কৃষক টু ভোক্তার দামের দূরত্ব দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:০৫
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দামের একটা দূরত্ব রয়েছে। এর মধ্যে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্তভোগী রয়েছে। এটা নিরসনের মাধ্যমে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের দূরত্ব দূর করতে হবে’।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ফোর্থ আই আর অ্যাগ্রো ইনোভেশন টেকনোলজির উদ্যোগে আয়োজিত যুবশপ ও এক্সপ্রেস কিচেন এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র উদ্বোধন ও যুব ব্র্যান্ডের লোগো উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির, ফোর্থ আই আর এগ্রো ইনোভেশন টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ বারী, চেয়ারম্যান গোলাম আলী সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমিও যুবক ছিলাম। আমার বয়স ছিল ২১ বছর। তখন আমি আমার বাবার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম। স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল যুবক। শহীদদেরও বেশিরভাগ ছিল যুবক। ১৯৭২ সালে আমি মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। একটা বড় সাহাস নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এরপর আমার সেই ব্যবসা হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে। যুবকরাই চাইলে সব কিছু পারে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমাদের ন্যাশনাল ইয়ুথ কমিউনিকেশন গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আমরা ভার্চুয়াল ট্রেনিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ২০২৩ সালের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ যুবক ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ যুবককে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ঋণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যুবক প্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ লাখ যুবককে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা শেখ হাসিনা ইউথ ইনস্টিটিউট করতে যাচ্ছি’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘যুব অধিদপ্তর থেকে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭০ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন আত্মকর্মী এবং ৫লাখ ৬১ হাজার ৩৪১ জন মাইক্রো উদ্যোক্তা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের গড় আয় লাখ টাকার ওপরে। প্রতি উদ্যোক্তার জন্য গড়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:০৫

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দামের একটা দূরত্ব রয়েছে। এর মধ্যে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্তভোগী রয়েছে। এটা নিরসনের মাধ্যমে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের দূরত্ব দূর করতে হবে’।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ফোর্থ আই আর অ্যাগ্রো ইনোভেশন টেকনোলজির উদ্যোগে আয়োজিত যুবশপ ও এক্সপ্রেস কিচেন এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র উদ্বোধন ও যুব ব্র্যান্ডের লোগো উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির, ফোর্থ আই আর এগ্রো ইনোভেশন টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ বারী, চেয়ারম্যান গোলাম আলী সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমিও যুবক ছিলাম। আমার বয়স ছিল ২১ বছর। তখন আমি আমার বাবার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম। স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল যুবক। শহীদদেরও বেশিরভাগ ছিল যুবক। ১৯৭২ সালে আমি মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। একটা বড় সাহাস নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এরপর আমার সেই ব্যবসা হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে। যুবকরাই চাইলে সব কিছু পারে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমাদের ন্যাশনাল ইয়ুথ কমিউনিকেশন গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আমরা ভার্চুয়াল ট্রেনিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ২০২৩ সালের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ যুবক ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ যুবককে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ঋণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যুবক প্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ লাখ যুবককে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা শেখ হাসিনা ইউথ ইনস্টিটিউট করতে যাচ্ছি’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘যুব অধিদপ্তর থেকে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭০ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন আত্মকর্মী এবং ৫লাখ ৬১ হাজার ৩৪১ জন মাইক্রো উদ্যোক্তা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের গড় আয় লাখ টাকার ওপরে। প্রতি উদ্যোক্তার জন্য গড়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে’।