যায় থেকে খণ্ডিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা দেওয়ায় ব্যাংক কর্র্তৃক ওই নির্দেশনা পালনের বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য সার্কুলারের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটি স্পষ্ট করে গতকাল আবার সার্কুলার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। এতে বলা হয়, আলোচ্য অনুচ্ছেদে শুধু আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারা বা কোনোরূপ প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়াই অদক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত অথবা চাকরিচ্যুত অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের চাকরির শুরুর বেতন কাঠামো বেঁধে দেওয়ার পর থেকে এ নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে ব্যাংক খাতে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা। শিক্ষানবিশকাল শেষে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা।
এছাড়া ব্যাংকে কর্মরত মেসেঞ্জার বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী বা নিরাপত্তা কর্মী বা অফিস সহায়ক অথবা সমজাতীয় পদে বা সর্বনিম্ন যেকোনো পদে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের ন্যূনতম প্রারম্ভিক বেতন-ভাতাদি হবে ২৪ হাজার টাকা। কর্মচারীদের এই বেতন নিয়েও চলছে সমালোচনা। ব্যাংকের কর্মীরাই বলছেন, এই বেতন দিয়ে কর্মচারী রাখলে ব্যাংক টিকবে না।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাংক নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার জারি করা ব্যাংক কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন সংক্রান্ত সার্কুলার নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিলে গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি স্পষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, অদক্ষতার কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে এ ধরনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবারের সার্কুলারের কোথাও বলা হয়নি।
ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, ‘শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অনুরূপ অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।’ তবে ওই নির্দেশনা সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে ইতিমধ্যে কোনো কোনো পর্যায় থেকে খণ্ডিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা দেওয়ায় ব্যাংক কর্র্তৃক ওই নির্দেশনা পালনের বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য সার্কুলারের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটি স্পষ্ট করে গতকাল আবার সার্কুলার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। এতে বলা হয়, আলোচ্য অনুচ্ছেদে শুধু আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারা বা কোনোরূপ প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়াই অদক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত অথবা চাকরিচ্যুত অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের চাকরির শুরুর বেতন কাঠামো বেঁধে দেওয়ার পর থেকে এ নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে ব্যাংক খাতে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা। শিক্ষানবিশকাল শেষে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা।
এছাড়া ব্যাংকে কর্মরত মেসেঞ্জার বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী বা নিরাপত্তা কর্মী বা অফিস সহায়ক অথবা সমজাতীয় পদে বা সর্বনিম্ন যেকোনো পদে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের ন্যূনতম প্রারম্ভিক বেতন-ভাতাদি হবে ২৪ হাজার টাকা। কর্মচারীদের এই বেতন নিয়েও চলছে সমালোচনা। ব্যাংকের কর্মীরাই বলছেন, এই বেতন দিয়ে কর্মচারী রাখলে ব্যাংক টিকবে না।