‘মার্কোসারের সম্মেলনে এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে’
বিশেষ প্রতিনিধি | ২২ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:০৩
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি পণ্য ব্রাজিলের বাজারে আমদানি বাড়াতে ব্রাজিল সরকার এবং ব্রাজিলের আমদানিকারকদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করা হলে ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে। মার্কোসারের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উপস্থাপন করা হলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা লতিফ বকসীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট (সোমবার) দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মার্কোসার (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক জোট) সফরের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিন ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ব্রাজিলের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশর তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক বেশি হবার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ব্যবধান বেড়েই চলছে।
এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর জন্য ব্রাজিলের উচ্চ আমদানি শুল্ক হার কমানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৫২০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থ উপমন্ত্রী, ব্রাজিল কটন অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি সিএনআই এর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমানোর আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে একমত পোষণ করেন। এ বছর অনুষ্ঠিতব্য মার্কোসারের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উপস্থাপনের জন্য আশ্বাস প্রদান করা হয়।
এছাড়া, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কনসেপ্ট নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
তুলা উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে ব্রাজিল থেকে উন্নতমানের তুলা আমদানির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
ব্রাজিল ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রির সাথে সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে মডেল বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, উক্ত সংস্থা বাংলাদেশে কারিগরি জনশক্তি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য ব্রাজিল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উক্ত সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা ও সাফল্য বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ২২ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:০৩

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি পণ্য ব্রাজিলের বাজারে আমদানি বাড়াতে ব্রাজিল সরকার এবং ব্রাজিলের আমদানিকারকদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করা হলে ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে। মার্কোসারের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উপস্থাপন করা হলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা লতিফ বকসীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট (সোমবার) দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মার্কোসার (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক জোট) সফরের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিন ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ব্রাজিলের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশর তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক বেশি হবার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ব্যবধান বেড়েই চলছে।
এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর জন্য ব্রাজিলের উচ্চ আমদানি শুল্ক হার কমানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৫২০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থ উপমন্ত্রী, ব্রাজিল কটন অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি সিএনআই এর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমানোর আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে একমত পোষণ করেন। এ বছর অনুষ্ঠিতব্য মার্কোসারের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উপস্থাপনের জন্য আশ্বাস প্রদান করা হয়।
এছাড়া, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কনসেপ্ট নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
তুলা উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে ব্রাজিল থেকে উন্নতমানের তুলা আমদানির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
ব্রাজিল ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রির সাথে সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে মডেল বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, উক্ত সংস্থা বাংলাদেশে কারিগরি জনশক্তি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য ব্রাজিল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উক্ত সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা ও সাফল্য বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।