
বৈশ্বিকভাবেই মোবাইল নেটওয়ার্কের মান নিয়ে কাজ করে ওপেনসিগন্যাল। ওপেনসিগন্যাল গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে তথ্য-নির্ভর বিশ্লেষণের জন্য সুপরিচিত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি এর ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স রিপোর্ট’ (জিএমএনই) প্রকাশ করেছে, যেখানে ‘ভয়েস অ্যাপ এক্সপেরিয়েন্স’ শ্রেণিতে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।
প্রতিষ্ঠানটি গ্লোবাল রাইজিং স্টারস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। গ্রাহকদের ভয়েস অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি বছরপ্রতি উন্নতি করেছে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানোন্নয়ন হয়েছে ১২.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ডাউনলোড গতিতে এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক। ৭৮.৫ শতাংশ স্কোর নিয়ে ডাউনলোড স্পিড এক্সপেরিয়েন্স শ্রেণিতে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলালিংক। এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন (৭২.১ শতাংশ)।
চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩ এ বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমে তা হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য হারে বরাদ্দ কমেছে। এসব খাতে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। তবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের শুরুতেই আলোচনায় ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ায় বেশ চাপের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশে। ডলার সংকট তা আরও বাড়িয়ে তোলে। জ্বালানিসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ে শিল্প খাতও। চূড়ান্ত খসড়ায় দেখা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকায়।
শিক্ষা খাতের বরাদ্দও কমানো হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এডিপিতে এ খাতের বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে তা সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ১৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা করা হয়েছে।
দেশের যোগাযোগ খাতে গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে এবারের সংশোধিত এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ কমেছে। এ খাতেও বরাদ্দ কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ খাতের মধ্যে ৫ মেট্রোরেল প্রকল্পেরই বরাদ্দ কমেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
করোনা মহামারীর সময় সারাবিশে্ব প্রশংসনীয় ছিল স্বাস্থ্য খাত। কিন্তু চলতি অর্থবছর উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ দেখাতে পারেনি এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। এ খাতের বরাদ্দ সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ১২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকায় আনা হয়েছে। এডিপিতে এ খাতের বরাদ্দ ছিল ১৯ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।
সরকারের গুরুত্বের তালিকায় থাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতেও এ অর্থবছর তেমন কোনো সাফল্য না আসায় তাদের বরাদ্দও প্রায় অর্ধেক কমানো হয়েছে। এডিপিতে ৪ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এ খাতের বরাদ্দ ১ হাজার ৮৯০ কোটি কমিয়ে ২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকায় রাখা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে না। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়নের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে বিদেশি সহায়তা থেকে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকায়। বর্তমানে এডিপিতে ১ হাজার ৩৬৩টি প্রকল্প আছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, নির্বাচনী বছর হিসেবে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমালেও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এ খাতে এডিপির আকার ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ২৩০ কোটিতে আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে থাকা জলবায়ু খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এতে ৯ হাজার ৮৫৯ কোটির বরাদ্দ বাড়িয়ে সংশোধিত এডিপিতে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। তা ছাড়া উন্নয়ন সহায়তা খাতে ৪ হাজার কোটির বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার কোটি, সামাজিক সুরক্ষায় আড়াই হাজার কোটির বরাদ্দ বাড়িয়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি করা হয়েছে।
অর্থনীতির চাপের কারণে চলতি অর্থবছরের তিন মাস পার হওয়ার পরই প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে সরকার। এ ছাড়া অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা করা হয়। ‘এ’ শ্রেণির প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তা পুরোটাই খরচ করা হবে। ‘বি’ শ্রেণির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। আর ‘সি’ শ্রেণির প্রকল্পকে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে ৬৪৬টি প্রকল্প ‘এ’ শ্রেণিতে; ৬৩৬টি প্রকল্প ‘বি’ শ্রেণিতে এবং ৮১টি প্রকল্প ‘সি’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রাধিকার নির্ধারণের সময় বলা হয়েছিল, এতে প্রায় ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এর বাইরে নানা ধরনের কৃচ্ছ্রসাধনের কারণে আরও ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা বলা হয়। সব মিলিয়ে এডিপির ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
সংশোধিত কোম্পানি আইনে ব্যাংকগুলোর নামের শেষে লিমিটেড এর পরিবর্তে পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও এখন থেকে তা আর লাগবে না। ব্যাংকগুলোর নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় আইন কাজ সম্পাদন করে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়ে দিলেই হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংশোধিত কোম্পানি আইন ২০২০-এ সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানিগুলোর নামের শেষেও পিএলসি যুক্ত করতে কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি গ্রহণ করা আবশ্যক ছিল। কিন্তু এখন আর প্রাথমিক কাজ শেষ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
প্লাস্টিক খাতে বর্তমানে সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। গতকাল বুধবার ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১৩তম।
ব্যাংকের পরে এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মরত কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের আর্থিক খাতের আইন ও নিয়মাচার অনুশীলন সম্পর্কিত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন অত্যাবশ্যক। এজন্য সিনিয়র অফিসার অথবা সমতুল্য পদের পরবর্তী সব পদে পদোন্নতির যোগ্যতার তালিকায় থাকতে হলে ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট ও ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েট এই দুই পরীক্ষা পাস বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি কর্মকর্তাদের আর্থিক খাত সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন ও যাচাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিমান চলাচল, শিক্ষা ও আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
গতকাল বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ জলবায়ু সংস্কার : বিনিয়োগ জলবায়ু তহবিল (বিআইসিএফ) প্রোগ্রামের শেষ-মেয়াদি মূল্যায়ন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এখন আমাদের একটি সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংলাপ রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিতি ছিলেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, এফসিডিও বাংলাদেশের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ডানকান ওভারফিল্ড, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান, ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) সিইও ফেরদাউস আরা বেগম।
ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে মূলধন বাড়াবে। কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। তারা এদেশে আগে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল তা আরও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে ইএসডি ও জলবায়ু-বান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তারা।
তিনি বলেন, বৃহত্তর অংশে বাংলাদেশে রপ্তানি বিনিয়োগে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে এদেশে বিনিয়োগের সুদহারও বাড়ানো হয়েছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আমরা। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়লেই দেশের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হবে।
বিমানের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিমান খাত এখন যেভাবে আছে, তা খুব সম্ভাবনাময় খাত। এয়ারবাস ইউকে এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশের এ পরিবেশে বিশে^র নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করতে পারে।
এছাড়া আর্থিক খাতেও যুক্তরাজ্যের আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে বিমা খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তারা। বাংলাদেশ এমন একটি পরিবেশ যেখানে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারে বলেও জানান তিনি।
তার মতে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এখানে বিদেশি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা বাড়াতে সহায়তা করবে। ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এখানে আগে থেকেই ব্যবসা করছেন তারা বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ডকে কর দেওয়ায় করপোরেট খাতে শীর্ষে আছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা), যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, নাথানের হেড অফ গ্লোবাল প্র্যাকটিস বুদ্ধিকা সমরাসিংহে। মূল প্রবন্ধে সমরাসিংহে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি তুলে ধরে কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি এবং করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। বাণিজ্য বহুমুখীকরণের জন্য শুধ আরএমজি সেক্টর না সব সেক্টরকে সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন আলোচকরা।
লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, শুধু আরএমজি সেক্টর না সব সেক্টরে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার এমব সেক্টরকে প্রমোট করতে সহায়তা করছে। একইসঙ্গে ব্যবসাকে সহজ করা হচ্ছে। এ জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে এক জায়গায় পাওয়া যাবে।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।