
ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত এলাকার জনসাধারণের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার বাইরে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ উপশাখা করতে হবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ব্যাংকের ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন, ভাড়া ও ইজারা সংক্রান্ত নীতিমালা’ শীর্ষক নীতিমালায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণকারী শাখা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দূরত্বের কোনো উপ-শাখা করা যাবে না। উপশাখার স্থাপনার ভাড়া চুক্তির মেয়াদ ন্যূনতম ৩ বছর করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত মেয়াদে ১৫ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়াতে পারবে না। নতুন নীতিমালায় শহর ও পল্লী শাখার সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকার শাখাগুলোকে ‘শহর শাখা’ এবং অন্য এলাকারগুলোকে ‘পল্লী শাখা’ বলা হবে।
কোনো এলাকা নতুনভাবে সিটি করপোরেশন এলাকা হিসেবে ঘোষিত হলে বা সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলে ওই শাখাকেও শহর শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি কোনো ‘খ’ বা ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলে তাকেও শহর শাখা হিসেবে গণ্য করা হবে। শাখাগুলোর মধ্য থেকে যে কোনো শাখাকে এসএমই বা কৃষি শাখা হিসেবে স্থাপনের জন্য পরিচালনা পর্ষদে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করা যাবে। এসএমই বা
কৃষি শাখা গঠনে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত এলাকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে। এসব শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ছাড়া অন্যান্য সব ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। ইলেক্ট্রনিক বুথ স্থাপনের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন থাকতে হবে এবং বুথ স্থাপনের ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ছকে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। এসব বুথ স্থাপনের ব্যয় ও ভাড়া সংক্রান্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে শাখার জন্য প্রযোজ্য নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এখন থেকে কোনো ধরনের স্থাপনা ভাড়া নেওয়ার সময় অগ্রিম বাবদ ভাড়া চুক্তির মেয়াদ ৪ বছর পর্যন্ত হলে সর্বোচ্চ ১২ মাসের ভাড়া, ৪ বছরের বেশি কিন্তু ৯ বছরের কম হলে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের ভাড়া এবং ৯ বছর বা তদূর্ধ্বে হলে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের ভাড়ার সমপরিমাণ অগ্রিম প্রদান করা যাবে। নির্ধারিত মেয়াদে ন্যূনতম ৩ বছর অন্তর মূল ভাড়ার ১৫ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়াতে পারবে না।
বাজার দর বিবেচনায় প্রতি বর্গফুটের জন্য ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা এবং বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য সর্বোচ্চ ১,৪০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলতি বছরে আরও ২০ লাখ নতুন করদাতার সন্ধানে মাঠে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বছর শেষে করদাতার সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছাবে। আগামী নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারের আরও অনেক সফলতার সঙ্গে করদাতা বৃদ্ধির বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ভ্যাট (ভেলু এডেড ট্যাক্স) বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর) ধনী-দরিদ্রকে একই হারে দিতে হলেও আয়কর সম্পদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে দিতে হয়। ১৬ কোটি মানুষের এদেশে আরও আগেই করদাতার সংখ্যা এক কোটির বেশি হওয়া উচিত ছিল। ধনীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব হলে ভ্যাট আদায়ে চাপ কমবে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর রাজস্বের বোঝা কমবে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে এনবিআর পুরনো ১০ ডিজিটের টিআইএন বাতিল করে ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে। এতে গত ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ৫৪ লাখ হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৫ কোটি করদাতা সংগ্রহে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন ই-টিআইএনধারী নিবন্ধন নিয়েছেন। আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি বছরে আরও ২০ লাখ করদাতা চিহ্নিত করা সম্ভব হলে করদাতার সংখ্যা এক কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশে কম, ১০ শতাংশ। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অনুপাতে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যাও কম। প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ কর নিবন্ধন নিয়েছেন। বার্ষিক রিটার্ন দেন ১ শতাংশের কিছু বেশি। করজালের বিস্তারে সফলতা দেখানোর সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে এনবিআরকে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এনবিআরের সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে তবে তা পর্যাপ্ত নয়। আরও বাড়াতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে ভুটানের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি কর দেন। জনসংখ্যার ১১ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষ করের আওতায় রয়েছেন। নেপালের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ নাগরিক করের আওতায়। শ্রীলঙ্কায় মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশের বেশি মানুষ করজালে আছেন।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এদেশে করদাতার সংখ্যা ৪ কোটির বেশি হওয়া উচিত। সরকার করদাতা বাড়াতে সচেতন হয়েছে এটা আশার কথা। এক্ষেত্রে সফলতা আনতে হলে অবশ্যই এনবিআরকে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পূর্ণ অর্জন করতে হবে। এখনো এনবিআরের এ সক্ষমতা হয়নি। তাই করদাতা কতটা বাড়বে তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ দেশ রূপান্তকে বলেন, করদাতা বাড়াতে এনবিআরকে শহর-কেন্দ্রিকতা ছেড়ে উপজেলা পর্যায়ে যেতে হবে। এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা শহরে থেকে চাকরি করতে চান। উপজেলায় যেতে আগ্রহী হন না। এনবিআরকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
করদাতার সংখ্যা বাড়াতে এরই মধ্যে এনবিআরের কর বিভাগ থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের করযোগ্য সদস্যদের টিআইএন নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই এনবিআর তরুণ করদাতা সংগ্রহে জোর দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা পর্যায়ে নতুন করদাতা সংগ্রহের হার বাড়াতে বলা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সম্পদশালীদের চিহ্নিত করতে এনবিআর থেকে উপজেলায় রাজস্ব দপ্তর স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এখনো অনেক উপজেলায় রাজস্ব দপ্তর স্থাপন করা হয়নি। যে উপজেলায় এখনো রাজস্ব দপ্তর নেই সেখানে নতুন বছরে রাজস্ব দপ্তর স্থাপনে মনোযোগী হয়েছে এনবিআর। এনবিআর কর্মকর্তারা উপজেলার বড় বড় বাজারে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সেখানে কে বা কারা বড় অঙ্কের বাণিজ্য করে তার তালিকা সংগ্রহ করবে। এরপর তালিকা ধরে খোঁজ নেওয়া হবে তারা ই-টিআইএন নিয়েছেন কি না। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের ব্যাংকগুলোতে কে বা কারা বেশি টাকার হিসাবধারী তার তালিকা সংগ্রহ করে জানতে চাওয়া হবে করজালে নিবন্ধিত কি না। উপজেলায় বসবাসরত অনেক পরিবারের সদস্য বিদেশে থাকেন। তারা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে গিয়ে দেশে অর্থ পাঠান। এতে এসব ব্যক্তির আয়ের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। উপজেলার এসব প্রবাসী কোন চ্যানেলে কী পরিমাণে অর্থ পাঠান তারও খোঁজ নেবে এনবিআর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অনেকে প্রকৃত বেতন গোপন করে কর সীমার বাইরে থাকেন। এ বিষয়ে এনবিআর নজরদারি বাড়িয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠার তার বিদেশি কর্মীদের দেশের মধ্যে নামমাত্র বেতন দিয়ে দেশের বাইরে বাকিটা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে এনবিআর বিদেশি কর্মীদের বেতনের পরিমাণ বাজার মূল্যের সঙ্গে যাচাই করবে। অনেক গৃহিণী স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের মালিক হলেও আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। ইটিআইএন গ্রহণ পর্যন্ত করেন না। অনেকে আবার এনবিআরের নজরদারি এড়াতে স্ত্রীর নামে লেনদেন করে নিজেরা করজালের বাইরে থাকেন। অন্যদিকে অনেক ব্যবসায়ী মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করলেও নিকটাত্মীয়, বিশ্বস্ত কর্মচারী বা বন্ধুর নামেও লেনদেন করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রেও এনবিআর নজরদারি বাড়িয়েছে। বিভিন্ন জনবহুল স্থানে করদাতা সংগ্রহে হঠাৎ পরিদর্শনে যাবেন এনবিআর কর্মকর্তারা। বিশেষভাবে নামিদামি বেসরকারি হাসপাতাল, বড় বড় শপিং মলে আসা ব্যক্তিরা ই-টিআইএন নিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। যাদের ই-টিআইএন থাকবে না তাদের তাৎক্ষণিক ই-টিআইএন দেওয়া হবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, হুন্দাই ফ্যাক্টরির উদ্বোধন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জাতীয় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পথে এক সুদৃঢ় পদক্ষেপ। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ফ্যাক্টরিটির উদ্বোধনকালে একথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্রুত অগ্রসরমান বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে এখন থেকে রাজপথে চলবে মেইড ইন বাংলাদেশ হুন্দাই এসইউভি।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে বিশ্বখ্যাত মোটর ব্র্যান্ড হুন্দাইয়ের টাকসন, ক্রিটা, ওস্টেরিক্স, ভেরনা ও প্যালিসাডির সর্বশেষ মডেলের হুন্দাই গাড়ি তৈরি হচ্ছে। মোট ৭টি লাইনে গাড়িগুলো তৈরি করছেন বাংলাদেশের নবীন প্রকৌশলীরা। এরই মধ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১০০ গাড়ি।
কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত অটোমোবাইল জায়ান্ট হুন্দাইয়ের সহযোগিতায় ফেয়ার টেকনোলজি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে গড়ে তুলেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই অটোমোবাইল ফ্যাক্টরি।
ফেয়ার টেকনোলজি- হুন্দাই ফ্যাক্টরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জ্যাং-কিউন এবং হুন্দাই মোটর ইন্ডিয়া (এইচএমআই) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উনসো কিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মেডইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের ‘ক্রিটাসহ বিভিন্ন মডেলের’ গাড়ি উদ্বোধনের আগে ফ্যাক্টরিতে গাড়ি তৈরি কার্যক্রম ও দেশের তৈরি কারখানায় বিভিন্ন মডেলের গাড়ি পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হুন্দাই গাড়ি তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার পরিচয় দিয়েছে। একই সঙ্গে এটা দেশের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য মাইলফলক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেয়ার টেকনোলজির ডিরেক্টর ও সিইও মুতাসসিম দায়ান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অত্যন্ত দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির এই দেশ আর ব্যবহৃত গাড়ির বাজার হয়ে থাকতে পারে না। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিশ্বমানের সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া এ দেশের মানুষের অধিকার। সেই অধিকারের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে ফেয়ার টেকনোলজির মেইড ইন বাংলাদেশ হুন্দাই গাড়ি তাই বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
‘স্টেপ ইনটু দ্য ফিউচার’- এই লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে দুটি শিল্প প্লটের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক ফেয়ার টেকনোলজি হুন্দাই ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরিতে প্রারম্ভিক পর্যায়ে উৎপাদন করা হবে হুন্দাইয়ের বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এসইউভি ব্রান্ড- ক্রেটা। হুন্দাইয়ের এই ফ্যাক্টরিতে আরও বেশ কিছু মডেলের গাড়ি উৎপাদন করা হবে বলে জানান ফেয়ার টেকনোলজি কর্তৃপক্ষ। এক হাজারের বেশি যন্ত্রাংশ এবং বিআইডব্লিউ অবস্থায় বডি আমদানি করে নিজস্ব পেইন্ট শপে একাধিক স্তরে রং করা এবং সংযোজনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে প্রতিটি ক্রেটা এসইউভি।
উদ্যোক্তারা জানান, ফেয়ার টেকনোলজি-হুন্দাই ফ্যাক্টরি শুরুতে এক শিফটে চালু রাখলে বছরে তিন হাজার ক্রেটা এসইউভি উৎপাদন করা যাবে। ধারাবাহিকভাবে শিফট বাড়ানোর মধ্য দিয়ে তা দশ হাজার ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।
ফেয়ার টেকনোলজির ডিরেক্টর ও সিইও মুতাসসিম দায়ান বলেন, বিশ্বসেরা হুন্দাই গাড়ি উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক দামে দেশের মানুষের কাছে আমরা এই গাড়ি পৌঁছে দেব। বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সুলভ মূল্যে সব ধরনের স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
হুন্দাই গাড়ির ক্রেতাদের সুবিধার্থে ফেয়ার টেকনোলজি এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গড়ে তুলেছে একাধিক সেলস, সার্ভিস ও স্পেয়ার পার্টস (থ্রি-এস) সেন্টার। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি সিলেট, বগুড়াসহ দেশের প্রধান নগরীগুলোতে আরও অনেকগুলো থ্রি-এস সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ফেয়ার টেকনোলজি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সমন্বয় করা হয়েছে। সমন্বিত সূচকে নতুন করে ৭টি কোম্পানি যোগ হয়েছে। আর এই সূচক থেকে বাদ পড়েছে ৩১টি কোম্পানি। সমন্বিত সূচকটি আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সমন্বিত সূচকে যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো হলো বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, একমি পেস্টিসাইডস, সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেড, মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড । সমন্বিত সূচক থেকে বাদ পড়া কোম্পানিগুলো হলো গোল্ডেন সন, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, ঝিল বাংলা সুগার মিলস, লিব্রা ইনফিউশন, রহিম টেক্সটাইল মিলস, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস, এটলাস বাংলাদেশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, জাহিন স্পিনিং, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি), গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। এদিকে অর্ধবার্ষিকী সমন্বয়ে ডিএসই-৩০ সূচকে ৫ কোম্পানির পরিবর্তন আসবে। অর্থাৎ সূচকটি থেকে বিদ্যমান ৫টি বাদ পড়ছে এবং নতুন ৫টি যুক্ত হবে।
চিটাগাং চেম্বারের উদ্যোগে নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী চতুর্থ আইটি ফেয়ার। আগামীকাল শনিবার শুরু হতে যাওয়া আইটি ফেয়ারে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টায় পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মেলা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চেম্বারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
চিটাগাং চেম্বারের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ভারতের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭টি স্টল থাকবে। মেলা উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনা এবং সন্ধ্যায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।