ভারতের সীমানায় মাল খালাসের প্রতিবাদে ফেনী বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘট
ফেনী প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫৯
বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
ফেনীর পরশুরামে বিলোনিয়া স্থলবন্দরে কারপাস সিস্টেম চালু হওয়া বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। দুইদিন ধরে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল খালাস বন্ধ থাকায় পাথর, সিমেন্ট ও কয়লার শতাধিক পণ্যবোঝাই কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, লরি বিলোনিয়া স্থলবন্দর সড়কে আটকা পড়ে আছে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে গত দুইদিনে প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
বিলোনিয়া স্থল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে জানান, ১ জানুয়ারি থেকে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ কারপাস সিস্টেম চালু করেছে। এতে বিলোনিয়া স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে ভারতের সীমানায় মালামাল খালাস করার সিস্টেম চালু করেছে। ফলে বাংলাদেশের বন্দর শ্রমিকদের ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
আবদুল করিম নামে এক শ্রমিক জানান, বিগত ৯ বছর ধরে বিলোনিয়া বন্দরে শ্রমিকেরা কাজ করে আসছে। বছরের প্রথম দিন কোথায় খুশির খবর পাবো সেখানে আমাদের কাছ থেকে কাজ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কাজ চাই। না হয় আমরা বেকার অবস্থায় অনশন পালন করবো।
শ্রমিক নেতা মো. ইব্রাহিম হোসেন আরো জানান, ২০০৯ সালে বন্দর চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অংশে মালামাল খালাস করা হতো এতে দুই দেশের শ্রমিকরা যৌথ ভাবে কাজ করার সুযোগ পেত। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ভারতে অংশ মালামাল খালাস করার প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ভারতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কোন সুযোগ দিচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ধর্মঘটে দুইদিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে বন্দর কার্যক্রম।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার এর কার্যালয়ের উপ-কমিশনার উত্তম বিশ্বাস সাক্ষরিত ২৮ ডিসেম্বর এক পত্রে জানা গেছে, গত আট ও নয় অক্টোবর ভারতে দিল্লীতে দুই দেশের যৌথ সভায় বিলোনিয়াসহ দেশের চারটি বন্দরে দিয়ে কারপাস সিস্টেম চালু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিলোনিয়া স্থল বন্দরের রপ্তানিকারক ইপ্তি ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে গত দুদিন ধরে বন্দর কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এতে তারা ব্যবসায়ীকভাবে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
বিলোনিয়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, দুই দেশের যৌথ সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে ভারতে অংশে পণ্য আনলোড করতে হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ফেনী প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫৯

ফেনীর পরশুরামে বিলোনিয়া স্থলবন্দরে কারপাস সিস্টেম চালু হওয়া বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। দুইদিন ধরে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল খালাস বন্ধ থাকায় পাথর, সিমেন্ট ও কয়লার শতাধিক পণ্যবোঝাই কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, লরি বিলোনিয়া স্থলবন্দর সড়কে আটকা পড়ে আছে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে গত দুইদিনে প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
বিলোনিয়া স্থল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম আহমেদ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে জানান, ১ জানুয়ারি থেকে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ কারপাস সিস্টেম চালু করেছে। এতে বিলোনিয়া স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে ভারতের সীমানায় মালামাল খালাস করার সিস্টেম চালু করেছে। ফলে বাংলাদেশের বন্দর শ্রমিকদের ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
আবদুল করিম নামে এক শ্রমিক জানান, বিগত ৯ বছর ধরে বিলোনিয়া বন্দরে শ্রমিকেরা কাজ করে আসছে। বছরের প্রথম দিন কোথায় খুশির খবর পাবো সেখানে আমাদের কাছ থেকে কাজ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কাজ চাই। না হয় আমরা বেকার অবস্থায় অনশন পালন করবো।
শ্রমিক নেতা মো. ইব্রাহিম হোসেন আরো জানান, ২০০৯ সালে বন্দর চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অংশে মালামাল খালাস করা হতো এতে দুই দেশের শ্রমিকরা যৌথ ভাবে কাজ করার সুযোগ পেত। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ভারতে অংশ মালামাল খালাস করার প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ভারতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কোন সুযোগ দিচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ধর্মঘটে দুইদিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে বন্দর কার্যক্রম।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার এর কার্যালয়ের উপ-কমিশনার উত্তম বিশ্বাস সাক্ষরিত ২৮ ডিসেম্বর এক পত্রে জানা গেছে, গত আট ও নয় অক্টোবর ভারতে দিল্লীতে দুই দেশের যৌথ সভায় বিলোনিয়াসহ দেশের চারটি বন্দরে দিয়ে কারপাস সিস্টেম চালু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিলোনিয়া স্থল বন্দরের রপ্তানিকারক ইপ্তি ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে গত দুদিন ধরে বন্দর কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এতে তারা ব্যবসায়ীকভাবে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
বিলোনিয়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, দুই দেশের যৌথ সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে ভারতে অংশে পণ্য আনলোড করতে হবে।