আগামী মাস থেকে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন বিক্রি করবে বেক্সিমকো
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:০৪
আগামী মাস থেকেই বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করতে পারে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। সেক্ষেত্রে প্রতি ডোজের মূল্য পড়বে আট ডলার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।
বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্যও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনবে বেক্সিমকো।
রাব্বুর রেজা জানান, বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে সেরাম। যার প্রতি ডোজের মূল্য হবে চার ডলারের মতো। আর বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য কেনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের মূল্য পড়বে আট ডলার। অর্থাৎ সরকারি আওতায় আনা দরের দ্বিগুণ।
রয়টার্সকে রাব্বুর রেজা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি, উভয়ভাবে ব্যবহারের জন্যই সেরাম চলতি মাসের শেষের দিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করবে। প্রত্যেককে এই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ দিতে হবে। সাধারণত প্রথম ডোজ দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাস থেকেই বেক্সিমকো বাংলাদেশে বেসরকারিভাবেও ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় এর খুচরা মূল্য হবে এক হাজার ১২৫ টাকা (১৩ দশমিক ২৭ ডলার)। বর্তমানে আমাদের (সেরাম-বেক্সিমকো) মধ্যে ১০ লাখ ডোজের চুক্তি রয়েছে। যেখানে আরও ২০ লাখ ডোজ বাড়তে পারে।
তবে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি চালু হওয়ার আগে বেক্সিমকো বেসরকারিভাবে ভ্যকসিন বিক্রি শুরু করবে না বলে বুধবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর সিওও রাব্বুর রেজা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টার অংশ হিসেবেই প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ভারতের সেরাম। বাংলাদেশের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো মধ্যে বেক্সিমকো অন্যতম। বেক্সিমকোই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
রাব্বুর রেজা জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো অনুমোদন পাওয়া ভারতের অন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের সঙ্গেও প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে রেখেছে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত সেরামই আমাদের অংশীদার এবং আমরা তাদের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যদি সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকারটা ছাড়াও অন্য কোনো ভ্যাকসিন চায়, তাহলে সেরাম আরও যে ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে কাজ করছে, আমরা সেগুলোর বিষয়েও সেরামের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট ভারত সরকারের কাছে প্রতি ডোজ ২০০ রুপি (২ দশমিক ৭৩ ডলার) দরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিকভাবে এই দরে ১১ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে ভারত সরকার। ভারত সরকার অনুমোদন দিলে বেসরকারিভাবেও প্রতি ডোজ এক হাজার রুপি (১৩ দশমিক ৬৬ ডলার) দরে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে চায় সেরাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন সাত হাজার ৮১৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:০৪

আগামী মাস থেকেই বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করতে পারে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। সেক্ষেত্রে প্রতি ডোজের মূল্য পড়বে আট ডলার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।
বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্যও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনবে বেক্সিমকো।
রাব্বুর রেজা জানান, বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে সেরাম। যার প্রতি ডোজের মূল্য হবে চার ডলারের মতো। আর বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য কেনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের মূল্য পড়বে আট ডলার। অর্থাৎ সরকারি আওতায় আনা দরের দ্বিগুণ।
রয়টার্সকে রাব্বুর রেজা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি, উভয়ভাবে ব্যবহারের জন্যই সেরাম চলতি মাসের শেষের দিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করবে। প্রত্যেককে এই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ দিতে হবে। সাধারণত প্রথম ডোজ দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাস থেকেই বেক্সিমকো বাংলাদেশে বেসরকারিভাবেও ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় এর খুচরা মূল্য হবে এক হাজার ১২৫ টাকা (১৩ দশমিক ২৭ ডলার)। বর্তমানে আমাদের (সেরাম-বেক্সিমকো) মধ্যে ১০ লাখ ডোজের চুক্তি রয়েছে। যেখানে আরও ২০ লাখ ডোজ বাড়তে পারে।
তবে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি চালু হওয়ার আগে বেক্সিমকো বেসরকারিভাবে ভ্যকসিন বিক্রি শুরু করবে না বলে বুধবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর সিওও রাব্বুর রেজা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টার অংশ হিসেবেই প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ভারতের সেরাম। বাংলাদেশের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো মধ্যে বেক্সিমকো অন্যতম। বেক্সিমকোই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
রাব্বুর রেজা জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো অনুমোদন পাওয়া ভারতের অন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের সঙ্গেও প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে রেখেছে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত সেরামই আমাদের অংশীদার এবং আমরা তাদের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যদি সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকারটা ছাড়াও অন্য কোনো ভ্যাকসিন চায়, তাহলে সেরাম আরও যে ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে কাজ করছে, আমরা সেগুলোর বিষয়েও সেরামের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট ভারত সরকারের কাছে প্রতি ডোজ ২০০ রুপি (২ দশমিক ৭৩ ডলার) দরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিকভাবে এই দরে ১১ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে ভারত সরকার। ভারত সরকার অনুমোদন দিলে বেসরকারিভাবেও প্রতি ডোজ এক হাজার রুপি (১৩ দশমিক ৬৬ ডলার) দরে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে চায় সেরাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন সাত হাজার ৮১৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জন।