বিশ্বে বাংলাদেশি পোশাক কারখানার ব্র্যান্ডিং করতে চান ফারুক হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:১৬
করোনার কারণে দেশে পোশাকখাতের যে সমস্যা শুরু হয়েছে তা সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নীতি সহায়তার মাধ্যমে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ’র সঙ্গে গণমাধ্যমের দূরত্ব বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, সাবেক সভাপতি কাজী মুনির, বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হাতেম, পরিচালক ফজলে শামীম এহসান শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতার উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ২০২১ সালটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত সভাপতিরা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল জায়গায় আছেন। ভোটাররা আমায় নির্বাচিত করলে সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে সুবিধা হবে। আমি নির্বাচিত হলে নীতি সহায়তার বিষয়ে জোর দেব। বিশ্বের ৭৪ শতাংশ ম্যান মেইড ফাইবার দিয়ে পোশাক উৎপাদন হয়। অথচ আমরা ৭০ শতাংশ কটন নির্ভর পণ্য উৎপাদন করি। আমরা সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। অনেকেই বলে থাকে আমরা কেবল বেসিক আইটেম করি। কিন্তু অনেকেই পণ্যে ডাইভারসিফাই এনেছে। আমরা এগুলো শেয়ারের উদ্যোগ নেব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা পণ্য উৎপাদনে আধুনিকতার ছোঁয়া আনব। একই সঙ্গে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করব। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ভালো করব। এ খাতে অনেকগুলো সংগঠন আছে। সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করব।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৭ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের কারণে ইইউসহ অন্যান্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাব। আমার সঙ্গে ইইউ-আমেরিকার কূটনীতিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। এর আগে আমি যখন বোর্ডে ছিলাম তখনো জিএসপি প্লাস নিয়ে কাজ করেছি। এবারও এই আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করব। গত ২ বছরে নতুন বাজার সেভাবে বাড়েনি। আমরা সেটিকে বাড়াতে কাজ করব। আগের বোর্ড যেসব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। গণমাধ্যমের সঙ্গে বিজিএমইএ’র একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটিকে দূর করে তাদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক আ. সালাম মুর্শেদী বলেন, অতীতে বিজিএমইএ সদস্যরা সম্মিলিত পরিষদের ওপর আস্থা রেখে ১৪ বারের ১০ বার সভাপতি করেছেন। আমি এটাকে দায়িত্ব বলব। করোনায় পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বের অর্থনীতি মুমূর্ষু অবস্থায়। তাই আগামী নির্বাচন বিজিএমইএ সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এবারও তারা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন বলে বিশ্বাস করি। সমঝোতায় অতীতে ২টি বোর্ড হয়েছে। আমরা দেখেছি, করোনাকালে সদস্যরা সেবা পায়নি। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা বোর্ডের সদস্যরা অফিসও করেনি। অথচ আমি প্রধানমন্ত্রীর গঠিত টাস্কফোর্স এর ১৮টি মিটিংয়ে অংশ নিয়েছি।
আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের হবে। তবে নির্বাচন বোর্ড গঠনের পর নির্বাচন বিষয়ে কাজ করার কারো ক্ষমতা নাই। তাই বায়োমেট্রিক ভোটার কার্ডের যে উদ্যোগ বর্তমান বোর্ড নিয়েছে তা গঠনতন্ত্র বিরোধী।
ফারুক হাসান সম্পর্কে তিনি বলেন, ফারুক হাসান একজন পরীক্ষিত নেতা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমস্যা মাথায় রেখে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে ফারুক হাসান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:১৬

করোনার কারণে দেশে পোশাকখাতের যে সমস্যা শুরু হয়েছে তা সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নীতি সহায়তার মাধ্যমে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ’র সঙ্গে গণমাধ্যমের দূরত্ব বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, সাবেক সভাপতি কাজী মুনির, বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হাতেম, পরিচালক ফজলে শামীম এহসান শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতার উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ২০২১ সালটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত সভাপতিরা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল জায়গায় আছেন। ভোটাররা আমায় নির্বাচিত করলে সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে সুবিধা হবে। আমি নির্বাচিত হলে নীতি সহায়তার বিষয়ে জোর দেব। বিশ্বের ৭৪ শতাংশ ম্যান মেইড ফাইবার দিয়ে পোশাক উৎপাদন হয়। অথচ আমরা ৭০ শতাংশ কটন নির্ভর পণ্য উৎপাদন করি। আমরা সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। অনেকেই বলে থাকে আমরা কেবল বেসিক আইটেম করি। কিন্তু অনেকেই পণ্যে ডাইভারসিফাই এনেছে। আমরা এগুলো শেয়ারের উদ্যোগ নেব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা পণ্য উৎপাদনে আধুনিকতার ছোঁয়া আনব। একই সঙ্গে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করব। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ভালো করব। এ খাতে অনেকগুলো সংগঠন আছে। সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করব।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৭ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের কারণে ইইউসহ অন্যান্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাব। আমার সঙ্গে ইইউ-আমেরিকার কূটনীতিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। এর আগে আমি যখন বোর্ডে ছিলাম তখনো জিএসপি প্লাস নিয়ে কাজ করেছি। এবারও এই আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করব। গত ২ বছরে নতুন বাজার সেভাবে বাড়েনি। আমরা সেটিকে বাড়াতে কাজ করব। আগের বোর্ড যেসব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। গণমাধ্যমের সঙ্গে বিজিএমইএ’র একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটিকে দূর করে তাদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক আ. সালাম মুর্শেদী বলেন, অতীতে বিজিএমইএ সদস্যরা সম্মিলিত পরিষদের ওপর আস্থা রেখে ১৪ বারের ১০ বার সভাপতি করেছেন। আমি এটাকে দায়িত্ব বলব। করোনায় পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বের অর্থনীতি মুমূর্ষু অবস্থায়। তাই আগামী নির্বাচন বিজিএমইএ সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এবারও তারা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন বলে বিশ্বাস করি। সমঝোতায় অতীতে ২টি বোর্ড হয়েছে। আমরা দেখেছি, করোনাকালে সদস্যরা সেবা পায়নি। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা বোর্ডের সদস্যরা অফিসও করেনি। অথচ আমি প্রধানমন্ত্রীর গঠিত টাস্কফোর্স এর ১৮টি মিটিংয়ে অংশ নিয়েছি।
আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের হবে। তবে নির্বাচন বোর্ড গঠনের পর নির্বাচন বিষয়ে কাজ করার কারো ক্ষমতা নাই। তাই বায়োমেট্রিক ভোটার কার্ডের যে উদ্যোগ বর্তমান বোর্ড নিয়েছে তা গঠনতন্ত্র বিরোধী।
ফারুক হাসান সম্পর্কে তিনি বলেন, ফারুক হাসান একজন পরীক্ষিত নেতা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমস্যা মাথায় রেখে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে ফারুক হাসান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।